এরদোয়ানের জন্য ‘দুঃসংবাদ’, নির্বাচন থেকে সরে গেলেন এক প্রার্থী
১২ মে ২০২৩, ০৮:২৩ এএম | আপডেট: ১২ মে ২০২৩, ০৮:২৩ এএম
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হোমল্যান্ড পার্টির প্রার্থী মুহারেম ইনস। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে বৃহস্পতিবার (১১ মে) হঠাৎ করে এমন ঘোষণা দেন তিনি। আগামী রোববার (১৪ মে) তুরস্কে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মুহারেম ইনস সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে। অপরদিকে এ বিষয়টি এরদোয়ানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিকদারোগলোর জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।
হোমল্যান্ড পার্টির মুহারেম ইনসের যেসব সমর্থক আছেন তারা তাদের ভোটগুলো এখন কেমালকে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিকদারোগলো ছয়টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মূল লক্ষ্য তুরস্কে এরদোয়ানের শাসনের অবসান ঘটানো।
হোমল্যান্ড পার্টির মুহারেম ইনস নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পর একটি টুইট করেন কেমাল। এতে ইনসকে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
এদিকে তুরস্কের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবমিলিয়ে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এরমধ্যে একজন সরে দাঁড়ানোয় আর মাত্র তিনজন এই দৌঁড়ে টিকে রইলেন।
নির্বাচন নিয়ে গত ৬ ও ৭ মে ৩ হাজার ৪৮০ মানুষের ওপর একটি জরিপ চালায় তুরস্কের স্বাধীন গবেষণা এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা কোন্ডা। এতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেমাল। গড়ে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তাকে নেতৃত্বে দেখতে চান। এরদোয়ানকে চান ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওরগানের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের। অপরদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো মুহারেম ইনসের প্রতি সমর্থন ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশের। এই ভোটগুলোই এখন কেমালের ব্যালটে যেতে পারে।
তুরস্কের নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে- একজন প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট এককভাবে পেতে হবে। যদি কেউ এককভাব ৫০ শতাংশ ভোট না পান তাহলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন হবে। এতে যে বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
এদিকে মুহারেম ইনস যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তখন আঙ্কারায় একটি নির্বাচনী প্রচারনায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এ ব্যাপারে বলেন, ‘একজন প্রতিদ্বন্দ্বী সরে দাঁড়িয়েছেন। আসলে আমি ব্যাথিত হয়েছি। আমি ভাবছি কী হয়েছে, আমি জানি না।’ সূত্র: আল জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন