বাঁদরের জন্য লেবাননের সঙ্গে তুলকালাম বাঁধিয়েছিল ইসরাইল, আসরে নামে জাতিসংঘও

অনলাইন ডেস্ক

১২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৩ এএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৩ এএম

ফিলিস্তানী স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ভয়ঙ্কর সংকটের মুখোমুখি দখলদার ইসরাইল। সেদেশে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০০। অন্যদিনে ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দেড় হাজারের কাছাকাছি। এর আগে একবার সামান্য এক বাঁদরের জন্য উত্তেজনা ছড়ায় লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে। বাঁদরটিকে দেশে ফেরানো নিয়ে জাতিসংঘ পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছিল।

সালটা ২০১৯। সীমান্ত পেরিয়ে ভুল করে ইসরাইলে চলে এসেছিল লেবাননের একটি বাঁদর। ১০ দিন পর ইসরাইলে ধরা পড়ে। ইসরাইলের মাটিতে লেবাননের গ্রিন গেনন প্রজাতির বাঁদরটিকে খাঁচাবন্দি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে বাঁদরটিকে উত্তর ইসরাইলের ইয়োদফার জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে লেবাননের বাঁদরটিকে দেশে ফেরাতে প্রথমে অবশ্য বেশ সমস্যাই হয়েছিল। বাঁদরটিকে লেবাননে ফেরত পাঠাতে ময়দানে নামে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও জাতিসংঘও। শেষে যৌথ সহযোগিতায় বাঁদরটিকে ফেরত পাঠানো হয় লেবাননে।

১৯৪৮ সাল থেকে সংঘাতে জড়িয়ে ইসরাইল ও লেবানন। সরাসরি দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত জনগণেকর জন্য কার্যত অসম্ভব। তবে বাঁদরটি তো আর মনুষ্য সম্প্রদায়ের নয়! বনে-জঙ্গলে-মাটিতে তার অবাধ বিচরণ। তার কাছে আর সীমান্ত পেরনো আর এমন কী! কিন্তু সেই বাঁদরটিও টানাপোড়েনের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সামান্য একটি বাঁদরকে দেশে ফেরানো নিয়ে যে ঘটনা এতদূর গড়াতে পারে তা ভাবতে পারেননি কেউ। একে অপরের ছায়াও মারাতে চায় না দুই দেশ।

বাঁদরটি ফরাসি সন্ন্যাসী বিট্রিস মাউজেরিনের একটি খামার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। খামারটি ইসরাইল থেকে প্রায় ১.৬ মাইল দূরে অবস্থিত। মাজদ আল ক্রুমে বাঁদরটি ধরা পড়ার আগে সেটিকে দেখা গিয়েছিল ইসরাইলের জারিত ও হুরফিশ ও দেইর-আলা-আসাদের কয়েকটি বাড়ির ছাদের লাফালাফি করতে। নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁদরটিকে খাঁচাবন্দি করা হয়। তবে অবশ্য সেবার ভাগ্যক্রমে নৃশংসতার শিকার হয়নি বাঁদরটিকে। বাঁচিয়ে রাখতে বাঁদরটিকে লতাপাতা, ফল খেতে দেয়া হয়। তবে লেবাননের বাঁদর নিজেদের দেশে কোনও ভাবেই রাখতে নারাজ ছিল ইসরাইল। শেষমেশ সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে লেবাননে ফেরত পাঠানো হয় বাঁদরটিকে। বাঁদরটিকে লেবাননে ফিরিয়ে দিতে আসরে নামে জাতিসংঘও।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক