মণিপুর থেকে পালাচ্ছে বাসিন্দারা, শরণার্থীর ঢল মিজোরামে
০৮ মে ২০২৩, ০৮:২২ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ১২:০৪ এএম
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উপদ্রুত মণিপুর থেকে দেশের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। বিশেষ বিমানে তাদের নিরাপদে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এছাড়াও হিংসাকবলিত মণিপুর থেকে প্রায় ছশো মানুষ পার্শ্ববর্তী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন, যারা প্রায় সবাই কুকি-চিন-মিজো জনগোষ্ঠীর মানুষ।
ভারতের যে সব রাজ্য মণিপুর থেকে তাদের ছাত্রছাত্রী বা লোকেদের সরিয়ে আনছে তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি বা মহারাষ্ট্র। গত বুধবার থেকে অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে বলে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে। সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলস মিলে রবিবার পর্যন্ত ওই রাজ্যের ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনেছে।
এদিকে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ওই রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, মেইতেই সম্প্রদায়কে ওই মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করে কেন্দ্রের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখতে হাইকোর্ট মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই রাজ্যে সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
ইতিমধ্যে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মণিপুরে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এমএলএ ডিনগাংলুং গাংমেই সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। তার সেই আবেদনের ওপর আজই (সোমবার) শীর্ষ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে মণিপুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সেখানকার কুকি জনগোষ্ঠীর মানুষরা দলে দলে পার্শ্ববর্তী মিজোরামের দিকে যেতে শুরু করেছেন। মিজো, কুকি ও চিন-রা নিজেদের একই জাতিগোষ্ঠীর অংশ বলে মনে করেন এবং ঐতিহাসিকভাবেই তারা একে অন্যের বিপদে প্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে মণিপুরের কুকিরা এবারেও মিজোরামে আশ্রয় পাচ্ছেন।
মিজোরাম সরকার জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৪ঠা মে) থেকে রবিবার (৭ মে) পর্যন্ত প্রায় ছশো মানুষ মণিপুর থেকে এসে তাদের রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী আইজল সংলগ্ন জেলাতেই এসেছেন ১৫১ জন। বিভিন্ন অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে তাদের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তা ছাড়া আসাম সীমান্তের কাছে কোলাসিব জেলাতে আরও ২২৮ জন ও মণিপুর লাগোয়া সাইতুয়ার জেলাতে আরও ২১৭জনকে আশ্রয় দিয়েছে মিজোরাম। মিজোরামে গত দুবছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার থেকে আসা চল্লিশ হাজারেরও বেশি চিন শরণার্থী বসবাস করছেন। ফলে মিজোরামে অনেক আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ছিলেন, এখন মণিপুর থেকে নতুন করে আসা শরণার্থীদের স্রোত ভারতের এই ছোট রাজ্যটিকে নতুন করে আরও বেশি চাপে ফেলে দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রেমিট্যান্সে সুবাতাস: ডিসেম্বরের ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার
প্রশাসন ক্যাডারের ‘ইয়াং অফিসার্স’ ফোরামের সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক জয়
ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ’র উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র জনতার বিজয়কে নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না
বিপিএল মিউজিক ফেস্ট: যান চলাচলে যে নির্দেশনা ডিএমপির
গাজীপুরের শ্রীপুরে মেঘনা গ্রুপের একটি বাটন তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
সোনারগাঁওয়ে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত
আনজার গ্রুপের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের সংবর্ধনা
মির্জাপুরে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়ায় জনদুর্ভোগ এলাকাবাসির মানববন্ধন
মেধা বৃত্তির ফলাফল ঘোষণা করলো উষা
পাহাড় কাটা, বায়ুদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জোরদার করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ফুলপুরে অবৈধ ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, এক লাখ টাকা জরিমানা
মিরপুরে বেড়েছে চুরি ছিনতাই
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা ফখরুল
মাগুরায় দলকে গতিশীল করতে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মৌলভীবাজারে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু, জিরো লাইন থেকে লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে ভুয়া সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জনতা
সেনবাগে ট্রাক্টর চাপায় ১ শিশু মৃত্যু : আহত ১