রুশ সেনাদের হাতে বাখমুত হস্তান্তর করছে ওয়াগনার
২৫ মে ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাখমুতের দখল সম্পন্ন করে ১ জুনের মধ্যে তিনি শহরের নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। সে অনুযায়ী তিনি জানিয়েছেন, তার যোদ্ধারা বাখমুত থেকে চলে যেতে শুরু করেছে, এবং তাদের ঘাঁটিগুলো রুশ সৈন্যদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।
পরোক্ষভাবে তিনি বলতে চাইছেন বাখমুট এখন পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে এবং তার কাজ আপাতত শেষ। তবে প্রিগোশিন বলেছেন, রুশ সৈন্যরা যদি বাখমুত ধরে রাখতে অপারগ হয় বা বড় কোনো বিপদে পড়ে, ওয়াগনারের যোদ্ধারা ফিরে আসবে। কিন্তু ইউক্রেন দাবি করছে তাদের সৈন্যরা এখনও বাখমুতের বেশ কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই ছিল এখন পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াই। দুপক্ষের হাজার হাজার যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে।
বাখমুতে রাশিয়ার পক্ষে প্রধানত লড়াই করেছে ওয়াগনার, এবং এ সপ্তাহেই প্রিগোশিন বলেন তার ২০ হাজার যোদ্ধা বাখমুতে প্রাণ হারিয়েছে। ‘আমরা আজ বাখমুত থেকে আমাদের ইউনিটগুলো প্রত্যাহার করছি,’ বিধ্বস্ত ঐ শহরে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় বলেন প্রিগোশিন। বিবিসি যাচাই করে দেখেছে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে বাখমুত শহরের পূর্বে একটি ওষুধের দোকানের কাছ থেকে।
ভিডিওতে দেখা যায় প্রিগোশিন – যিনি শনিবার ঘোষণা দেন ইউক্রেনের কাছ থেকে বাখমুত এখন পুরোপুরি তাদের দখলে - তার যোদ্ধাদের বলছেন অবশিষ্ট গোলাবারুদ রুশ সৈন্যদের জন্য তারা রেখে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, অল্প কিছু ওয়াগনার যোদ্ধা সৈন্যদের সাহায্যে কাছাকাছি কোথাও থেকে যাবে। ‘যখন সৈন্যরা কোনো কঠিন সমস্যায় পড়বে, তারা (ওয়াগনার যোদ্ধারা) রুখে দাঁড়াবে,’ তিনি বলেন। সে সময় শোনা যায় যে তিনি তার যোদ্ধাদের সতর্ক করছেন তারা যেন রুশ সৈন্যদের সাথে দুর্ব্যবহার না করে।
ওয়াগনার শনিবার বাখমুতে বিজয় ঘোষণা করলেও ইউক্রেন এখনও স্বীকার করছে না যে শহরের পতন হয়েছে। ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হানা মালিয়ার বৃহস্পতিবার বলেন বাখমুতের উত্তর-পশ্চিমের লিটাক মহল্লার অংশবিশেষ এখনও তাদের সৈন্যদের দখলে। বাখমুত দখলের রুশ দাবি সঠিক হলে রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের সামরিক কৌশল অর্জনের আরও কাছাকাছি চলে যাবে, কারণ এ শহরটি দখলে আনতে পারলে পুরো ডোনেৎস্ক অঞ্চল তাদের করায়ত্ত হবে।
বাখমুতে লড়াই শুরু হওয়ার সময় সেখানে ৭০,০০০ মানুষের বসবাস ছিল। লবণ, জিপসাম এবং ভালো মদ উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ এ শহরটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, এবং মাত্র কয়েক হাজার মানুষ সেখানে অবশিষ্ট রয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার
জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান
ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা
মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ
কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত
চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
শাল্লায় কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ
ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ
রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু
সালথায় সেতুর রেলিং-পাটাতন ভেঙে বেহাল দশা : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ
তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও সুস্থ নন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল
আত্মহত্যা না কি খুন? ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু
বিচার বিভাগে পৃথক সচিবালয় ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : প্রধান বিচারপতি