মনিপুরে সহিংসতার তদন্ত চায় কংগ্রেস
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৬ এএম

ভারতের মণিপুর রাজ্যে গত প্রায় দু’ বছর ধরে কেন সংঘাত-সহিংসতা চলল, কেন সহিংসতা থামানো গেল না এবং সংঘাত থামাতে কেন্দ্রীয় সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে— সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গ।ে
বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বক্তব্য দেন খাড়্গ।ে নিজ বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রায় ২ বছর ধরে মণিপুর সহিংসতার আগুনে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হলো, এবং আমরা দেখলাম সরকার এই সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হলো। দুই বছরের সহিংসাতায় মণিপুরে নিহত হয়েছে ২৬০ জন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। অনেক পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তারপরও বিজেপি দৃশ্যত নিশ্চুপ থেকে এসব দেখেছে। মণিপুরের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, জিএসটি সংগ্রহ প্রায় বন্ধ। এখনও রাজ্যটি সেই ভয়াবহ সহিংসতার রেশ থেকে বের হতে পারেনি।”
বিজেপি শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রক্ষায় ব্যস্ত থেকেছে এ দু’বছর। প্রধানমন্ত্রী এ দু’বছরে একবারও মণিপুর সফরে যাননি। কেন যাননি? পুরো মণিপুর যখন জ্বলছিল, তখন তিনি বিভিন্ন দেশে সফর করে বেরিয়েছেন, কিন্তু মণিপুরে পা রাখেননি। বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীসহ অনেক রাজনীতিক, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, বিভিন্ন এনজিও মণিপুর সফরে গিয়েছেন— কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সময় হয়নি।”
“আমরা জানতে চাই— তিনি কেন যাননি? তার সময় হয়নি কেন? সংঘাত নিরসনে প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য আমরা মণিপুরে সহিংসতার তদন্ত দাবি করছি।”
জাতিগত বৈচিত্রে ভরপুর মণিপুরে ২০২৩ সনালের মে মাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের হিন্দু এবং অপেক্ষাকৃত সংখ্যালঘু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই মাসে রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেই জাতিগোষ্ঠীকে ‘তফসিলি’ জাতি হিসেবে ঘোষণা করে মণিপুর হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভারতের সংবিধান অনুসারে সরকারি চাকরি এবং ভারতের জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেইতেইদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালুর নির্দেশও দেন আদালত।
আদালতের এই আদেশে ক্ষুব্ধ হয় রাজ্যটির সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী কুকি এবং সেই দিন থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয় রাজধানী ইম্ফলসহ বিভিন্ন এলাকায়। অল্পসময়ের মধ্যেই এই প্রতিবাদ রূপ নেয় ভয়াবহ জাতিগত দাঙ্গায়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দুই বছরব্যাপী এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের। সূত্র : এনডিটিভি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

পরীমণি ভিউ ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজির অংশ–শেখ সাদি

ফিলিস্তিনে ইসারায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা ডিআরইউর

আরব শাসকদের নিরবতার জন্য আমরা ধিক্কার জানাই- সিলেটে তালামীযের বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা

গোদাগাড়ীতে গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার আহ্বান

মিরসরাইয়ের এনএসইজেড পরিদর্শন করলেন ৭০ বিদেশি বিনিয়োগকারী

রোববার তিন পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাংক বন্ধ

শরীয়তপুরে জাজিরার সহিংসতায় আরো একজন গ্রেফতার, প্রত্যেককে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন

ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

গাজায় পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বিশ্বের প্রতি আহ্বান আল-সিসির

এমন নিকৃষ্টদের আপনি ধ্বংস করে দেন প্রভু–পূজা চেরি

তাড়াইলে ৫০ শতাংশ জমির করলা-চিচিঙ্গা গাছ উপড়ে দিল দুর্বৃত্তরা

যে কারণে সিলেটে কেএফসিতে ভাংচুর

কানাডার আগামী নির্বাচনে যে প্রভাব ফেলছে ট্রাম্পের নীতি

চুয়াডাঙ্গায় ইসরায়েলী আগ্রাসন ও গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন

‘গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক ব্রুক

রাজশাহীতে ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ, নিহত ৩, আহত অর্ধশত

গফরগাঁওয়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী ও আলেম ওলামায়ে কেরামদের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

গাজর চাষে লাভবান হচ্ছেন কুষ্টিয়ার চাষিরা