টাকার ডাক্তার আমজাদ নাসের
২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম

খান ইউনিসের জনবহুল বাজারের এক কোণে বসে আছেন আমজাদ নাসার। সঙ্গে নেই কোনো পণ্যসামগ্রী। কিছুই বিক্রি করছেন না তিনি। কিন্তু সামনে দেখা যাচ্ছে ছেঁড়া, বিবর্ণ, ছিদ্রযুক্ত এবং বিকৃত কিছু ব্যাংকনোট। সেগুলো সারিয়ে ব্যবহার উপযোগী করাই এখন তার কাজ। যুদ্ধ শুরুর আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রশাসনিক কর্মচারী এখন ‘টাকার ডাক্তার’। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় জমে উঠেছে নাসেরের টাকা মেরামত করার ক্লিনিক। ছেঁড়া-ফাটা নোট ঠিক করে সংসারের হাল ধরেছে সে। ১০০-শেকেলের (৩২৯৩.৪০ টাকা) নোট মেরামতের জন্য মাত্র দুই শেকেল (৬৫.৮৭ টাকা) চার্জ (পারিশ্রমিক) করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় বন্ধ রয়েছে ব্যাংকিং পরিষেবা। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে আর্থিকখাত। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে নতুন মুদ্রা প্রবেশ করছে না। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলমান থাকায় বেশিরভাগ নোটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে নতুন পেশা শুরু করেছে নাসের। এভাবেই শুরু হয় টাকা নিয়ে আমজাদের গল্প। স্বচ্ছ টেপ নিয়ে ছেঁড়াফাটা নোটগুলো জোড়া দিতে শুরু করেন তিনি। এছাড়াও কিছু বিবর্ণ নোট আঠা ব্যবহার করে যা সংখ্যাগুলোকে অস্পষ্ট করে না। এ কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে কোনো অর্থ নেননি নাসের। কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবহার্য আঠা কেনার কারণে এখন তিনি এটিকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে দৈনিক তার গ্রাহকের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। নিজের নতুন পেশা নিয়ে নাসের বলেছেন, ‘যুদ্ধের শুরুতে মুদ্রার মান ছিল ভালো, কিন্তু এরপর নোট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বিকল্পের অভাবে মানুষ একই নোট সম্পূর্ণরূপে জীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চালাতে থাকে। আমি আশা করি ব্যবসায়ীরা মেরামত করা নোটগুলো গ্রহণ করবে এবং সেগুলো পশ্চিম তীরে প্রচার করা হবে কেননা সেখানে কোনো ব্যাংকিং সংকট বা নগদ তারল্যের অভাব নেই’।
গাজা নোট মেরামত যে এতটা জনপ্রিয় হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেনি। বর্তমানে নাসারের মতো কয়েক ডজন মানুষ এই পেশায় কাজ করেন। তবে শুধু টাকাই নয় আরো এক ভিন্নধর্মী পেশার দেখা মিলেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায়। লাইটার ঠিক করা। নাসেরের স্টলের খানিকটা সামনেই বিলাল আরাফাতের দোকান। ভাঙা লাইটার মেরামত ও খালি লাইটারে গ্যাসভর্তি করার কাজ করে সে। বিলাল বলেন, ‘যদি কেউ আমাকে যুদ্ধের আগে বলত যে, আমি লাইটার মেরামত করব, আমি উচ্চস্বরে হেসে উঠতাম। চারটি লাইটার আগে এক শেকেলে বিক্রি হতো। কে সেগুলো ঠিক করতে বিরক্ত করবে? কিন্তু যুদ্ধ সবকিছু উলটে দিয়েছে। এখন একটি লাইটারের দাম এক শেকেলের এক চতুর্থাংশ থেকে দশ শেকেলে বেড়েছে যা প্রায় চল্লিশগুণ’। সূত্র : রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত

ওষুধের দাম কমাতে পদক্ষেপ ট্রাম্পের

চীনা বিমানের কাছে পরাস্ত রাফাল সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক ভারত

এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপ পুতিনের

ফের বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ডলার ছাড়াল

মার্কিন-চীন বাণিজ্যের অবনতি রোধ করতে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে নেক্স গ্লোবাল

গাজা যুদ্ধ সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে সমাধানযোগ্য নয় : জার্মানি

ইউরোপে বন্দি থেকেও ফিলিপাইনে জয়ী হতে যাচ্ছেন দুতার্তে

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা

ফ্যাসিস্ট এমপি মমতাজ বেগম গ্রেফতার

কোটচাঁদপুরে আম সংগ্রহ শুরু

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অচল: দক্ষিণাঞ্চল অচলের ঘোষণা

সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারী করে প্রজ্ঞাপন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক দশক পূর্তিতে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন

করিডোর নিয়ে গোটা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ, বিপন্ন হতে পারে সার্বভৌমত্ব: দরকার জাতীয় ঐক্য

সিলেটে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

মাগুরায় আওয়ামী লীগ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় জামায়াতের শুকরানা মিছিল

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন বিরোধী প্রস্তাব বাতিল করতে হবে

জকিগঞ্জে আ. লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতা কারাগারে

জেপি মরগান পেমেন্টসের ‘ওয়্যার ৩৬৫’ চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক