যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্যর্থ হচ্ছে: ইলন মাস্ক

Daily Inqilab ইনকিলাব

২৭ মার্চ ২০২৩, ০৩:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৪ পিএম

মার্কিন ধনকুবের ও টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জো বাইডেনের প্রশাসনের জন্য একটি বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছেন। কয়েক মাস ধরে, তিনি জোর দিয়ে বলে আসছেন যে, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয়দের মধ্যে সংঘাত একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

তার মতে, এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর একমাত্র উপায়, যে সময়ে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না। মাস্ক আরও বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন কট্টরপন্থী যিনি পরাজয় মেনে নেবেন না। এ বিশ্বাসের দৃঢ়তার ভিত্তিতে তিনি রাশিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ছাড় সহ সংঘাতের সমাধানের জন্য চাপ দেন।

শান্তির জন্য তার আহ্বান এখন পর্যন্ত উপেক্ষা করা হয়েছে বা ইউক্রেন এবং তার সমর্থকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। পশ্চিমা শিবির, যারা এ যুদ্ধটিকে গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্রের মধ্যে লড়াই হিসাবে উপস্থাপন করে, বিশ্বাস করে যে, এ যুদ্ধের অবসান ঘটানো রাশিয়ার উপর নির্ভর করে, যাতে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং আরও লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

মাস্ক এ জন্য মার্কিন কূটনীতিকদের একটি বড় অংশকে দায়ি করেছেন। তার মতে, মার্কিন কূটনীতিকরা একটি ভাল কাজ করেনি, বরং এ ক্ষেত্রে ব্যর্থও হয়েছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় পরাজয় বরণকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকরা যুদ্ধবাজে পরিণত হয়েছে, তারা ভুলে গেছেন যে, তাদের ভূমিকা সবচেয়ে খারাপটা এড়াতে আলোচনা করা। যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং এটি আরও বাড়তে পারে. তাই এটি মার্কিন কূটনীতির ব্যর্থতা। রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে একটি অপ্রত্যাশিত জোটের উত্থানের ফলে এ ব্যর্থতা আরও বড় হয়েছে।’

মাস্কের বন্ধু ও আমেরিকান কূটনীতি সম্পর্কে কারিগরি বিনিয়োগকারী ডেভিড স্যাকসের বিবৃতির মন্তব্য হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন যেখানে স্যাকস তার শেষ টুইটে মার্কিন মার্কিন কূটনীতিকদের তুলাধুনা করে ছাড়েন। ‘আমাদের স্টেট ডিপার্টমেন্টে এ ক্রুসেডাররা আছে যারা শুধু ন্যাটোর সম্প্রসারণ চালিয়ে যেতে চায়, এবং আমি জানি না কেন তারা দেখতে পাচ্ছে না যে, এটি রাশিয়ানদের কাছে অগ্রহণযোগ্য যেভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৬২ সালে কিউবায় পরমাণু অস্ত্র স্থাপনের চেষ্টা করেছিল, যেটা আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য ছিল,’ স্যাকস রক্ষণশীল ভাষ্যকার গ্লেন বেককে বলেছিলেন।

‘এটা মনে হচ্ছে আমাদের মুখপাত্র এবং কূটনীতিকরা এখানে শিশু,’ স্যাকস অব্যাহত রেখেছিলেন, যোগ করেছেন যে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাজ হল ‘সংঘাত কমানো। কিন্তু এখানে তাদের আসল উদ্দেশ্য হল শাসনের পরিবর্তন’। সূত্র: দ্য স্ট্রীট।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুর্নীতির অভিযোগে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেফতার

দুর্নীতির অভিযোগে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেফতার

নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে

নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে

গাড়ির কসরৎ দেখিয়ে বিখ্যাত কুইন অফ স্মোক

গাড়ির কসরৎ দেখিয়ে বিখ্যাত কুইন অফ স্মোক

১০০ বছর পর প্যারিসে পর্দা উঠলো অলিম্পিকের

১০০ বছর পর প্যারিসে পর্দা উঠলো অলিম্পিকের

‘খান ইউনিসে’ ৪ দিনে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২ লাখ

‘খান ইউনিসে’ ৪ দিনে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২ লাখ

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সামনে শ্রীলঙ্কা

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সামনে শ্রীলঙ্কা

ইসরাইলকে বোমা সরবরাহের নীতি পরিবর্তন করেনি যুক্তরাষ্ট্র

ইসরাইলকে বোমা সরবরাহের নীতি পরিবর্তন করেনি যুক্তরাষ্ট্র

১ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ে লোকসান ৬ কোটি

১ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ে লোকসান ৬ কোটি

বিজিবির নিরাপত্তায় ট্রেনে জ্বালানি তেল পরিবহন

বিজিবির নিরাপত্তায় ট্রেনে জ্বালানি তেল পরিবহন

বাংলাদেশে সহিংসতা প্রসঙ্গে মমতা, ‘আমাকে শেখাবেন না, বরং আপনারা শিখুন’

বাংলাদেশে সহিংসতা প্রসঙ্গে মমতা, ‘আমাকে শেখাবেন না, বরং আপনারা শিখুন’

চোটজর্জর বার্সাকে নিয়ে চিন্তিত ফ্লিক

চোটজর্জর বার্সাকে নিয়ে চিন্তিত ফ্লিক

বছরের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগে দারুণ প্রবৃদ্ধি চীনে

বছরের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগে দারুণ প্রবৃদ্ধি চীনে

জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, সরিয়ে নেওয়া হলো হাজারো মানুষকে

জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, সরিয়ে নেওয়া হলো হাজারো মানুষকে

জন্মভূমির বিপক্ষে মুরের ফিফটি, মাডান্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

জন্মভূমির বিপক্ষে মুরের ফিফটি, মাডান্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি