মাস্টারস্ট্রোক জিনপিংয়ের, ইরান-সউদীকে মিলিয়ে আধিপত্য বাড়াল চীন
১৮ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৪ পিএম
পশ্চিম এশিয়া ছিল ভারতের মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ঘোষিত কোহিনুর। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সবার অলক্ষে সেই রত্ন চলে গিয়েছে চীনের হাতে। শি জিনপিং তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে অসাধারণ এক রাজনৈতিক চাল দিয়েছেন। ইরান এবং সউদী আরবের দীর্ঘদিনের সংঘাত চীন মেটানোর পরে এমনই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
সাত বছর আগে শিয়া ধর্মগুরু নিমর-আল-নিমরকে ফাঁসি দেয় সুন্নি প্রধান সউদী আরব। এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে সউদী কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের উপর হামলা চালান ইরানের বিক্ষোভকারীরা। এরপর ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সউদী আরব। দুই দেশের তিক্ততা তীব্র হয়। সম্প্রতি বিবদমান এই দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক করায় বেইজিং, তাদের মাটিতে। এরপর আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে শিয়া এবং সুন্নি প্রধান দুই দেশ। দু’মাসের মধ্যে দূতাবাস খুলতেও তারা রাজি।
এর ফলে একটি বিষয় পরিস্কার হয়েছে। এ আপাত অসাধ্য কাজটি করে দেখিয়ে (নিজেদের অমিত অর্থনৈতিক এবং সামরিক বিক্রমকে সহায়তার টোপ হিসাবে ব্যবহার করে হলেও) পশ্চিম এশিয়ায় প্রভাব আপাতত বহুগুণ বাড়িয়ে ফেলল চীন। বিষয়টি ইরানের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন আমেরিকা ও ইসরাইলের জন্য চরম অস্বস্তিকর তো বটেই। আমেরিকাকে বার্তা দেয়া বেইজিংয়ের লক্ষ্য ঠিকই, তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকার কৌশলগত মিত্র ভারতের অস্বস্তিও কম নয়।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে গত তিন বছর তেহরানের সঙ্গে জ্বালানি-সম্পর্ক ঘুচিয়েছে মোদি সরকার। পশ্চিম এশিয়ার অন্য দেশগুলির সঙ্গে (সউদী-সহ) সম্পর্ক আগের তুলনায় অনেকটাই ঘনিষ্ঠ হলেও দিল্লি হারিয়েছে ইরানের বন্ধুত্ব। ফলে চীন এ তেলসমৃদ্ধ রাষ্ট্রটির অভিভাবক হয়ে দাঁড়াক, তা আদৌ কাম্য নয় নয়াদিল্লির কাছে। পাশাপাশি সউদীর কাছেও পৌঁছে গিয়েছে চীন।
কূটনৈতিক শিবির বলছে, বহু বছর ধরেই চীন অন্য দু’টি দেশের সংঘাতে নাক না গলানোর নীতি পালন করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রনীতিতে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টাই বেশি দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংঘাতে সক্রিয় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। এক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞের কথায়, চীন পশ্চিম এশিয়াকে এ বার্তা দিতে চাইছে যে তারা আমেরিকার পরিবর্তে নিরাপত্তা ও সমর্থন দিতে পারবে। তাদের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্রের যে অভিযোগ পশ্চিম থেকে ওঠে, তারও মোকাবিলা করতে এটি কাজে আসবে বেইজিংয়ের। সূত্র: এবিপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ
শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করলো গণস্বাক্ষরতা অভিযান
নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান
সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী
আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে
সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক
টাকার বিছানায় ঘুম
চশমার যাদুঘর
শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু
বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে
গ্রেফতার সেই কুমির
লেভেল ক্রসিং স্থাপন প্রয়োজন
রাজধানীতে বেড়েছে তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজি
হাফিজ আহমেদ মজুমদার : যার তুলনা তিনি নিজে
গরিব হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ
সীমান্তে আর কত হত্যা করবে বিএসএফ?