ভারতে চিতায় প্রাণ দিত নারীরা, ইন্দোনেশিয়ায় কাটা হত আঙুল
১৪ মার্চ ২০২৩, ১১:৪২ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৮ পিএম
আঙুল কাটার আগে বিশেষ পদ্ধতি মানা হহতো। আঙুল কাটার আগে আধ ঘণ্টা ধরে সংশ্লিষ্ট আঙুলটি দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখা হতো। আঙুল কাটার সময় যাতে যন্ত্রণা না হয়। পাথরের পাত বা পাথরের তৈরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে দানি উপজাতির মহিলাদের আঙুলের অগ্রভাগ কাটা হতো। প্রাচীন কালে ধারালো পাথর দিয়েও আঙুলের অগ্রভাগ কাটা হতো। আঙুলের কাটা অংশটি পরে পুড়িয়ে ফেলা হত। না হলে তা পুঁতে দেওয়া হতো।
ভারতে একটা সময় সতীদাহ প্রথা চালু ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর তার চিতায় প্রাণ দিতে হতো স্ত্রীকে। রাজা রামমোহন রায় ভয়ঙ্কর সেই প্রথা রদ করেছিলেন। তেমনই এক ভয়ঙ্কর প্রথা চালু ছিল ইন্দোনেশিয়ায়। প্রিয়জনের মৃত্যুর পর শোক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার দানি উপজাতির মহিলাদের আঙুল কেটে ফেলা হতো।
তবে শুধু মহিলাদের আঙুল কাটা হতো তা নয়। অনেক সময় পুরুষদের আঙুলও কাটা হতো। তবে সেই সংখ্যাটা খুবই কম। এই রীতি পালন থেকে ছাড় দেওয়া হত না শিশুকন্যাদেরও। তবে তাদের ক্ষেত্রে আঙুল কাটা হতো না। পরিবর্তে আঙুল কামড়ে দিতেন তাদের মায়েরা।
পরিজনের মৃত্যুতে মহিলাদের আঙুল কাটার এই রীতি অনেক আগেই নিষিদ্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। এখন আর এই রীতি পালন করা হয় না। তবে শোনা যায়, সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গোপনে অনেক সময় এই প্রাচীন প্রথা পালন করা হয়।
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের ওয়ামেনার প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করে দানি উপজাতি। পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে শোকপালন হিসেবে আঙুল কাটার রীতি ছিল দানি উপজাতির মধ্যে। অধিকাংশ সময়ই প্রিয়জনের মৃত্যুতে পর আঙুল কাটা হতো উপজাতির মহিলা সদস্যদের।
আঙুল কাটার রীতিকে বলা হয় ‘ইকিপালিন’। কবে এই প্রথা চালু হয়েছিল তা জানা যায় না। দানি উপজাতির মানুষদের বিশ্বাস ছিল, আঙুল কাটলে মৃতের আত্মা শান্তি পাবে। তবে পুরো আঙুল কাটা হতো না। আঙুলের অগ্রভাগের অংশ শুধু কাটা হতো।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড
কুয়াকাটার বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কোরাল মাছ।
বগুড়ায় জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে হত্যাকাণ্ড, একজন আটক
ঢাবিতে অনুমতি মেলেনি সালাতুল ইসতিসকার
ফের মার্কিন ও ইসরাইলি জাহাজে হামলা হুথিদের
চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ গণপূর্তমন্ত্রীর
দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর সংখ্যা বাড়ছে
হিটস্ট্রোকে স্কুলের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সংসদ সদস্য তমা-কে আ'লীগের বরণ-দিলেন নানা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি
সারাদেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
তিন দেশে আমিরের সফর থেকে কাতার কী পেতে চাইছে?
ফটো সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের অসহায়ত্বের ছবি তুলে- সিলেটে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন
কুষ্টিয়ার খোকসায় দেওয়াল চাপাই শিশুর মৃত্যু
জিআই পণ্যের গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী
কত বছর বয়সী ছাগল সদকা করতে হয় প্রসঙ্গে।
লালমনিরহাটে বৃষ্টি চেয়ে অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা
প্লাস্টিক থেকে নদীগুলোকে বাঁচানো দরকার
আমদানি কমিয়ে জোর দিতে হবে উৎপাদনে
ভোলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি
আধিপত্যবাদ রুখতে পণ্যবর্জন অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার