ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের প্রবেশাধিকার চাইলেন মোমেন
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৩ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) পণ্যের প্রবেশ সহজ করার জন্য তার ইন্দোনেশিয়ার প্রতিপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
সোমবার জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই অনুরোধ জানান। এসময় মোমেন সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। অবশ্য তিনি এসময় বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ব্যাপক ভারসাম্যহীনতার কথাও উল্লেখ করেছেন।
আজ ঢাকায় এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের বিশেষ করে যেগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে সেগুলোর রপ্তানি বাড়ানোর মাধ্যমেই এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে।’
আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, পরিপূরক শক্তি ও সম্পদ দিয়ে এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।
মোমেন আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই চূড়ান্ত হবে।
বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’ দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা, আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় গ্রহনকারীদের প্রত্যাবাসনের ইস্যু রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল এবং জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে আরও দৃঢ় ও গতিশীল সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন পথ অন্বেষণের ওপর জোর দেন।
উভয় মন্ত্রী জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপরও জোর দেন। বৈঠকে দুই মন্ত্রী জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেন।
মোমেন বাংলাদেশের পক্ষে কৃষি সহযোগিতায় একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করেন।
জ্বালানি-খাতের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারকটির লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস এবং বিদ্যুতের প্ল্যান্টগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী প্রচলিত জ্বালানি বিক্রি ও সরবরাহের প্রসার এবং বিকাশ করা। কৃষির উদ্দেশ্য হল, কৃষি ক্ষেত্রে সর্বোত্তমভাবে পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদন, বিপণন, প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রসারে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বর্তমানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে জাকার্তা সফরে রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর আমন্ত্রণে ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এই দুটি মহাসম্মেলন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং তার বাইরের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।
সূত্র: বাসস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রথমবারের মতো মক্কার বাইরে পবিত্র কাবার সম্পূর্ণ কিসওয়া প্রদর্শন
মেশিন দিয়ে পানি ছিটিয়ে ধুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ভোলা পৌরসভা
তামিমকে মুশফিক-মাহমুদ উল্লাহদের বিদায়ী বার্তা
নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবীতে আশুলিয়ায় সমাবেশ
ইবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের নবনিযুক্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ
ইজতেমার সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে কুষ্টিয়ায় হেফাজতের বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে শেখ সাদী সভাপতি, আবুল হোসেন মহাসচিব নির্বাচিত
সভাপতি মিজানুর ও সা. সম্পাদক আ. হাই নির্বাচিত
মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য- মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী
চট্টগ্রামে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
নির্দিষ্ট সময়েও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার
কেরানীগঞ্জে বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক বন্ধু আল আমিন গ্রেফতার
সস্ত্রীক লন্ডনে গেলেন মির্জা আব্বাস
চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রমিক সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: রিজভী
পটুয়াখালীতে ইমামের উপর সাদপন্থিদের হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
দেশ গড়ার কাজে অন্তর্বর্তী সরকার অভিজ্ঞ নয় : মান্না
ভৈরবে ট্রেনের টিকেটসহ দুই কালোবাজারিকে আটক
গণিতের জগতে মেয়েদের জায়গা তৈরিতে ড. অ্যাঞ্জেলার মিশন
জাতীয় ঐক্যে অনেকেই ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল