পুতিন ও শির অনুপস্থিতি জি-২০ সম্মেলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে বিভক্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলো খাদ্য নিরাপত্তা, ঋণ সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য এ সপ্তাহান্তে নয়াদিল্লিতে মিলিত হবে।
যুদ্ধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান চলতি বছর জি-২০ এবং আরও কিছু দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে কোন ঐক্যমতে আসতে বাধা দিয়েছে। ফলে এ বিষয়ে সম্ভব হলে একটি পথ খুঁজে বের করার জন্য দেশগুলো শীর্ষ নেতাদের উপর এবার দায়িত্ব বর্তাচ্ছে। কিন্তু তাতেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বদলে এবার চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, যখন রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর ফলে এবারও কোনও ঐক্যমতে আসার সম্ভাবনা নেই।
অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে পশ্চিমা ও তার মিত্রদের আধিপত্য থাকবে। জি ২০ নেতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, সউদী আরবের মোহাম্মদ বিন সালমান এবং জাপানের ফুমিও কিশিদা উপস্থিত থাকবেন। একটি ব্যর্থ শীর্ষ সম্মেলন পশ্চিমা এবং অ-পশ্চিমা শক্তিগুলির মধ্যে সহযোগিতার সীমা উন্মোচন করবে এবং দেশগুলিকে তারা যে গোষ্ঠীগুলির সাথে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সেগুলিকে দ্বিগুণ করতে প্ররোচিত করবে, বিশ্লেষকরা বলেছেন।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, বৈশ্বিক হুমকি মোকাবেলা করার জন্য ‘পশ্চিমা এবং অ-পশ্চিমা ব্লকে বিভক্ত হওয়া সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থৈরি করবে।’ একটি ঐকমত্য তৈরি করতে ব্যর্থ হলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে, যিনি চেষ্টা করছেন বিশ্ব দক্ষিণের নেতা হিসাবে নয়াদিল্লির অবস্থানকে শক্তিশালী করতে৷
কুগেলম্যান বলেন, ‘নেতাদের সম্মেলন যদি ফ্লপ হয়, তাহলে নয়াদিল্লি এবং বিশেষ করে মোদি একটি বড় কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।’ ভারত এখনও ইউক্রেনে রাশিয়ার আভিযানের নিন্দা করেনি। কিন্তু এবারের সম্মেলনের সভাপতি হিসাবে তাদেরকে হয় ব্লকের দেশগুলোকে একটি যৌথ বিবৃতিতে সম্মত হতে রাজি করতে হবে, যাকে বলা হয় ‘লিডারস ডিক্লারাশেন’ অথবা ২০০৮ সালের পর এই প্রথম এই ধরনের কোনো ঘোষণা ছাড়াই তার সভাপতির মেয়াদ শেষ করতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের শীর্ষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে ভারতের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বালি শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে অবস্থানগুলি কঠোর হয়েছে। রাশিয়া এবং চীন তখন থেকে তাদের অবস্থান কঠোর করেছে, ফলে একটি ঐক্যমত্য খুব কঠিন হবে।’ সূত্র: রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শৈলকুপায় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিবন্ধিত সব দল নিয়েই হবে: সিইসি
বিভাগ সংস্কারে আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা
কালের কণ্ঠ বিতর্ক: যা বললেন শিবির সেক্রেটারি
জাতিগতভাবে আমরা একটু বেশি জাজমেন্টাল: তাহসান খান
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়
আখাউড়ায় আসার পর কাপলিং ভাঙ্গলো উপকুল এক্সপ্রেসের
‘কালের কণ্ঠের ভূমিকা নিয়ে অবগত ছিলাম না’, ফাতেমার দুঃখ প্রকাশ
পুতুলকে দৌড়ের উপর রেখে ভারতকে কী বার্তা দিতে বললেন পিনাকী
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বিএসএফের
বার্মিংহামের সিরাজাম মুনিরায় ১৪ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব (রহ.) এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল
নিকলীতে ভুট্টা চাষে আশার স্বপ্ন বুনেছে কৃষক
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে লিফলেট বিতরণ
মেঘনা নদীতে দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত ৩, নিখোঁজ ১
হবিগঞ্জের সড়কে প্রাণ গেল তিন নারী পোশাক শ্রমিকের
বরিশালে জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
দুইবার আবেদন করেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব পায়নি তারিক সিদ্দিকের পরিবার
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিল শুরু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে