ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় চীন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৮ মে ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ১২:০৪ এএম

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়াতে চায় চীন। চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার (৮ মে) পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রধানকে একথাই বলেছেন। -রয়টার্স

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সোমবার পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রধানকে বলেছেন, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষায় দুই প্রতিবেশীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নৌবাহিনীসহ সামরিক বাহিনীকে ‘সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র প্রসারিত’ করা উচিত। পাকিস্তান ও চীনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক বহু বছর আগের এবং উভয় দেশের নৌ ও বিমান বাহিনী একে অপরের ভূখণ্ডে দ্বিপাক্ষিক সামরিক মহড়া চালিয়ে থাকে।

রয়টার্স বলছে, চীনের জন্য মালাক্কা প্রণালীতে সামুদ্রিক অবরোধের ক্ষেত্রে পাকিস্তান এবং আরব সাগরে দেশটির প্রবেশাধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২০১৭ সালে ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিবুতিতে চীন তার প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি চালু করার পর এই অঞ্চলে চীনা আগ্রহ প্রতিবেশী ভারতের উদ্বেগকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বেইজিং সফরে গেছেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান আমজাদ খান নিয়াজি। আর সেখানেই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু সফররত পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধানকে বলেছেন, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রধান অংশ।

চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুসারে লি বলেছেন, ‘দুই সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা বিনিময়ের নতুন ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করা উচিত, সব ধরনের ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য নিজেদের দক্ষতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করার জন্য সহযোগিতার নতুন উচ্চতায় নেওয়া উচিত এবং দুই দেশ ও অঞ্চলের নিরাপত্তা স্বার্থ যৌথভাবে বজায় রাখা উচিত।’

এর আগে গত এপ্রিলের শেষের দিকে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ঝাং ইউজিয়া বলেছিলেন, চীনা সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সাথে সহযোগিতা আরও গভীর ও প্রসারিত করতে ইচ্ছুক। আর এরপরই চীন সফরে যান পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান আমজাদ খান নিয়াজি।

চীনা অর্থায়নে পাকিস্তানের গোয়াদারে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। তবে চীন এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করেনি যে, তারা পাকিস্তানের এই কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে সামরিক ভাবে প্রবেশাধিকার চেয়েছে কিনা। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এর আগে পাকিস্তানকে ভবিষ্যতে চীনা সামরিক ঘাঁটির সম্ভাব্য অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেখানে গোয়াদার বন্দরকে চীনের সম্ভাব্য অবস্থান হিসেবে দেখা হয়েছে। আর এসব কিছুই নয়াদিল্লির উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি   - মুশফিকুর রহমান

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত

চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

শাল্লায় কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ

শাল্লায় কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ

ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ

ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ

রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু

রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু

সালথায় সেতুর রেলিং-পাটাতন ভেঙে বেহাল দশা : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

সালথায় সেতুর রেলিং-পাটাতন ভেঙে বেহাল দশা : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও সুস্থ নন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও সুস্থ নন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল

আত্মহত্যা না কি খুন? ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু

আত্মহত্যা না কি খুন? ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু

বিচার বিভাগে পৃথক সচিবালয় ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগে পৃথক সচিবালয় ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : প্রধান বিচারপতি

বিভিন্ন সময়ে যেসব বিতর্কিত অভিযান চালিয়েছে মোসাদ

বিভিন্ন সময়ে যেসব বিতর্কিত অভিযান চালিয়েছে মোসাদ

শেরপুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানীর মৃত্যু

শেরপুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানীর মৃত্যু