ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

আসামে অনুপ্রবেশের কারণেই মুসলমান বেড়েছে: আদালতে ভারত সরকার

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০২ মে ২০২৩, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৩, ১১:২৯ এএম

 

 ভারতের গুয়াহাটি হাইকোর্টে চলমান এক মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসামে মুসলিম জনসংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে এবং ‘সীমান্তের ওপার থেকে আসা’ লোকজনরাই এ জন্য দায়ী।

গত শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ওই মামলার শুনানিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমার দেব চৌধুরী আদালতে এই বক্তব্য পেশ করেন। “ভারতের এই অংশটিকে দেশের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আলাদা করার জন্যই” এই ষড়যন্ত্র আঁটা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আসামে যারা বিদেশি বা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ইতিমধ্যেই শনাক্ত হয়েছেন তাদের ডিপোর্টেশনের আগে ভারতে থাকাকালীন কী কী অধিকার প্রাপ্য, সেই সংক্রান্ত একটি মামলাতেই কেন্দ্র তাদের এই অবস্থান জানিয়েছে। দেশের বহু আইন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার আইনজীবী কেন্দ্রীয় সরকারের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আসামের মুসলিম সিভিল সোসাইটির নেতৃস্থানীয়রা আবার বলছেন, রাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যা যদি বেড়েও থাকে তাহলে সেটার জন্য সীমান্তের অন্য দিক থেকে হওয়া অনুপ্রবেশ দায়ী – এরকম দাবির কোনও ভিত্তি নেই, প্রমাণও নেই! তবে উল্টোদিকে কোনও কোনও আইনজীবী আবার মনে করেন, আসামে যে বছরের পর বছর ধরে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটেছে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর খসড়া পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। “আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বক্তব্য সম্ভবত সেই উপলব্ধিরই প্রতিফলন”, বিবিসিকে জানিয়েছেন তারা।

অবৈধ অনুপ্রবেশ বস্তুত আসামে বহু পুরনো ও স্পর্শকাতর একটি রাজনৈতিক ইস্যু। টানা বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যে এনআরসি অভিযান চালানোর পরও সেই বিতর্কের কোনও মীমাংসা হয়নি – এখন আদালতে কেন্দ্রের এই অবস্থান সেই বিতর্কেই নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন।

আদালতে কেন্দ্র যা বলেছে

যে মামলার সূত্র ধরে এই বিতর্ক সেটি আসলে ২০১৬ সালের। আসামের মরিগাঁও জেলার এক মুসলিম বাসিন্দার কাগজপত্রে বাবার নামে কিছু অসঙ্গতি ছিল – তার ভিত্তিতে জেলার পুলিশ সুপার একটি ‘রেফারেন্স রিপোর্ট’ দেন এবং আসামের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল তাকে ‘বিদেশি’ বলে চিহ্নিত করে। তবে এই ব্যক্তিকে এখনও অন্য দেশে ডিপোর্ট করা যায়নি। ইতিমধ্যে ২০২২ সালে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল অন্য একটি মামলায় তাকে আটক করে।

এই আটকাদেশের বিরুদ্ধেই গুয়াহাটি হাইকোর্টে তিনি আপিল করেছেন এবং ট্রাইব্যুনাল যাদের ‘বিদেশি’ বলে শনাক্ত করেছে ভারতে থাকাকালীন তাদের কোন কোন অধিকার প্রাপ্য, সেই প্রশ্নেই এখন শুনানি চলছে। গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি এ এম বুজর বড়ুয়া ও বিচারপতি রবিন ফুকনের বেঞ্চে ২৮ এপ্রিল এই মামলার শুনানিতেই রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য তুলে ধরেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমার দেব চৌধুরী।

দেব চৌধুরী বলেন, “আদমশুমারির তথ্য বলছে, ১৯৫১ থেকেই আসামে মুসলিমদের জনসংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে।” “এখানে স্বাভাবিক নিয়মে জনসংখ্যা বাড়ছে বলেই এটা হচ্ছে তা কিন্তু নয়, বরং (সীমান্তের) অন্য পার থেকে তারা আসছে বলেই এই বিপুল বৃদ্ধি ঘটছে। আর প্রথমে এসেই তারা আশ্রয় নিচ্ছে রিজার্ভ (সংরক্ষিত) এলাকায়।” “ভারতের এই অংশটাকে ছিনিয়ে নিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে জুড়ে দিতেই এটা করা হয়েছে”, মন্তব্য করেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল।

আসাম লাগোয়া বাংলাদেশের নাম উল্লেখ না-করলেও ‘অন্য পার’ বলতে তিনি কোথাকার কথা বোঝাতে চেয়েছেন তা অবশ্য স্পষ্টই। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, ১৯০৫ সালে ব্রিটিশরা যে ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাগ করেছিল, তখন থেকেই মুসলিমদের আসামে এনে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। “ব্রিটিশরা তাদের এনে আসামের চরাঞ্চলে বিভিন্ন নদী বরাবর বসানোর ব্যবস্থা করে। তখন মুসলিমরা কোন এলাকায় থাকবে তার জন্য একটা লাইনও টানা হয়েছিল, যেটাকে বলা হত ইনার লাইন।”

“মুসলিমরা সেখানেই বসতি করে থাকতে শুরু করে। কিন্তু তাদের সেই থাকার কোনও আইনগত সাপোর্ট ছিল না, কারণ ইনার লাইনের অস্তিত্ত্ব ছিল শুধু কাগজেই”, আদালতকে জানান তিনি। ‘বিদেশি’ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর যাদের ডিপোর্টেশন এখনো সম্ভব হয়নি, তাদের সংবিধানের ২১ নম্বর আর্টিকেল অনুসারে কেবলমাত্র ‘রাইট টু লাইফ’ বা ‘জীবনের অধিকার’ আছে বলেও মতামত দেয় কেন্দ্র। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল আরও যুক্তি দেন, এই চিহ্নিত বিদেশিরা যদি আগে কোনও জমির কেনাবেচা বা লেনদেন করে থাকেন তাহলে সেটাও বাতিল বলে গণ্য হবে। সেই জমি তখন রাষ্ট্রের হেফাজতে চলে আসবে, ক্রেতা তা ভোগ করতে পারবেন না।

‘কেন্দ্রের দাবির ভিত্তি নেই’

গুয়াহাটি হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বক্তব্যকে দেশের একাধিক প্রথম সারির আইনজীবী ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন। বিবিসিকে তারা অনেকেই বলেছেন, আসামে এমন সংবেদনশীল একটি ইস্যুতে রাষ্ট্রপক্ষের কাছ থেকে এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য প্রত্যাশিত ছিল না। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল তার বক্তব্যের সমর্থনে কোনও প্রমাণ দেননি, সেটাও তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। তবে মামলার সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে জড়িত থাকায় কিংবা বিষয়টি ‘বিচারাধীন’ থাকায় তারা অনেকেই প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন।

তবে গুয়াহাটি হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তথা আসামে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির উপদেষ্টা হাফিজ রশিদ চৌধুরীকে বিবিসি বাংলাকে পরিষ্কার বলেছেন, “অনুপ্রবেশের কারণে আসামে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে এই দাবির বিন্দুমাত্র ভিত্তি নেই!” চৌধুরীর কথায়, “তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই রাজ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে তাহলে সেটা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অভাবে বা অন্য কোনও কারণে হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে মুসলিমরা তাদের সংখ্যা বাড়াচ্ছেন এই তথ্য কেন্দ্র কোথায় পেল?”

১৯৮৫র আসাম চুক্তিতে ১৯৭১র ২৫ মার্চকে নাগরিকত্ব পাওয়ার কাট-অফ তারিখ হিসেবে ধরা হয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়, ওই তারিখের আগে যারা রাজ্যে এসেছেন তারাই ভারতের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন এবং সেই মর্মে দেশের নাগরিকত্ব আইনও সংশোধন করা হয়। এখন এই ন্যারেটিভকে ১৯০৫র বঙ্গভঙ্গের সময়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেই মনে করছেন হাফিজ রশিদ চৌধুরী।

তিনি আরও বলছিলেন, “১৯৭১র আদমশুমারির দশ বছর পর ১৯৮১তে সারা ভারতে আবার যে আদমশুমারি হয়, সেটা কিন্তু আসামে হতে পারেনি। আসামে ‘৭১র পর সেন্সাস হয়েছিল পুরো বিশ বছর বাদে, সেই ১৯৯১ সালে।” “এখন একাত্তরে মেঘালয় বা অরুণাচল প্রদেশের মতো অনেক রাজ্যই আসামের অংশ ছিল, যেখানে মুসলিমদের সংখ্যা বরাবরই খুব কম। বিশ বছর পর আবার যখন সেন্সাস হল ততদিনে মেঘালয় বা অরুণাচলকে আসাম থেকে কেটে বাদ দিয়ে আলাদা রাজ্য করা হয়েছে।” “ফলে ’৯১ সালের সেন্সাসে আসামে মুসলিমদের আনুপাতিক জনসংখ্যা যে বেড়ে গিয়েছিল তাতে তাই আশ্চর্য হওয়ার কারণ নেই!”

মুসলিমদের সেই সংখ্যাবৃদ্ধিকেই এখন স্রেফ রাজনৈতিক কারণে অনুপ্রবেশের ‘স্পিন’ দিয়ে পেশ করা হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা অনেকে মনে করছেন। আসাম তথা ভারতের বহু বিশ্লেষকই কিন্তু মনে করেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ আসামের ক্ষেত্রে একটা বিরাট সমস্যা এবং সেটাকে উপেক্ষা করার কোনও সুযোগ নেই। গুয়াহাটি হাইকোর্টে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার (২ মে) এবং তারপর থেকে রোজ শুনানি চলবে। সূত্র: বিবিসি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কুমিল্লায় অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় প্রবাসীর ওপর হামলা

কুমিল্লায় অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় প্রবাসীর ওপর হামলা

এবার হলিউডের সিনেমায় জ্যাকুলিন

এবার হলিউডের সিনেমায় জ্যাকুলিন

৯ বছর পর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানি সিনেমা!

৯ বছর পর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানি সিনেমা!

জামাত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামাত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি

‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি

ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত

ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত

‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি

‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি

রাসূলুল্লাহ (সা.) আদর্শই একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান

রাসূলুল্লাহ (সা.) আদর্শই একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান

নারী মাদকসেবীদের জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নারী মাদকসেবীদের জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার: তারেক রহমান

ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার: তারেক রহমান

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয় : ইউট্যাব

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয় : ইউট্যাব

আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের

আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের

কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও অনুপ্রবেশকারীর দলে জায়গা হবে না-কেন্দ্রীয় যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরল ইসলাম নয়ন।

কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও অনুপ্রবেশকারীর দলে জায়গা হবে না-কেন্দ্রীয় যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরল ইসলাম নয়ন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে সমাবেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে সমাবেশ