জার্মানির ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙন, অর্থমন্ত্রী বরখাস্ত
০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
জার্মানিতে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের ঐক্য ভেঙে পড়েছে। চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ‘ট্রাফিক লাইট’ বলে পরিচিত জোট পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এই অবস্থায় জার্মানিতে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে পারে। ওলাফ শলৎসের সরকার এখন কেবল তার নিজের দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গ্রিন পার্টি রয়ে গেছে। এদিকে অর্থমন্ত্রী লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি (এফডিপি)-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর গ্রিন পার্টিকে নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার চালাবেন শলৎস। বাজেট পাস করার জন্য সিডিইউ-র সমর্থনও চেয়েছেন তিনি। রক্ষণশীল নেতা মেরজ এই বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। ফলে, আগামী ১৫ জানুয়ারি তিনি আস্থাভোট নেবেন। তারপর মার্চে নির্বাচন হতে পারে আগাম নির্বাচন। সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসার সময় শলৎসকে শান্ত দেখাচ্ছিল। তিনি যখন তার অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করছেন, তখন তাকে খুবই আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ লাগছিল। এই ঘোষণা করতে গিয়ে গলাটা একটু কেঁপে গেছিল। তবে তিনি শান্তভাবেই বোমা ফাটান। তিনি এফডিপি নেতা লিন্ডনারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, খুবইক্ষুদ্র রাজনৈতিক নীতি নিয়ে চলছিলেন। এটা একেবারেই মেনে নেয়া যায় না। শলৎস বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আমাদের কোনো প্রস্তাব রূপায়ণ করতে রাজি ছিলেন না। আমি দেশকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।’ শলৎস জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের বাজেটে এক হাজার কোটি ইউরোর ঘাটতির মোকাবিলা করার জন্য একটা পরিকল্পনা অর্থমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন। এই পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের জেরেই জোটে ভাঙন ধরল। গত সপ্তাহে লিন্ডনার একটি নথি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি আর্থিক প্রস্তাবের একটা তালিকা দেন, যা অন্য দলগুলো মানেনি। তার মধ্যে ছিল, জবকল্যাণে খরচ ছাঁটাই করা, পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে খরচ ছাঁটাই করা, কম্পানিগুলোর কর কম করার প্রস্তাব কার্যকর করা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য হয়নি। শলৎসের বক্তব্য, এফডিপি নেতা তার নতুন প্রস্তাব কার্যকর করার কোনো ইচ্ছেপ্রকাশ করেননি। অথচ, ওই প্রস্তাবগুলো ছিল দেশের জন্য জরুরি ও ভালো। দেশের ক্ষতি হোক এটা তিনি চাননি। শলৎস জানান, তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বিদ্যুতের দাম কমাবার জন্য, কম্পানিগুলোকে সাহায্য করার জন্য, গাড়ি প্রস্তুতকারক কম্পানিতে কর্মরতদের চাকরি বাঁচাতে বাড়তি ঋণ নেয়া হোক। তিনি বিনিয়োগ করার জন্য কম্পানিগুলোকে কর ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইউক্রেনকে বাড়তি সাহায্য করার কথা বলেছিলেন। শলৎস আরো জানান, গ্রিন পার্টির সঙ্গে মিলে সংখ্যালঘু সরকার চালাবেন। আস্থাভোট নেবেন ১৫ জানুয়ারি। আস্থাভোটে হারলে সেক্ষেত্রে মার্চে নির্বাচন হবে। ২০ মিনিট ধরে নিজের কথা বলার পর শলৎস কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ছেড়ে চলে যান। বিরোধী অতি-ডানপন্থি এএফডি জানিয়েছে, তারা শলৎসের জোট সরকারে ভাঙনকে স্বাগত জানাচ্ছে। অনেক আগেই এটা হওয়া উচিত ছিল। তাদের হাত থেকে জার্মানির মুক্তি পাওয়া দরকার ছিল। এএফডি নেতাদের অভিযোগ, এই জোট দেশকে আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমান সংকট থেকে দেশকে বের করে আনার জন্য নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ দরকার। এএফডির দাবি, শলৎস অবিলম্বে আস্থাভোট নিন। ডিডব্লিউ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম