ম্যাকার্থি বরখাস্ত, ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও কঠিন হবে
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:১০ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:১০ পিএম
আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার হিসাবে কেভিন ম্যাকার্থির কার্যকাল যেভাবে শুরু হয়েছিল, তেমন অপমানজনকভাবেই শেষ হয়েছে। ৩ অক্টোবর আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষের স্পিকার আস্থাভোটে হেরে বরখাস্ত হলেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আগামী সপ্তাহগুলো বিশৃঙ্খল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরও ৪৫ দিনের জন্য চালু রাখাসহ ‘শাটডাউন’ এড়াতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে তহবিল বিল পাস হয়। অচলাবস্থা এড়াতে প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ম্যাকার্থি ৪৫ দিনের এই তহবিল বিলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কট্টরপন্থী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা বিলটির বিরোধিতা করছিলেন। পরে বিলটি কংগ্রেসের উভয় কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে পাস হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে বিলটি আইনে পরিণত হয়। বিলটি পাসের পরপরই ম্যাকার্থি স্পিকারের পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন। শেষ পর্যন্ত নিজ দলের কট্টরপন্থী বিদ্রোহী সদস্যদের কারণে তাকে স্পিকারের পদ হারাতে হলো।
পরবর্তী স্পিকারের জন্য কাজটি আরও কঠিন হবে। তাৎক্ষণিক কাজটি হবে সরকারের অর্থায়ন। সম্প্রতি পাশ হওয়া বিলটি শুধুমাত্র ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের কাজ অব্যাহত রাখবে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, নতুন স্পিকার দায়িত্ব নেয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই শাটডাউন হতে দেখবেন। কারণ, নতুন কেউ দায়িত্ব নিলেও মধ্যপন্থী রিপাবলিকান এবং কট্টরপন্থীদের মধ্যে বিশেষ করে প্রতিনিধি পরিষদের দূরত্ব কমবে না।
ইউক্রেনের জন্য সাহায্য, যা কট্টরপন্থীদের শান্ত করার জন্য সরকারী-তহবিল চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না, আমেরিকার সীমানার বাইরে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। প্রেস কনফারেন্সে তার প্রস্থানের ঘোষণায়, ম্যাকার্থি পুতিনকে অ্যাডলফ হিটলারের সাথে তুলনা করেন এবং বলেন বর্তমান বিশ্ব তাকে ১৯৩০ এর দশকের কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং দেশটিকে অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে তার অতীতের দ্বিধার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যথাযথ সমালোচনা করেছেন।
কিন্তু রিপাবলিকান দলের কেউ কেউ আরও অর্থায়নের বিরোধিতা শুরু করেছেন। কংগ্রেসে ইউক্রেনের সমর্থকরা, যারা উভয় চেম্বারে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ, একটি ভোটের জন্য চাপ দিচ্ছেন যা ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জন্য অর্থায়নের নিশ্চয়তা দেবে। শাটডাউন এড়ানোর চেয়ে এ আইনী প্রক্রিয়া আরও কঠিন হতে পারে। সেই কাজ কার হাতে পড়বে তা স্পষ্ট নয়।
রিপাবলিকানরা ১০ অক্টোবর প্রার্থী ফোরাম এবং পরের দিন একটি ভোটের পরিকল্পনা করছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেসের সদস্যরা জানিয়েছেন। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল, রিপাবলিকান দলের মধ্যে কার এ দায়িত্ব নেয়ার মতো সাহস আছে? এ বিশৃঙ্খলা অদূর ভবিষ্যতে থামার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে ইউক্রেনীয়দের জন্য আপাতত মার্কিন সাহয্য পাওয়ার আশা না করাই ভাল। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
সিরিয়া সীমান্তে কুর্দিদের নিয়ে তুরস্কের উদ্বেগ বৈধ : যুক্তরাষ্ট্র