ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

মহাকাশে কেউ মারা গেলে, তার লাশের কী পরিণতি হয়?

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৩ এএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৩ এএম

মহাকাশে মানুষ পাঠানো মুখের কথা নয়। প্রতি মুহূর্তে থাকে চ্যালেঞ্জ এবং বিপদের হাতছানি। তবে, গত ছয় দশকে মহাকাশ অভিয়ানে এখনো পর্যন্ত মাত্র ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহাকাশ অভিযানের জটিলতার কথামাথায় রাখলে, এই সংখ্যাটা আশ্চর্যজনকভাবে কম।

তবে, দীর্ঘদিন মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রচেষ্টা বন্ধ ছিল। ২০২৫ সালের মধ্যে ফের চাঁদের বুকে ফিরে যাচ্ছে নাসা। আর পরের দশকে মঙ্গল গ্রহে পা রাখার পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। পাশাপাশি, স্পেস এক্স, ব্লু অরিজিনের মতো বেসরকারি সংস্থাগুলি বাণিজ্যিক মহাকাশ উড়ান চালু করছে। ফলে, আগামী কয়েক দশকে মহাকাশে মৃত্যুর হার বাড়তে পারে। জানেন কি, মহাকাশে কারও মৃত্যু হলে, তার দেহের কী হবে? এ বিষয়ে নাসার প্রোটোকল কী?

পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে, অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযানগুলিতে মানুষকে যতদূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বা চাঁদে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে, তার বাস্তবসম্মত সমাধান রয়েছে। ক্যাপসুল বা ক্রু অভিযানের মতো ‘সুইফ্ট রিটার্ন মেকানিজম’-এর মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যে পৃথিবীতে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা যাবে। এই পরিস্থিতিতে, লাশ সংরক্ষণের থেকে বেশি জোর দেয়া হয় ক্রুদের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল প্রোটোকলের উপর।

তবে, মঙ্গল গ্রহে অভিযান, কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের বিষয় নয়। এটা কয়েক বছরের অভিযান। কাজেই এই রকম কোনও দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানে কারও মৃত্যু হলে, অভিযানের বাকি নভোশ্চরদের সামনে এক অনন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। বিশাল দূরত্বের কারণ, চটজলদি ওই লাশ পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অভিযানের মাঝপথে ফিরে আসাও সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে কোনও মহাকাশচারীর লাশ, অভিযানের শেষে, কয়েক বছর পর জীবিত ক্রু সদস্যদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

এই সময়কালে, লাশটিকে মহাকাশযানের মধ্যেই সংরক্ষণ করা হবে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরি করে লাশের পচনের গতি কমিয়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ লাশটি যাতে সহজে না পচে যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। সূত্র: টিভি৯।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান