চীন নিয়ে সত্য তথ্য তুলে ধরায় হেনস্থার শিকার অস্ট্রেলিয়ার নারী বিশেষজ্ঞ
২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৫ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৯ এএম
টুইটারে মাউরিন এ হুউবেলকে বয়কট করা হচ্ছে। এমনকি তাকে রোবট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা দেয়া হয়েছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি তিনি মেলবোর্নের নিজের বাড়ী থেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আসল মানুষ। রোবট নয়।’
তিনি বলেন, সিনচিয়াংয়ের বাস্তবতা জানাতে গিয়ে তিনি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। কিছু কিছু মানুষ চীন নিয়ে মিথ্যাচার করে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। তার গবেষণা তাদের মিথ্যাচার খণ্ডন করবে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
অনেক দিন ধরে পশ্চিমা কিছু গণমাধ্যম ও রাজনীতিক ‘সিনচিয়াংয়ে গণহত্যা’র অভিযোগ করে আসছে। তবে, তিনি এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি জানেন যে সিনচিয়াংয়ে জিডিপি’র ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জনসংখ্যাও অনেক বেড়েছে। সিনচিয়াংয়ের বাস্তবতা জানাতে তিনি টুইটারে পেইজ খুলেছেন এবং গবেষণা শুরু করেছেন, যা কয়েক হাজার ফলোয়ারকে আকর্ষণ করেছে। তবে, তখন থেকে তাকে চীনের ‘সাইবার আর্মি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা শুরু হয়। কিছু কিছু লোক রঙিন চশমায় চীনকে দেখে।
তিনি বলেন, “যখন আমি চীনকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করি, তখন তারা আমার বিরুদ্ধে ‘সমালোচনা করার ক্ষমতা’ না থাকার অভিযোগ আনেন।”
মাউরিন এ হুউবেল টুইটারে ২০২৪ সালে সিনচিয়াংয়ের দারিদ্র্যবিমোচন সম্পর্কে জানাবেন। এ কারণে তাকে নিয়ে আরও বিষাক্ত মন্তব্য করা হচ্ছে ইন্টারনেটে। সস্তা প্রচারযন্ত্র এবং তোমার কোনো লজ্জা নেইসহ এমন আরও অনেক সমালোচনা করা হচ্ছে। সে সব সমালোচকদের কাছ থেকে সিনচিয়াংয়ে গণহত্যার প্রমাণ চাইলেও তারা মাউরিন হুউবেলকে কোনো উত্তর দেয়নি।
তাছাড়া, মাউরিন হুউবেল জার্মান পণ্ডিত অ্যাড্রিয়ান জেনজের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে জেনজ ডেটা এবং প্রতিবেদন তৈরি করে সিনচিয়াং নিয়ে মিথ্যাচার করে আসছেন। জেনজের কাছে সিনচিয়াংয়ে গিয়ে তদন্ত করা এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত গবেষণার পদ্ধতিসহ নানা দলিল চেয়েছেন মাউরিন হুউবেল। তবে, মাউরিন হুউবেল’র আন্তরিক অনুরোধের জবাব দেননি জেনজ। বরং মাউরিন হুউবেল’র একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। জেনজ মাউরিন হুউবেল’র অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেন এবং তার অ্যাকাউন্টকে নকল বলে আখ্যায়িত করেন। তবে, অ্যাকাউন্ট পুনরায় খোলার জন্য মাউরিন হুউবেল তার বিশ্ববিদ্যালয়কে টুইটার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন এবং বেশ কয়েটি একাডেমিক আর্টিকেল প্রকাশ করেছেন। ফলে তার অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু হয়েছে।
চীন সম্পর্কে কিছু কিছু অস্ট্রেলিয়ানের মতামত তার অভিমত থেকে আলাদা। চীন সম্পর্কে কম জানেন বলে তাদের মধ্যে এ পার্থক্য তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। শৈশবে চীন সম্পর্কে তিনিও কিছুই জানতেন না। তবে, ধীরে ধীরে চীন সম্পর্কে জানার পর তিনি মনে করেন, “আমি জানি যে চীন সাম্রাজ্যবাদী দেশ নয়। দেশের অধিকতর মানুষ সচেতন যে আমরা আমেরিকা মহাদেশে বাস করছি না। আমরা এশিয়া মহাদেশের কাছে বাস করি। অস্ট্রেলিয়ার অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে হবে আমাদেরকে।” সূত্র: সিনহুয়া।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘট, বন্ধ রয়েছে পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রম
'কাঠামোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক উপযোগী করলেই আমরা গণতন্ত্রকে সফল করতে পারব
ইসরাইলের বিমানবন্দরে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতিদের
ভর শীতে ও গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের বিলে-ঝিলে দেখা মিলছে না অতিথি পাখির!
এ বছর আর হচ্ছে না বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক
দীর্ঘদিন শরীর সুস্থ রাখার উপায়
গফরগাঁওয়ে ভয়াবহ ব্রহ্মপুত্র ট্রেন দুর্ঘটনা: গুরুতর আহত ১
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম গুরুতর বার্ড ফ্লু সংক্রমণে মিউটেশন, শনাক্ত একজন
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সূর্যের নিকটতম যাত্রা, নিরাপদে ফিরে এলো নাসার পার্কার সোলার প্রোব
দোয়ারাবাজার পল্লীতে যুবক খুন
স্পেনগামী সমুদ্রপথে ২০২৪ সালে অভিবাসীদের রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু
অভিনয়ের জন্য গোসল করতেন না অনিল কাপুর
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৫ সালে রাশিয়া সফর করবেন
শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী টাইম ওয়ার্নারের প্রাক্তন সিইও রিচার্ড ডি. পারসন্সের মৃত্যু
নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস