উষ্ণায়নের অভিশাপে মেরু ভালুক ভ্যানিশ! নতুন গবেষণায় ঘনাচ্ছে আতঙ্ক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১১ এএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১১ এএম
আর মেরে-কেটে ৮০ থেকে ১০০ বছর। তার পরই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে মেরু ভালুক বা পোলার বেয়ার। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে চলতি শতাব্দীতে এটাই হতে চলেছে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। মার্কিন গবেষকদের এহেন সতর্কবার্তায় ঘনাচ্ছে আতঙ্ক।
গত বৃহস্পতিবার 'গ্রিন হাউস গ্যাস ও মেরু ভালুক' শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখানে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা পরিবেশবিদ সিসিলিয়া বিটজ উষ্ণায়নের প্রভাব কী ভাবে প্রাণীটির উপর পড়ছে, তা ব্যাখ্যা করেন। শুধু তাই নয়, আগামী ১০০ বছরের কম সময়ের মধ্যে প্রাণীটি অবলুপ্ত হবে বলে ভবিষ্যতবাণী করেছেন তিনি।
বিটজের দাবি, বর্তমানে গ্রিন হাউস গ্যাসের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব সহ্য করতে হচ্ছে মেরু ভালুক বা পোলার বেয়ার-কে। অধিকাংশ সময়ই আধপেটা খেয়ে থাকছে মেরু এলাকার এই প্রাণী। গত এক দশকে মেরু ভালুকের প্রজনন ক্ষমতা ২৩-২৫ শতাংশ কমেছে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পোলার বেয়ার মাংসাশী প্রাণী। মেরু এলাকার জলজ প্রাণী শিকার করেই পেট ভরায় তারা। বিটজ জানিয়েছেন, "উষ্ণায়নের জেরে সেখানকার বরফের ব্যাপক হারে গলন শুরু হওয়ায় দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে মরে যাচ্ছে মাছ-সহ বরফের তলায় থাকা বহু প্রাণী। আর এগুলি খেয়েই বেঁচে থাকে মেরু ভালুক।" ফলে প্রাণীগুলিকে অনেক সময়ই অনাহারে কাটাতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন মার্কিন অধ্যাপক। সেখানে গত এক দশকে মেরু ভালুক শাবকের মৃত্যু হার বৃদ্ধির তথ্য সামনে এনেছেন তিনি। "২০১১-১২তে মেরু ভালুক শাবকের মৃত্যু হার ছিল মাত্র ১.৫ থেকে ২ শতাংশ। বর্তমানে একলাফে যা বেড়ে ৮ থেকে ৯.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এর মূল কারণ হল খাদ্যাভাব। অপুষ্টিজনিত কারণে জন্মের পর পরই অধিকাংশ মেরু ভালুক শাবকের মৃত্যু হচ্ছে।" জানিয়েছেন মার্কিন পরিবেশবিদ সিসিলিয়া বিটজ।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে পোলার বেয়ার-কে বিপন্ন প্রাণী বলে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার পর থেকেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। গবেষকদের কথায়, শুধু মাত্র সরকারিভাবে এই ঘোষণাই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কয়লা বা পেট্রোলিয়ামের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলেই তৈরি হয় কার্বন ডাই অক্সিজেন ও মিথেনের মতো গ্রিন হাউস গ্যাস। যা উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান কারণ। এই অবস্থায় বিকল্প শক্তির খোঁজ চালাচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সিংগাইরের তহরা হত্যা মামলা : শিক্ষক লালমুদ্দিনের ব্লাকমেইলের শিকার ছাত্রী আইরিন আক্তার
১৫ জানুয়ারি বিদায়ী ভাষণ দেবেন জো বাইডেন
’৭১ প্রশ্নে জামায়াতে নতুন আলোচনা, আসতে পারে সিদ্ধান্ত
ঘণকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়
চীন সফরে রেচেল রিভস , যুক্তরাজ্যের উন্নতির প্রতিশ্রুতি
দায়িত্ব পেলে আমরা ধর্ম ও দল দেখব না : জামায়াতের আমির
'মুরুব্বী মুরুব্বী কামডা করল কী'
বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকা দ্বিতীয়
তথ্য গোপন মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও নেই কোনও শাস্তি
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ
ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি
লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে
মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ
গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত
সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ
ইয়েমেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র-বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ২১, মানবিক বিপর্যয় চরমে
ফেনীর মহিপালে এক শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক