থাইল্যান্ডে তরুণ ভোটাররা ভূমিকম্প ঘটিয়েছে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৬ মে ২০২৩, ১১:০০ এএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৩, ১১:০০ এএম

থাইল্যান্ডের ভোটাররা নির্বাচনে এমন একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে চমক লাগানো রায় দিয়েছেন, যারা দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈপ্লবিক সংস্কারের ডাক দিচ্ছে। প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, সব প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি থাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০ আসনের মধ্যে ১৫১টি আসনে জয়লাভ করেছে।

বিশ্লেষকরা এই নির্বাচনের ফলকে এক রাজনৈতিক ভূমিকম্প বলে বর্ণনা করছেন, কারণ এটি থাই জনমতে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

নির্বাচনের আগে জনমত জরিপে এগিয়ে ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন চিনাওয়াতের মেয়ের নেতৃত্বাধীন ফিউ থাই পার্টি। কিন্তু মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এখন তাদের চেয়েও ১০টি আসন বেশি পেয়ে এগিয়ে আছে।

একইসাথে এই নির্বাচনী ফলকে থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তাদের সেনা-সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যাখ্যানের সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। সরকারি জোট মাত্র ১৫ শতাংশ আসন জিতেছে।

বিজয়ী দল মুভ ফরোয়ার্ডের নেতা পিটা লিমজারাট বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা কোনো চেষ্টা বাদ রাখিনি। গত এক দশকে জনগণ অনেক ভুগেছে। এখন এক নতুন দিন শুরু হচ্ছে।’

নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ফিউ থাই। দলটি জানিয়েছে, তারা মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এবং আরো চারটি ছোট দলের সাথে কোয়ালিশনে যোগ দিতে রাজী হয়েছে। এর ফলে নতুন পার্লামেন্টে এই জোটের আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০ শতাংশের বেশি।

কিন্তু তারপরো ২৫০ আসনের অনির্বাচিত সেনেটকে ভোটে হারাতে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা যথেষ্ট হবে না। সেনেটের সদস্যদের নিয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চা। এরা পরে সরকারের আমলেও পার্লামেন্টে যোগ দিতে পারবে। মুভ ফরোয়ার্ড যে প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বিজয়ী হয়েছে, সেনেটের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারে। বিশেষ করে রাজতন্ত্রের অবমাননা সম্পর্কিত আইন সংশোধনের যে বিতর্কিত প্রস্তাব।

থাইল্যান্ডে আগামী কয়েকদিনে যে রাজনৈতিক দরকষাকষি চলবে, সামরিক বাহিনী এবং তাদের সমর্থকরা এর সুযোগ নিয়ে বিজয়ী দলগুলোর সরকার গঠনের পথ আটকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক মানুষ। তবে সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা কম বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে ফেলে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে ২০২০ সালে এই দলের পূর্বসূরি ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টির ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছিল।

পরিবর্তনের হাওয়া
আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে, মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এবং ফিউ থাই পার্টি একযোগে কতটা কাজ করতে পারবে। কারণ আগের পার্লামেন্টে তাদের সম্পর্ক মোটেই মধুর ছিল না। পিটা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান। কিন্তু একটি কোয়ালিশন সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হলে যেরকম চতুর এবং নিষ্ঠুর হতে হয়, সেরকম কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি তাকে এ পর্যন্ত হতে হয়নি।

কিন্তু এসব অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে থাইল্যান্ডের মানুষ আজ সকালে এক পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রাজাক কোনকিরাটি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের রায় দেখে বোঝা যায় তারা প্রায়ুথ শাসনামল থেকে মুক্তি চায়। এই রায়ে বোঝা যায়, মানুষ মুভ ফরোয়ার্ড যে পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে তাতে বিশ্বাস করে।’

থাই সোশ্যাল মিডিয়া এখন ভেসে যাচ্ছে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সমর্থকদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ বার্তায়। এরা নিজেদের বর্ণনা করত ‘অর্গানিক ক্যানভাসার’ বলে। তারা দলের বিজয়কে ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ এবং ‘এক নতুন যুগের ভোর’ বলে বর্ণনা করছে।

পিটা টুইট করে বলেছেন, তিনি থাইল্যান্ডের ৩০তম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একই স্বপ্ন দেখি, একই আশা পোষণ করি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের প্রিয় দেশকে অনেক ভালো করা সম্ভব। আমরা সবাই যদি একসাথে কাজ করি, পরিবর্তন আনা সম্ভব।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই নির্বাচন প্রমাণ করেছে, যদিও মাত্র চার বছর পেরিয়েছে, কিন্তু মানুষের চিন্তাভাবনায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে, গণতন্ত্রপন্থীদের মধ্যে এবং বিদ্যমান ক্ষমতা-কাঠামোর মধ্যে। গণতন্ত্রকে স্বয়ংসিদ্ধ বলে ধরে নেয়া ঠিক হবে না।’

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে পেছনে ফেলে যে বিজয় পেয়েছে, সেটি যে সম্ভব হতে পারে, এক সময় তা অকল্পনীয় ছিল। এই দলটি থাইল্যান্ডের বৈপ্লবিক রূপান্তরের কথা বলছে। আমলাতন্ত্র, অর্থনীতি, সামরিক বাহিনীর ভূমিকা থেকে শুরু করে এমনকি রাজতন্ত্রকে রক্ষাকারী আইনে পর্যন্ত তারা বৈপ্লবিক সংস্কার করতে চায়।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির উত্থান যেভাবে
থাইল্যান্ডে ২০২০ সালে প্রায় মাস-খানেক ধরে ছাত্রদের নেতৃত্বে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তাতে এগুলোই ছিল মূল দাবি। মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির প্রার্থীদের অনেকেই ছিলেন ওই আন্দোলনের নেতা। আর ২০২০ সালের ওই বিক্ষোভের মতো মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির বিজয়েও বড় ভূমিকা রেখেছে তরুণ ও নিবেদিতপ্রাণ ভোটাররা।

নির্বাচনের আগে যখন প্রচারাভিযান চলছিল, তখন এই তরুণ দলটির পক্ষে এরকম সমর্থনের আঁচ সহজেই পাওয়া যাচ্ছিল। থাই সোশ্যাল মিডিয়া তাদের পক্ষে নানা রকম ‘মিম’ দিয়ে সয়লাব করে দেয়া হয়েছিল। মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নামের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকেই তাদের বিরাট পদক্ষেপ নেয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করছিল।

রোববার থাইল্যান্ড জুড়ে ভোটের বুথগুলোতে বাস্তবেও ওই একই ধরণের ‘বিরাট পদক্ষেপ’ নিতে দেখা গেছে ভোটারদের। ভোটের দিন ভোটাররা কেবল এভাবেই জানাতে পারছিলেন কোন দলের পক্ষে তারা ভোট দিচ্ছেন। কারণ থাইল্যান্ডের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, ভোটাররা প্রকাশ্য বলতে পারেন না, কাকে তারা ভোট দিচ্ছেন। অনেকে উজ্জ্বল কমলা রঙের শার্ট, স্যান্ডেল এবং জুতো পরেছেন। যেটি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নির্বাচনী প্রচারাভিযানের রঙ।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির প্রার্থীদের অর্থকড়ি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ছিল অনেক কম। তাদের নির্ভর করতে হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর। অনেক সময় তারা তাদের প্রচারাভিযানের জন্য ব্যবহার করেছে বাইসাইকেল। তাদের পরিকল্পনা যে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্ট ছিল, সেটি তাদের বেশ সাহায্য করেছে।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে যুক্ত ছিল এরকম কোনো দলের সাথে তারা জোট সরকার করবে না। অন্য সংস্কারবাদী দল ফিউ থাই এরকম জোটের সম্ভাবনা নাকচ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

থাইল্যান্ডে মানুষ পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে আছে, সেটি পুরোপুরি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির পক্ষে গেছে। থাইল্যান্ডে ২৬ বছরের কম বয়সী ভোটারদের সংখ্যা বেশি নয়, পাঁচ কোটি বিশ লাখ ভোটারের মাত্র ১৪ শতাংশ। কিন্তু বয়স্ক ভোটারদের পক্ষে আনতে তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবর্তনের পক্ষে এই জনরায় সত্ত্বেও দুই সংস্কারপন্থী দলকে থাইল্যান্ডে সরকার গঠন করতে দেয়া হবে কিনা।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পিটাকে বেশ আশাবাদী বলে মনে হয়েছে। তার আশা যেন এ রকম ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, তারপরও যদি কেউ চিন্তা করে এই ফল বাতিল করে দেবে বা একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে, সেটার জন্য কিন্তু চরম মূল্য দিতে হবে। এটি এখন দুরাশা। আমি মনে করি না থাইল্যান্ডের জনগণ সেটা হতে দেবে।’

যেভাবে প্রচারাভিযান চালিয়েছে দলটি
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি তাদের সীমিত সম্পদ নিয়ে, স্বেচ্ছাসেবক তরুণদের কাজে লাগিয়ে যেভাবে প্রচারাভিযান চালিয়েছিল, সেটা ছিল বেশ অভিনব।

নির্বাচনের আগে ব্যাংককের উপকণ্ঠে তাদের এক ছোট্ট অফিসে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে একদল স্বেচ্ছাসেবক উৎসাহের সাথে নির্বাচনী প্রচারপত্র গোছগাছ করছে। এসব প্রচারপত্র নিয়ে প্রতিদিন তারা ভোট চাইতে বেরিয়ে যেত।

মুভ ফরোয়ার্ড প্রার্থী রাকচানাক আইস স্রিনর্ক ২৮ বছর বয়সী এক উদ্যমী নারী। নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালানোর জন্য তার টিম সস্তায় কিছু বাইসাইকেল কিনেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা এসব সাইকেলে চড়েই প্রতিদিন প্রচারাভিযানের কাজে বেরিয়ে পড়ে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে তারা ব্যাং বন এলাকার বাড়ি বাড়ি যায়।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি যে একগাদা তরুণ, আদর্শবাদী প্রার্থীকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে, আইস তাদেরই একজন। এরা মূলধারার রাজনীতিতে এসেছেন এরকম একটা আশা নিয়ে যে এই নির্বাচন দুই দশক ধরে থাইল্যান্ড সামরিক অভ্যুত্থান, রাস্তার বিক্ষোভ এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের যে দুষ্ট চক্রে আটকে আছে, সেখান থেকে মুক্তি দেবে।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি মূলত এর আগের ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টির উত্তরসূরি। পাঁচ বছর আগে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে এই দলের আবির্ভাব। ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে একেবারেই ভিন্ন চিন্তাধারা নিয়ে এসেছিল। তারা থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তনের কথা বলছিল। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা সীমিত করা, এমনকি রাজতন্ত্রে পরিবর্তন আনার কথা বলছিল। যেটি নিয়ে কিনা থাইল্যান্ডে কোনো প্রশ্নই তোলা যায় না।

চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের থিটিনান পংসুধিরাক বলেন, ‘এদের মূল এজেন্ডাই ছিল থাইল্যান্ডের ভবিষ্যৎ যেন ক্ষমতাধরদের কাছ থেকে তরুণদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া যায়। এই শতকে থাইল্যান্ডের তরুণদের এমন একটা দেশে বাস করতে হয়েছে, যেটি এক দুষ্ট চক্রে আটকে হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের এখানে দুটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, একের পর এক দলকে বিচারের নাম করে বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় তরুণ জনগোষ্ঠী এতে ক্লান্ত এবং বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিল। ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি সেটাকেই পুঁজি করেছে।’

২০১৯ সালের নির্বাচনে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে পার্লামেন্টে এসে এটি সবাইকে চমকে দিয়েছিল। থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র-পন্থী সামরিক অফিসার, আমলা এবং বিচারকরা তখন রীতিমত জোট বেঁধে সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে এই দলটিকে বিলুপ্ত করে, এর নেতাদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করে। এরকম ঘটনা থাইল্যান্ডে আগেও বহুবার করা হয়েছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এই রাজনীতির নতুন দল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। অনেক জনমত জরিপেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল যে, দলটির তরুণ, সুদর্শন এবং চৌকস নেতা পিটা লিমজারাটই প্রধানমন্ত্রী পদের সম্ভাব্য প্রার্থী।

কে এই পিটা লিমজারাট
পিটার রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয় ২০১৯ সালে ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। বিরোধী এমপি হিসেবে তিনি পার্লামেন্টে যেসব বক্তৃতা দেন, তা শীঘ্রই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাকে রাজনীতিতে এক উদীয়মান তারকা বলে বর্ণনা করা হচ্ছিল। তিনি রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা খর্ব করা এবং রাজতন্ত্র সম্পর্কিত আইনে সংস্কারের পক্ষে বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়ে কথা বলছিলেন।

তার জন্ম থাইল্যান্ডের এক ধনী পরিবারে, রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার পরিবারের। তার বাবা ছিলেন থাইল্যান্ডের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং তার চাচা ছিলেন থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন চিনাওয়াতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। পিটা বলেছেন, রাজনীতিতে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেন নিউজিল্যান্ডে স্কুল ছাত্র থাকাকালে।

তিনি থাইল্যান্ডের থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে মাস্টার্স করেন। এমবিএ করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে।

তবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পিতার ব্যবসায় যোগ দিয়ে। পরে তিনি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি গ্র্যাবের নির্বাহী পরিচালকও ছিলেন। বিয়ে করেছিলেন থাই অভিনেত্রী এবং মডেল চুটিমা টিনপানাটকে, পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এখন তিনি তার সাত বছর বয়সী ছেলে পিপিমকে নিয়ে একাই থাকেন। সূত্র : বিবিসি


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিদায়বেলায়ও ইসরাইলকে আরও ৮০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিচ্ছেন বাইডেন
নিউ অরলিন্সে গাড়ি হামলায় ব্রিটিশ নাগরিক নিহত
ভারতীয় ভিসা সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশী রোগীরা বিপাকে
দূর থেকেই শত্রুর সাবমেরিন নিশ্চিহ্ন করতে পারবে সউদি
গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার আহ্বান, ডেনমার্ক থেকে মুক্তি চায় প্রধানমন্ত্রী মিউতে এগেদে
আরও

আরও পড়ুন

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া

বিদায়বেলায়ও ইসরাইলকে আরও ৮০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিচ্ছেন বাইডেন

বিদায়বেলায়ও ইসরাইলকে আরও ৮০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিচ্ছেন বাইডেন

পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন ডাউনলোড করবেন যেভাবে

পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন ডাউনলোড করবেন যেভাবে

কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও রিনাত ফৌজিয়া

কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও রিনাত ফৌজিয়া

যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে : সারজিস আলম

যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে : সারজিস আলম

নিউ অরলিন্সে গাড়ি হামলায় ব্রিটিশ নাগরিক নিহত

নিউ অরলিন্সে গাড়ি হামলায় ব্রিটিশ নাগরিক নিহত

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় তরুণদের আগ্রহ জুলাই-ছত্রিশ চত্বর

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় তরুণদের আগ্রহ জুলাই-ছত্রিশ চত্বর

ভারতীয় ভিসা সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা নিতে  বাংলাদেশী রোগীরা বিপাকে

ভারতীয় ভিসা সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশী রোগীরা বিপাকে

ওসমানীনগরে আ’লীগ নেতা আনা মিয়া গ্রেফতার

ওসমানীনগরে আ’লীগ নেতা আনা মিয়া গ্রেফতার

ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হচ্ছে জনতার বাজার

ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হচ্ছে জনতার বাজার

কারওয়ান বাজার এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ রাসেল জমাদ্দার গ্রেফতার

কারওয়ান বাজার এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ রাসেল জমাদ্দার গ্রেফতার

পটুয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের বেঁধে রেখে টাকা লুট ও ব্যবসায়ী অপহরণ

পটুয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের বেঁধে রেখে টাকা লুট ও ব্যবসায়ী অপহরণ

দূর থেকেই শত্রুর সাবমেরিন নিশ্চিহ্ন করতে পারবে সউদি

দূর থেকেই শত্রুর সাবমেরিন নিশ্চিহ্ন করতে পারবে সউদি

মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার আহ্বান, ডেনমার্ক থেকে মুক্তি চায় প্রধানমন্ত্রী মিউতে এগেদে

গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার আহ্বান, ডেনমার্ক থেকে মুক্তি চায় প্রধানমন্ত্রী মিউতে এগেদে

কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...

কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...

বিদায় বেলায় ইরানের পরমানু স্থাপনায় হামলার খায়েস বাইডেনের

বিদায় বেলায় ইরানের পরমানু স্থাপনায় হামলার খায়েস বাইডেনের

‘এইচএমপিভি’ এশিয়ায় নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক

‘এইচএমপিভি’ এশিয়ায় নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা : নিউ অরলিন্স সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা : নিউ অরলিন্স সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

বিয়ে করেছেন তাহসান খান, নতুন বছরের সেরা চমক

বিয়ে করেছেন তাহসান খান, নতুন বছরের সেরা চমক