ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

নতুন নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণে পাকিস্তানে পেছাতে পারে ভোট

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

 

পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হলেও পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্ধারণ করা হবে শত শত নির্বাচনী এলাকার সীমানা। এর মানে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক নিয়ম থাকলেও নির্বাচন যে বিলম্বিত হবে সেটি নিশ্চিত।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভির বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নির্বাচনী এলাকার সীমা চূড়ান্ত করবে। নির্বাচন কমিশন বলছে, নতুন সীমা নির্ধারণের পরেই তারা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারই জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকার তার মেয়াদপূর্তির কয়েকদিন আগে গত ৯ অগাস্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। এর মানে নিয়ম অনুযায়ী আগামী নভেম্বরেই নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু বিদায়ী সরকারের আশঙ্কা অনুমান এই নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে আগামী বছর পর্যন্ত।
পাকিস্তানে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হবে। সেই শুমারি শেষ করতে এবং নতুন নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করতে প্রায় চার মাস সময় লেগে যেতে পারে বলে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেশটির বিদায়ী সরকারের আইনমন্ত্রী। যার অর্থ, নভেম্বরে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল সেটা অন্তত কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে; পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা কুনওয়ার দিলশাদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন।
গত বছরের এপ্রিলে আস্থা ভোটে হেরে আগের প্রধানমন্ত্রী পিটিআই নেতা ইমরান খানকে বিদায় নিতে হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে। সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ইমরানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তিনি এখন দুর্নীতির এক মামলায় ৩ বছরের সাজা ভোগ করছেন। যদিও শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইমরান।
পাকিস্তানে ফের সাধারণ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় স্বাধীনতার পর থেকে অন্তত তিনটি সফল অভ্যুত্থান ঘটানো দেশটির সামরিক বাহিনী ফের সংঘাত-বিধ্বস্ত দেশটিতে ছায়া ফেলছে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন