এ গ্রহাণু পৃথিবীতে পড়লে সবাই রাতারাতি বড়লোক হতে পারে
০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৪৯ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৪ পিএম
১৬ সাইকি হল একটি ১৪০ মাইল বা প্রায় ২২৬ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গ্রহাণু, যার মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার কোয়াড্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের লোহা, নিকেল এবং সোনা। সেই কারণেই এ গ্রহাণু এত মূল্যবান। এটি এতটাই বড় যে, এই পৃথিবীর সব মানুষকে বড়লোক করে দিতে পারে।
অ্যাস্ট্ররয়েড বা গ্রহাণু শব্দটা শুনলেই যেন অনেকের ভ্রুকুঞ্চিত হয়। অনেকেই ভাবতে থাকেন, মহাকাশ থেকে আসা এমন এক বিরাট পাথরের চাঁই যা পৃথিবীতে পড়লে বড়সড় কিছু ঘটতে পারে। পৃথিবীতে একদিন তো গ্রহাণু নেমে আসার ফলেই ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। গ্রহাণু সম্পর্কে মানুষের ধারণাটাই এমন যে, কেউ ভাবতে পারেন না এই স্পেস রক মানবজাতির ভালও করতে পারে। তবে কিছু এমন গ্রহাণুও রয়েছে, যেগুলি এই পৃথিবীতে এলে আমরা রাতারাতি বড়লোক হয়ে যেতে পারি। সেই গ্রহাণুটি সংগ্রহ করে আমরা যদি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিই, তাহলে আমরা প্রত্যেকেই বড়লোক হয়ে যেতে পারি। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে তেমনই একটি বিরাট ধাতব গ্রহাণু রয়েছে, যার নাম ১৬ সাইকি।
এখন বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর গঠনের তুলনা করার চেষ্টা করছেন। তার জন্য নাসা একটি সাইকি মিশনের প্ল্যানিংও করেছে, যে প্রোগ্রামে ধাতু সমৃদ্ধ এই গ্রহাণুটি নিয়ে রিসার্চ করে দেখবেন গবেষকরা। চলতি বছরেই প্রোগ্রামটি শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। নাসার তরফে বলা হয়েছে, মহাকাশের গ্রহাণু বেল্টের সবচেয়ে কৌতূহলী গ্রহাণুগুলির মধ্যে একটি হল এই সাইকি। বিশাল ধাতু সমৃদ্ধ এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর চেয়ে সূর্য থেকে প্রায় তিন গুণ দূরে অবস্থিত। এর গড় ব্যাস প্রায় ১৪০ মাইল (২২৬ কিলোমিটার), চাঁদের ব্যাসের এক-ষোল ভাগ বা লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান দিয়েগোর মধ্যে দূরত্বের প্রায় সমান।
মহাকাশ সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, সাইকি একটি বিছিন্ন গ্রহের অংশবিশেষ হতে পারে। একটি ছোট শহর বা ছোট দেশের আকারের হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে এই গ্রহাণুটিকে একটি গ্রহের প্রথম বিল্ডিং ব্লক হিসেবেও দাবি করছেন গবেষকরা। যদি তা-ই হয়, তাহলে গ্রহাণু সাইকি পৃথিবীর মতোই অন্যান্য পার্থিব গ্রহগুলির অভ্যন্তরটি দেখতে পারে, যা সাধারণত ম্যান্টেল এবং ক্রাস্টের স্তরগুলির নিচে লুকানো থাকে। পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দৃশ্যমান এবং ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পাশাপাশি রাডার হিসেবেও সাইকি গ্রহাণুটিকে অধ্যয়ন করেছেন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, এই গ্রহাণুটি আকারে অনেকটাই আলুর মতো।
গ্রহাণুর নাম সাইকি কীভাবে হল? ১৮৫২ সালের ১৭ মার্চ ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যানিবেল দে গ্যাস্পারিস এ গ্রহাণুটি আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি এই গ্রহাণুটির নামকরণ করেছিলেন আত্মার গ্রীক দেবী সাইকির নামানুসারে। তিনি নশ্বর অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং প্রেমের দেবতা ইরোস (রোমান কিউপিড)-কে বিয়ে করেছিলেন। সূত্র: ফোর্বস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নিবন্ধন চূড়ান্ত: হজযাত্রী ৮৩ হাজার ২৪২ জন
হল্যান্ডের পেনাল্টি মিস,বিবর্ণ সিটি ফের হারাল পয়েন্ট
শরীফ থেকে শরীফার গল্প বাতিল করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিসিএ নির্বাচন সম্পন্ন: মিজান সভাপতি, মতিন সম্পাদক
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৩
বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী: শাহজাহান চৌধুরী
সচিবালয়ে আগুন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করলো এবি পার্টি
পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় গৌরনদীতে উপ-সহকারী ২ কৃষি কর্মকর্তা এলাকাবাসীর হাতে আটক
‘প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ও সম্পদ দখল করে পতিত সরকারের শিল্পমন্ত্রীর কন্যা’
আশিয়ান সিটির স্টলে বুকিং দিলেই মিলছে ল্যাপটপ
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা: ইসলামী আইনজীবী পরিষদ
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
লামায় ১৭টি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতঘর পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনায় ৪জন গ্রেপ্তার
বিজয় দিবস টেনিস শুক্রবার শুরু
আশুলিয়ায় ভাড়াটিয়া তাড়িয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ
আজানের জবাব দেওয়া প্রসঙ্গে।
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে নাকে খত দেওয়ার ঘটনায় মামলা
শরীয়তপুরে শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ