বাসযোগ্য থাকবে না পৃথিবী! ‘উষ্ণতম’ জুলাইয়ে কোন বিপদের ইঙ্গিত?
০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৯ এএম
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা একাধিক গবেষণা চালাচ্ছেন। এবার গবেষকদের তথ্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জুলাই মাসে পৃথিবীর পাঁচ জন ব্যক্তির মধ্যে চার জনের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বলেই জানান দিচ্ছে গবেষণা।
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে বাড়ছে তাপমাত্রা। বিশ্বের ৮১ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একদিন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছেন এবং ঘেমেছেন জুলাই মাসে, সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ মেইনের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। তবে এই তথ্যের প্রেক্ষিতে আরও অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা সর্বত্র জলবায়ু পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছি।’
কী ভাবে করা হয়েছে এই গবেষণা?
এক্ষেত্রে গবেষকরা চার হাজার ৭১১ টি শহরে গিয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ১৯টি শহরে তাঁরা যান জুলাই মাসে। আর গবেষকদের কথায়, কয়লা, প্রাকৃতির গ্যাস পোড়ানোর জেরে কমপক্ষে একদিন তাপমাত্রার বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে এই শহরগুলি। যুক্তরাষ্ট্রে সবথেকে বেশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ করেছে ফ্লোরিডা। সেখানে ২৪৪ মিলিয়ন মানুষ স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা প্রত্যক্ষ করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে। জুলাই মাসের সবথেকে উষ্ণতম দিন ছিল কোনটি?
জুলাই মাসে সবথেকে বেশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছে ১০ তারিখ। এদিন প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মানুষ অতিরিক্ত তাপমাত্রা অনুভব করে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের উষ্ণতম দিন ছিল ৭ জুলাই। বিভিন্ন গ্রিন হাউস গ্যাসের ব্যবহারের জেরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকদের একাংশ। এতদিন পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা করে ‘হিট ওয়েভ’ প্রত্যক্ষ করেননি। কিন্তু, ধীরে ধীরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেই তাপমাত্রা বৃদ্ধিও প্রত্যক্ষ করছেন সাধারণ মানুষ, যা আগামীদিনে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তবে এই গবেষণার প্রেক্ষিতে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। সদ্য এই গবেষণাটি শেষ হয়েছে। যদিও দুটি এজেন্সি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে এই গবেষণার নির্দিষ্ট ভিত্তি রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তন গবেষকদের একাংশের মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে না পারলে এই পৃথিবী কোনওভাবেই মানুষের বাসযোগ্য থাকবে না, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দাবানল নিয়ন্ত্রণে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ: লস অ্যাঞ্জেলেসে আযান দেয়ার ভিডিও ভাইরাল
ফ্যাশন ব্র্যান্ড শেইনের সাফল্যের পেছনের কাহিনী, কম দামে সুন্দর পোশাক
সিলেটকে কঠিন লক্ষ্য দিল চট্টগ্রাম
পীরগনজ ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ চিকিৎসক সহ ৫৫ পদ শূন্য - সেবা ব্যহত
মেহেরপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের বদলির দাবিতে মানববন্ধন
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত
হাসিনাসহ অন্যদের পাওয়া কলরেকর্ড ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ
মেয়েসহ সাবেক আইজি বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
শেখ রেহানাসহ ৩ সন্তানের বিরুদ্ধে ৩ মামলা, ‘সহযোগী’ শেখ হাসিনা
গাজার শরনার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৫ ফিলিস্তিনি
মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যাখ্যা
বিতর্কিত চিন্ময় কাণ্ড: আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন ৬৩ আইনজীবী
শরীয়তপুরে ১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি আদালত ভবন
শুভেন্দুর হুঙ্কার : ‘বাংলাদেশকে জবাব দিতে পাঁচ-সাতটি ড্রোনই যথেষ্ট’
ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন বঞ্চিত বিধবার
মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে ভারতীয় রুপির সর্বনিম্ন রেকর্ড
দোয়ারাবাজারে অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ!
তালেবান শাসনকে বৈধতা না দেওয়ার আহ্বান নোবেলজয়ী মালালার
ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের
ঢাকার বাইরে প্রথম নরসিংদীতে রয়েল এনফিল্ড লঞ্চ