ফিলিস্তিনিদের বিজয়ে ইরানজুড়ে উৎসব পালন
০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৮ এএম | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৮ এএম
দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর বড় ধরনের বিজয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ইরানি নাগরিকরা। শনিবার ইরানজুড়ে ফিলিস্তিনিদের বিজয় উদযাপন করতে রাস্তায় নেমে আসেন তারা। এ উপলক্ষে রাজধানী তেহরানসহ বড় বড় শহরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো শনিবার সকালে ‘আল-আকসার তুফান’ নামক নজিরবিহীন অভিযান শুরু করে। তারা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহর ও অবৈধ ইহুদি বসতি লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করে। সেইসঙ্গে গাজা সীমান্ত দিয়ে শত শত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা ইসরাইলে ঢুকে পড়েন।
এই সমন্বিত ও সম্মিলিত হামলায় প্রায় ৩০০ ইসরাইলি নিহত ও দেড় হাজারের বেশি ইহুদিবাদী আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ যুদ্ধের ইতিহাসে একদিনের হামলায় ইসরাইলের এত বিশাল ক্ষয়ক্ষতি আর কখনও হয়নি। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা বলেছেন, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এ বিজয় উদযাপন করতে ইরানের রাজধানী তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে সমবেত হন হাজার হাজার জনতা। একদল উৎফুল্ল ইরানি নাগরিক এ বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তেহরানস্থ ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনেও চলে যান। ইরানি জনতার এই দলে ছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ সময় তারা ফিলিস্তিনি পতাকার পাশাপাশি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর পতাকা ওড়াতে থাকেন। ইরানি জনতা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ঘোষণা করেন। তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যেতে হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।
তেহরানের আজাদি স্কয়ারকে ফিলিস্তিনি পতাকায় সজ্জিত করা হয় এবং ভিডিও ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান প্রদর্শন করা হয়।
রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন অংশকে শনিবার রাতে বিশেষভাবে আলোকসজ্জিত করা হয়। উৎসবমুখর ইরানি জনতার কারো কারো হতে শহীদ লে. জেনারেল কাসেম সোলায়মানির ছবি শোভা পায়। তাদেরকে একথা বলতে শোনা যায় যে, ফিলিস্তিনিদের আজকের এ বিজয়ে জেনারেল সোলায়মানির বহু বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের অবদান রয়েছে।
রাজধানী তেহরান ছাড়াও ইরানের আরো যেসব শহরে বিজয় উৎসব হয়েছে সেসবের মধ্যে রয়েছে, মাশহাদ, ইস্পাহান, ইয়াজ্দ, আরাক, জানজান, শিরাজ, বুশেহর, কেরমান ইত্যাদি। এসব শহরের প্রধান স্কয়ারগুলোর পাশাপাশি মসজিদে মসজিদে বিজয় উৎসব পালন করা হয়। সূত্র : পার্সটুডে
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতে 'এক দেশ এক ভোট’ আয়োজন কতটা সম্ভব হবে?
বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৯
কুমিল্লায় অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় প্রবাসীর ওপর হামলা
এবার হলিউডের সিনেমায় জ্যাকুলিন
৯ বছর পর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানি সিনেমা!
জামাত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
রাসূলুল্লাহ (সা.) আদর্শই একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
নারী মাদকসেবীদের জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার: তারেক রহমান
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয় : ইউট্যাব
আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের