তালেবান হানায় ভাঙা দেয়ালে ছবি আঁকেন কাবুলের অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণী
১২ মে ২০২৩, ১০:৩৭ এএম | আপডেট: ১২ মে ২০২৩, ১০:৩৮ এএম

তালেবানের হানায় শহর জুড়ে যা ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা ঢেকে দিতেই রং তুলি নিয়ে পথে নেমেছেন তরুণী। কাজটা সহজ নয়। বুলেট-বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়ালে ছবি আঁকা, আফগানিস্তানের মতো রক্ষণশীল একটি দেশের কোনও মহিলার পক্ষে রীতিমতো দুঃসাহসের কাজ। কখনও তার দিকে ছোড়া হয় পাথর, কখনও ছুটে আসে অকথা কুকথা। এমনকি তালেবানি উগ্রপন্থীদের ছোড়া অ্যাসিডেও আহত হয়েছিলেন এই তরুণী। কিন্তু এই সবকিছু সত্ত্বেও তিনি হার মানতে নারাজ। মারের মুখের উপর দিয়ে ফুল ফোটানোর পথেই এগিয়ে চলেছেন শামসিয়া হাসানি।
তালেবান শাসনে কী অবস্থা হবে আফগানভূমের মহিলাদের, তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল গোড়া থেকেই। আর আফগানিস্তানে নয়া সরকার প্রতিষ্ঠার পর সত্যি হয়ে গিয়েছে সেইসব আশঙ্কাই। দেখা গিয়েছে মেয়েদের সম্পর্কে মুখে উদারনীতির কথা বললেও, আদতে তাদের ঘিরে কড়া নিষেধের পাঁচিল তুলে দিতেই আগ্রহী তালেবান। তাই মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে যেমন একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তেমনই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত শিল্পচর্চার পথ। গানবাজনার সম্প্রচার বন্ধ করার কড়া নির্দেশ জারি হয়েছে দেশে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে পালটা প্রতিবাদের চেষ্টা জিইয়ে রেখেছেন কেউ কেউ। শামসিয়া হাসানি তাদেরই একজন। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এই তরুণী ব্রত নিয়েছেন, তালেবানের গোলাগুলির আঘাত শহরের যেসব দেওয়ালে স্থায়ী ছাপ রেখে গিয়েছে, রং তুলি দিয়েই সেইসব ক্ষত ঢেকে দেবেন তিনি।
যদিও মালালার মতোই, আফগানিস্তানের কান্দাহারে তালেবানের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই তরুণী। ২০০৮ সালের নভেম্বরে অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিলেন তিনি। কাবুল এবং দিল্লিতে দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সেরে উঠেছেন। চোখে অবশ্য রয়ে গিয়েছে চিরস্থায়ী ক্ষত। কিন্তু দেশের বুক থেকে যুদ্ধের ক্ষত মুছে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শামসিয়া। তাই গত কয়েক বছর ধরে, কাবুলের ক্ষতবিক্ষত দেওয়ালগুলোয় নানা উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করে তিনি তুলে ধরেছেন যুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের নির্মমতাকে। তালেবান শাসনে মেয়েদের কী অবস্থা, সে কথাও তিনি তুলে ধরেছেন তার ছবিতে।
যদিও তালেবানি মনোভাবাপন্ন জনতার অত্যাচারে অনেকসময়ই পুরো গ্রাফিতি এঁকে উঠতে পারেন না তিনি। কিন্তু শামসিয়ার বক্তব্য, মানুষের মন থেকে যুদ্ধের সব যন্ত্রণার স্মৃতি মুছে দিতে চান তিনি। তবে মানুষের মনের উপরে তাঁর হাত নেই। তাই মানুষের চোখে যে দেয়ালগুলি পড়ে, সেখানেই এই ক্ষত মুছে দিয়ে আনন্দের বার্তা দিতে চান শামসিয়া হাসানি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন

এবার দিল্লির হোটেলে ব্রিটিশ নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি
পদ্মা নদীতে বালু কাটা বাংলা ড্রেজিংসহ ১ জন গ্রেফতার

ভারতে মাইক ব্যবহারে বাধা, মুখেই সেহরির জন্য ডাকছেন ঈমাম সাহেব! ভিডিও ভাইরাল

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাবেন ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা

শুক্রবার হোলি উৎসব ভারতে, বহু মসজিদে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে জুমার নামাজ

আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার

সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ভারতে অবৈধ অভিবাসন রোধে কঠোর প্রস্তাব, অনুপ্রবেশ করলে ৫ বছর কারাদণ্ড

উত্তরপত্রসহ ছাত্রীকে প্রশ্ন সরবারহের অভিযোগ কুবি শিক্ষক কাজী আনিছের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের ঋণমান কমিয়েছে মুডিস

সঙ্গীতে আসিফের হাত ধরে দ্যুতি ছড়াবেন জ্যোতি

রোজা না রাখায় কান ধরে ওঠবস করানো লক্ষীপুরের সেই নেতার প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা

মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা

ইফতারে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা

বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা কমিয়েছে সউদী আরব

অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব আশুলিয়ার ৬ পোশাক শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালেন শ্রমিক নেতা

‘ডেমন সিটি' নিয়ে কেন এতটা মাতামাতি জাপানে?

মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা

আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে আর কোনো আলাপ নয়, ফুলস্টপ: হাসনাত