রামেইশের বাসিন্দারা শহর ছেড়ে যাবে না
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধের প্রভাব ক্রমেই তীব্র হয়েছে।হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।তবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামেইশ নামের শহরের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে,তারা তাদের শহর ছেড়ে যাবেন না। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের আকস্মিক হামলার পর হিজবুল্লাহ ইসরাইলের উত্তরে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে। প্রতিউত্তরে ইসরাইল লেবাননে হামলা চালায়।১ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের স্থল হামলার ফলে যুদ্ধ আরও ঘনীভূত হয়।রামেইশের বাসিন্দারা চারপাশে গোলাগুলি এবং আকাশপথে রকেট চলাচল সত্ত্বেও তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন,তাদের এই সিদ্ধান্ত তাদের পরিচয় এবং দেশের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার জন্য। রামেইশ শহরটিতে প্রায় ৭,০০০ জন মারোনাইট খ্রিস্টান বাস করেন।যুদ্ধের কারণে শহরের ৯০% বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাচ ভেঙে গেছে,দেয়ালে ফাটল ধরেছে।কৃষক জিরিস আল-আলাম জানান,এয়ার স্ট্রাইকের কারণে রাতে কেউ ঘুমাতে পারে না। যদিও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি,হামলায় তার ২০০টি গবাদি পশু মারা গেছে। রকেট হামলার কারণে কিছু পরিবার তাদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। রাশা মাখবুরের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তার পরিবার শহরের কেন্দ্রে অন্য একটি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে সাধারণ মানুষকে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে।কিন্তু রামেইশ শহরের বাসিন্দাদের সরাসরি সরিয়ে নেওয়ার কোনো নির্দেশ দেয়নি। অক্টোবরের শেষদিকে রামেইশ থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দুর্বল করে দেয়।ইউনিফিলের সহায়তায় একটি ত্রাণ কাফেলা শহরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।কিন্তু জ্বালানি, খাদ্য, এবং ওষুধের সংকট এখনও চরমে।ফাদার আল-আমিল এবং মেয়র আশা করছেন,দ্রুত রাস্তাটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য হবে।এবং তারা শহর ছেড়ে কোথাও যাবন না।তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রামেইশ শহরের নাগরিকরা তাদের জীবন এবং ঐতিহ্য রক্ষার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।চরম সংকট এবং যুদ্ধে ঘেরা থাকা সত্ত্বেও, তাদের এই সাহস অনুপ্রেরণার উৎস।তারা বলছেন, প্রয়োজনে তারা তাদের ঘরেই মৃত্যুবরণ করবেন, তবুও শহর ছেড়ে যাবেন না। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সিংগাইরের তহরা হত্যা মামলা : শিক্ষক লালমুদ্দিনের ব্লাকমেইলের শিকার ছাত্রী আইরিন আক্তার
১৫ জানুয়ারি বিদায়ী ভাষণ দেবেন জো বাইডেন
’৭১ প্রশ্নে জামায়াতে নতুন আলোচনা, আসতে পারে সিদ্ধান্ত
ঘণকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়
চীন সফরে রেচেল রিভস , যুক্তরাজ্যের উন্নতির প্রতিশ্রুতি
দায়িত্ব পেলে আমরা ধর্ম ও দল দেখব না : জামায়াতের আমির
'মুরুব্বী মুরুব্বী কামডা করল কী'
বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকা দ্বিতীয়
তথ্য গোপন মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও নেই কোনও শাস্তি
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ
ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি
লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে
মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ
গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত
সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ
ইয়েমেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র-বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ২১, মানবিক বিপর্যয় চরমে
ফেনীর মহিপালে এক শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক