চীনকে ঠেকাতে স্নায়ুযুদ্ধের সাবমেরিন নজরদারি কর্মসূচি পুনর্গঠন করছে যুক্তরাষ্ট্র
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৬ পিএম | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে ৫০ মাইল উত্তরের একটি দ্বীপে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। বছরের পর বছর ধরে সেখানে তিমির গতিবিধি শনাক্ত ও সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা পরিমাপই করা হয়েছে। কিন্তু গত অক্টোবরে নৌবাহিনী ওই ইউনিটকে একটি নতুন নাম দিয়েছে, যাতে স্পষ্টতই মার্কিন নৌবাহিনীর এখনকার অভিপ্রায় ফুটে উঠেছে। এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘থিয়েটার আন্ডারসি সার্ভেইলেন্স কমান্ড’।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনজনের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, হুইডবে দ্বীপের এই গোয়েন্দা বা নজরদারি স্টেশনের নামকরণ অনেক বড় মার্কিন সামরিক প্রকল্পকেই ইঙ্গিত করে, যেটি স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকেই আমেরিকার সাবমেরিন প্রতিরোধী গোয়েন্দা কর্মসূচির বিশাল পুনর্গঠনে কাজ করছে।
‘ইন্টিগ্রেটেড আন্ডারসি সার্ভেইলেন্স সিস্টেম’ (আইইউএসএস) নামে পরিচিত বহু বিলিয়ন-ডলারের এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে চীন। যেখানে গণতান্ত্রিক শাসনে পরিচালিত অঞ্চল নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাতের উদ্বেগ বেড়েছে, যেখানে মূলত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় বেইজিং।
আইইউএসএস এর পুনর্গঠনের ব্যাপারে এর আগে কোনো খবর জানা যায়নি। একে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে সাগরে পানির নিচে শব্দ শোনার বা সংকেত পাওয়ার নজরদারি কেবল নেটওয়ার্ক অত্যাধুনিক করা হবে। নজরদারি জাহাজের বহরকে সেন্সর ও সাগরের তলদেশে ব্যবহৃত মাইক্রোফোন সংযুক্ত করা হবে, যাতে করে শত্রুর সংকেত পেয়ে তাদের ওপর নজরদারি রাখার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো যায়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিত্রদের শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র অনুরূপ প্রযুক্তি অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সবথেকে যুগান্তকারী পরিবর্তন হল সাগরের গতানুগতিক নজরদারি প্রযুক্তির বদলে নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ। সাগরের তলদেশে গোপন অবস্থানে থাকা স্থির গুপ্তচর ক্যাবল সাত দশক আগে সোভিয়েত সাবমেরিনগুলো নজরদারিতে রাখার জন্য বসানো হয়েছিল।
এখন মার্কিন নৌবাহিনীর পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সাগরে তলদেশে মনুষ্যবিহীন নজরদারি ড্রোন পাঠানো, যাতে শত্রু সাবমেরিন বা জাহাজের সংকেত পাঠাতে পারে। সাগরের তলদেশে চলাচলযোগ্য ডুবো স্যাটেলাইটও বসানো হবে, যেগুলো সাবমেরিন স্ক্যান করে তথ্য পাঠাতে পারবে। এই স্যাটেলাইট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে জাহাজের অবস্থান শনাক্ত করবে। সামুদ্রিক গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
আইইউএসএস এর অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৯১ সালে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর। এর বিস্তারিত কার্যক্রম অত্যন্ত গোপন বিষয়। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ব্যক্তি এমনটাই জানিয়েছেন।
আইইউএসএস এর নেতৃত্বে রয়েছেন মার্কিন নৌবাহিনীর অভিজ্ঞ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন স্টেফানি মুর। ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিটের সাবমেরিন ফোর্সের অধীনে এটি পরিচালিত হয়, যার প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিচার্ড সেফ।
সূত্র: রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শরীয়তপুরে ১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি আদালত ভবন
শুভেন্দুর হুঙ্কার : ‘বাংলাদেশকে জবাব দিতে পাঁচ-সাতটি ড্রোনই যথেষ্ট’
ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন বঞ্চিত বিধবার
মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে ভারতীয় রুপির সর্বনিম্ন রেকর্ড
দোয়ারাবাজারে অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ!
তালেবান শাসনকে বৈধতা না দেওয়ার আহ্বান নোবেলজয়ী মালালার
ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের
ঢাকার বাইরে প্রথম নরসিংদীতে রয়েল এনফিল্ড লঞ্চ
ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধিত করা সম্ভব
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না : হাইকোর্ট
বিদ্যুৎ প্লান্টের পাঁচ লাখ টাকার লোহা তামা স্টিল সামগ্রী চুরির দায়ে ৫০ জনের নামে মামলা
নেত্রকোনা গত ১ বছরে ২৩২টি অস্বাভাবিক মৃত্যু
মেহেরপুর শহরে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম ফুটপথ দখল, সরু সড়ক, যানজট লেগেই থাকে
অ্যাপলের ডাইভার্সিটি নীতি , বৈচিত্র্য রক্ষার লড়াইয়ে বোর্ডের বার্তা
ঢাবি,ভিকি,এনএসইউ ওয়েটিং লিস্টে থাকে,বান্নাহ খাওয়া মাল খায় না'
দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা কর্নেল অলির
আশুলিয়া থানা জমিয়তের কমিটি গঠন
বাংলাদেশের সীমান্তে ১৬০ জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী
মতলবে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা-সাবেক স্বামী আটক
লক্ষ্মীপুর থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার কষ্টিপাথর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর