অবরোধে গাজাবাসীর বেঁচে থাকার ভরসা গাধা
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
ইসরাইলের যুদ্ধ, জ্বালানি সংকট ও অবরোধের কারণে গাজার মানুষ বেঁচে থাকার জন্য গাধার ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ শহরের আমিনা আবু মাঘাসিব সেইসব মানুষদের একজন, তার জীবিকার মূল ভরসা একটি গাধা ও তার টানা গাড়ি। আমিনা বলেন, যুদ্ধের আগে আমি দুধ এবং দই বিক্রি করতাম, কারখানা আমার কাছ থেকে দুধ কিনে নিত। কিন্তু এখন আমার আয়ের একমাত্র উৎস এই গাধা আর গাড়ি। যুদ্ধ শুরুর আগে গাধার গাড়ি গাজায় তুলনামূলক কম ছিল। তবে ইসরাইলের যুদ্ধ এবং অবরোধের ফলে জ্বালানি সংকট ও বিধ্বস্ত পরিবহনব্যবস্থার কারণে এগুলো এখন প্রধান পরিবহনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোমা হামলা থেকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নিজেদের মালপত্র নিয়ে গাধার গাড়িতে চড়ছেন গাজার উদ্বাস্তু মানুষ। অনেকের জন্য গাধার গাড়িই একমাত্র পরিবহন। মারওয়া ইয়েস তার পরিবার নিয়ে গাধার গাড়িতে চলাফেরা করেন। তিন সন্তানের এই জননী বলেন, দেইর আল বালাহ থেকে নুসাইরাতে যাওয়ার জন্য আমাকে ২০ শেকেল (৫.৪০ ডলার) খরচ করতে হয়। এটি অনেক বেশি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি সঙ্গত মনে হয়। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের শুরুতে গাধার গাড়িতে চড়তে লজ্জা পেতাম, কিন্তু এখন আর কোনও বিকল্প নেই। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের কারণে গাজার ৪৩ শতাংশ কর্মক্ষম প্রাণী—যার মধ্যে গাধা, ঘোড়া ও খচ্চর রয়েছেÑ ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নিহত হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ২ হাজার ৬২৭টি কর্মক্ষম প্রাণী জীবিত আছে। আমিনা জানান, তার গাধার একমাত্র খরচ হলো খাদ্য। কিন্তু মানুষের পাশাপাশি প্রাণীর খাদ্যের দামও আকাশছোঁয়া। তিনি বলেন, এই গাধাটি আমি ঋণ করে কিনেছি। এর আগের গাধাটি দেইর আল বালাহতে বোমার শ্র্যাপনেলে মারা গিয়েছিল। নতুন গাধাটি কিনতে তাকে আড়াই হাজার শেকেল খরচ করতে হয়েছে। ৩২ বছর বয়সী আব্দেল মিসবাহ গাজা শহর থেকে দক্ষিণে উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন। তিনি তার পরিবার নিয়ে এখন গাধার গাড়ি দিয়ে পণ্য পরিবহন করেন। মিসবাহ বলেন, যুদ্ধের আগে আমি গাড়িতে সবজি বিক্রি করতাম। এখন ডেলিভারির কাজ করি। বোমা হামলার সময় গাধাটি আতঙ্কিত হয়ে যায়। তিনি জানান, বার্লির প্রতি বস্তার দাম তিন শেকেল থেকে বেড়ে ৫০ শেকেল হয়ে গেছে। গাধাকে ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি, যদিও দাম অনেক বেড়ে গেছে। ইসরাইলি অবরোধের ফলে গাজায় খাদ্য ও পণ্য পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। যুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা, জ্বালানি সংকট এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বারবার স্থানান্তরিত হওয়া মানুষদের কারণে সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এএফপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিএনপির দু গ্রুপের সভা হয়নি গোটা উপজেলার পরিবেশ শান্ত
সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন - ডা. মাজহার
৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা
পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম
আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম
টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ
ক্যাম্পাস সমূহ র্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ
ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা
ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া
মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা
খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ
ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!
আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি
সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১
দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই