ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

গাজায় শক্তিশালী ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন শত্রুর মুখোমুখি ইসরায়েল

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

আরবান ওয়ারফেয়ার তথা শহুরে এলাকায় যুদ্ধ সবসময়ই নৃশংস হয়। বিশ্বের সবচেয়ে পেশাদার সেনাবাহিনীও এ ধরনের যুদ্ধে হতবুদ্ধি হয়ে যেতে পারে। জর্ডান ও মিশরের গোয়েন্দাসংস্থাগুলো ইতোমধ্যে গাজায় পালটা আক্রমণ নিয়ে ইসরায়েলকে সাবধান করে দিয়েছে। গাজার অভ্যন্তরে থাকা এ দুই দেশের এজেন্টরা জানিয়েছেন, হামাস গাজার প্রবেশপথগুলোতে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র ও অন্যান্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে।

 

 

হামাসের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণ পরিচালনার জন্য গাজা সীমান্তে জড়ো হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষায় এ পালটা আক্রমণ 'গাজাবাসী প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে'। তবে আমাদেরকে এটাও মনে রাখতে হবে, গাজার শহুরে পরিবেশে এ লড়াই দারুণ কঠিন হবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে গাজার বড় বড় ভবনের গোলকধাঁধার মধ্যে পালটা আক্রমণ পরিচালনা করতে হবে। এর সঙ্গে থাকবে হামাসের গোপন আস্তানা আর যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা বুবিট্র্যাপ। শহরের প্রতিটি ভবনের প্রতিটি তলায় ইসরায়েলি সেনাদের জন্য হুমকি লুকিয়ে থাকতে পারে। আর এ শহরের মাটির তলায় কয়েক মাইল লম্বা টানেলে কেবল হামাস সৈন্যরাই লুকিয়ে নেই, সেই সঙ্গে আছে প্রায় দেড়শর মতো ইসরায়েলি জিম্মি।

ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থা সিআইএ'র অপারেশনের সাবেক প্রধান নরম্যান রোউল বলেন, 'এটা সাম্প্রতিক দশকগুলোর সবচেয়ে কঠিন সামরিক অভিযানগুলোর একটি হবে। এর চ্যালেঞ্জ আমাদের ইরাকে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জকেও ছাড়িয়ে যাবে।' তিনি বলেন, 'গাজার শহুরে এলাকা বড় ও জনবহুল। আর এর ভেতর বিপুলসংখ্যক বহুতল ভবন রয়েছে। এ ভবনগুলো থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও উর্দিহীন সশস্ত্র যোদ্ধাদের পরাভূত করতে হবে। আমরা এ লড়াইয়ে ভারী সামরিক-বেসামরিক প্রাণহানি দেখব।'

গাজায় অপারেশন পরিচালনায় দুটো চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এবং এ দুটো চ্যালেঞ্জ আবার একে অপরের প্রতি দ্বান্দ্বিক। প্রথমত, শনিবারের ভয়ানক আক্রমণের পর ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন এবং ইরানে এর শত্রুকে দমিয়ে রাখার সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে হবে। একই সঙ্গে, এটিকে বেসামরিক প্রাণহানি ন্যূনতম রেখে যতজন জিম্মিকে সম্ভব উদ্ধার করতে হবে। আর এটা প্রায় অসম্ভব মিশনের মতোই মনে হচ্ছে। ইসরায়েলি কমান্ডারেরা কীভাবে এ আক্রমণ সাজাবেন তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে তাদের প্রকাশ্যে বলা বিভিন্ন মন্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, তারা ব্যক্তির তুলনায় ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

মার্কিন একজন সাবেক কর্মকর্তার প্রশ্ন, 'তাদের [হামাস] ঝুলিতে আর কী চমক লুকোনো আছে?' কারণ 'তারা যেহেতু দীর্ঘসময় ধরে এ আচমক সফল আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে, তার মানে তাদের কাছে অবশ্যই পরবর্তী ধাপ নিয়েও পরিকল্পনা থাকতে হবে।' হামাস অবশ্যই ধারণা করেছিল, তাদের আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল গাজায় পালটা ভয়ানক আক্রমণ চালাবে, তাই তারা কী ধরনের প্রতিরক্ষা প্রস্তুত করেছে — প্রশ্ন এ মার্কিন কর্মকর্তার। একজন পশ্চিমা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, জর্ডান ও মিশরের গোয়েন্দাসংস্থাগুলো ইতোমধ্যে গাজায় পালটা আক্রমণ নিয়ে ইসরায়েলকে সাবধান করে দিয়েছে। গাজার অভ্যন্তরে থাকা এ দুই দেশের এজেন্টরা জানিয়েছেন, হামাস গাজার প্রবেশপথগুলোতে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র ও অন্যান্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে।

আরবান ওয়ারফেয়ার তথা শহুরে এলাকায় যুদ্ধ সবসময়ই নৃশংস হয়। বিশ্বের সবচেয়ে পেশাদার সেনাবাহিনীও এ ধরনের যুদ্ধে হতবুদ্ধি হয়ে যেতে পারে। এর আগে সাংবাদিক হিসেবে আমি এ ধরনের দুটো যুদ্ধ নিয়ে কাজ করেছিলাম — ১৯৮২ সালে ইসরায়েলের বৈরুত অবরোধ এবং ২০০৪ সালে ফালুজায় মার্কিন মেরিনের অপারেশন। দুটোই গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের জন্য জ্বলজ্বলে সতর্কবার্তা। যুদ্ধ পরিকল্পনা কীভাবে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে তার একটি উদাহরণ বৈরুতের অবরোধ। ১৯৮২ সালের ৬ জুন লেবানেন প্রবেশ করে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী, উদ্দেশ্য পশ্চিম বৈরুত থেকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে উৎখাত করা।

কয়েকদিন ধরে শহরের ভেতরে ইসরায়েলি ট্যাংক প্রবেশ করে। ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনাকারীরা অনেকেই ভেবেছিলেন, ফিলিস্তিনিরা দ্রুতই রণক্ষেত্র ছেড়ে পালাবেন। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। ইসরায়েলের অবরোধ দুই মাসে গড়ায়। দেশটি আর্টিলারির মাধ্যমে ও আকাশপথে গোলা-বোমাবর্ষণ করে বৈরুতের ওপর। যেমনটা আমি সেসময় লিখেছিলাম, ইসরায়েলের বার্তা মিশ্রিত হয়ে গিয়ে তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনিদের ভয় পাইয়ে দিয়ে বৈরুত থেকে উৎখাত করা এবং বৈশ্বিক মতামত নিজেদের পক্ষে নিশ্চিত করা। কিন্তু তার বদলে ফিলিস্তিনিরা আরও বেশি অনমনীয় হয়ে ওঠে এবং ইসরায়েলে প্রতি বৈশ্বিক সমালোচনা বৃদ্ধি পায়।

শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সমঝোতার মধ্যস্থতা করে। সে অনুযায়ী, পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত ও তার যোদ্ধারা নিরাপদে শহর ছেড়ে চলে যান। কিন্তু পিএলও'র বিদায়ের পরে লেবানিজ মিলিশিয়ারা সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী ক্যাম্পে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। এর কাছেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবস্থান ছিল, সেনাবাহিনীর শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা ছিল। এ ঘটনায় ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। পশ্চিম বৈরুতের ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের স্থান নেয় লেবানিজ শিয়া মিলিশিয়ারা যারা পরে হিজবুল্লাহয় পরিণত হয়।

অনেক ইসরায়েলি কর্মকর্তা পরে আমাকে বলেছিলেন, বৈরুতের ওই আক্রমণ একটা ভুল ছিল, এটির পর ইসরায়েলের নিরাপত্তা আরেকটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফালুজা আরবান যুদ্ধের আরেকটি দুঃস্বপ্নের নাম। স্থানীয় মেরিন কমান্ডারদের সাবধানবাণী না শুনে শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা ২০০৪ সালের এপ্রিলে শহরটি আক্রমণের নির্দেশ দেন। কয়েক সপ্তাহ বড় প্রাণহানির পর মেরিন সেনারা পিছু হটে।

এরপর ফালুজায় বিদ্রোহী কর্মকাণ্ড আরও বেড়ে যায়। একই বছরের নভেম্বরে আবারও আক্রমণ পরিচালনা করে মার্কিন মেরিন। ওই লড়াই ইরাকযুদ্ধের সবচেয়ে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে পরিণত হয়। ৫০ হাজার ভবনের শহরে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যুদ্ধ করতে হয় মার্কিন সেনাদের। নিহত হন ৯৫ মার্কিনী, আহত ৫৬০ জন। ফালুজার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন লক্ষ্যবস্তু গাজা। ফালুজার তুলনায় গাজার জনসংখ্যা পাঁচ গুণেরও বেশি, সেই সঙ্গে রয়েছে উঁচু ভবন ও টানেলের মিশ্রণ। এ লড়াইয়ে ইসরায়েল হয়তো হামাসের নেতৃত্ব নিকেশ করার চেষ্টা করবে।

তবে এখন ইসরায়েলের কাছে প্রযুক্তিগত কিছু সুবিধা রয়েছে যেগুলো ১৯৮২ বা ২০০৪ সালে ছিল না। হয়তো তাদের কাছে গাজার প্রতিটি বড় ভবনের কম্পিউটারে তৈরি বিস্তারিত ছবি রয়েছে। এসব ভবনে রেকি করতে তারা ড্রোন ও রোবট ব্যবহার করতে পারে, হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে পেয়ে হত্যা করতে পারে। যেসব হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলিদের জিম্মি করেছে, তাদের ভিডিও রয়েছে। আর ইসরায়েল যে এ যোদ্ধাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করবে তা বাজি ধরে বলা যায়।

জিম্মিদের খোঁজা ও উদ্ধারেও প্রযুক্তি সাহায্য করতে পারে। কিন্তু কাজটা কঠিন হবে। আরব গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, কিছু কিছু ইসরায়েলিকে হামাস যোদ্ধাদের বদলে স্বাধীন সন্ত্রাসীরা জিম্মি করেছে। তাদেরকে কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে তা জানা কঠিন ও বিপজ্জনক হবে। আর গাজায় আক্রমণের পর কী? ইসরায়েল কি শরণার্থী শিবিরের প্রতিচ্ছবি এ দরিদ্র উপত্যকার মালিক হতে চায়? হয়তো ইসরায়েলের সৌদি আরবসহ আরব-বন্ধুরা গাজায় হামাসপরবর্তী কোনো স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে যেটি কি না এ যাতনা ও মৃত্যু উপত্যকায় কিছুটা শান্তি ও নিরাপত্তা আনতে পারবে।

ইসরায়েলকে অবশ্যই শনিবারের ভয়ানক হামলার জবাব দিতে হবে। ওই আক্রমণ ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। আর হয়তো এ লড়াইয়ের পরবর্তী প্রভাব আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম দুর্ভাগা জাতি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি সুখকর ভবিষ্যৎ এনে দেবে। কিন্তু যেমনটা কয়েক দশক আগে আমার এক সহকর্মী সতর্কবাণী করেছিলেন, ব্যাপারটা যখন মধ্যপ্রাচ্যের, তখন তেতো সত্য হলো 'নৈরাশ্যবাদেরই জয়' হয়।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার