পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান বুধবার তার দলের কর্মী ও নেতাদের ‘অবৈধ গ্রেপ্তার ও অপহরণের’ তীব্র নিন্দা করেছেন।

তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, পিটিআই ভাইস চেয়ারপারসন শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং মহাসচিব আসাদ উমর এখনও ‘এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে’ বন্দী রয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে, ‘আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও, সাংবাদিক ইমরান রিয়াজ খানকে আদালতে হাজির করা হয়নি’ তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের ‘নিশ্চিত’ প্রতিবেদন সহ।

ইমরান সমস্ত নারী পিটিআই নেতা, কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ‘অবিলম্বে মুক্তি’ দাবি করেছেন এবং প্রশ্ন করেছেন কেন শেহরায়ার আফ্রিদির স্ত্রী কারাগারে ছিলেন। ‘এটি সম্পূর্ণরূপে জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য যাতে তারা তাদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য দাঁড়াতে না পারে,’ তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও যোগ করেছেন যে, সাবেক মানবাধিকার মন্ত্রী ডাঃ শিরীন মাজারির চিকিৎসার পাশাপাশি তার মেয়ের ‘পুরুষ পুলিশ অফিসারদের দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার’ কথা শুনে তিনি ‘গভীরভাবে কষ্ট’ পেয়েছেন। পিটিআই প্রধান বলেছেন যে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) মাজারি এবং সিনেটর ফালাক নাজকে জামিন দেয়ার পরে, যাদেরকে ‘আদিয়ালা কারাগার থেকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং সেক্রেটারিয়েট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে ডাঃ মাজারির চিৎকার শোনা গিয়েছিল’।

ইমরান অব্যাহত রেখেছিলেন যে পিটিআই-এর মহিলা সমর্থকদের সাথে ‘বর্বর আচরণের সামনে আসা ভিডিও প্রমাণ’ ‘নিন্দনীয়’ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অনেক মহিলা সদস্য (এমএনএ), সমর্থক এবং কর্মীকে ‘অমানবিক পরিস্থিতিতে, অরক্ষিত অবস্থায় পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়েছে’। ‘এ অপহরণ এবং এই ফ্যাসিবাদী সরকারের দ্বারা নারীদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে তা কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, বরং আমাদের সংস্কৃতি এবং ইসলামিক শিক্ষার কঠোর পরিপন্থী,’ তিনি বলেছিলেন।

ইমরান দাবি করেছেন যে, সমস্ত মহিলাকে ‘অবিলম্বে মুক্তি’ দেয়া হোক কারণ তাদের ‘নিরবিচ্ছিন্ন কারাবরণ অবাঞ্ছিত’। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী যোগ করেছেন যে, তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলির কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করছেন। সূত্র: ট্রিবিউন।