২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা ত্যাগের নির্দেশ ইসরাইলের, পাল্টা যে হুমকি দিল হামাস
১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে থাকা ১১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দখলদার ইসরাইল। দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে এ কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস।
শুক্রবার হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম এ বিষয়ে কথা বলেছেন। খবর আলজাজিরার
তিনি বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যাবে না। যদিও ইসরাইল উপত্যকার উত্তর অংশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে- এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব অথবা বাড়িতেই প্রাণ দেব।
হামাসের এই নেতা আরো বলেন, আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না। আমরা আরেকটি নাকবার পুনরাবৃত্তি হতে দেব না।
এ সময় নাকাবা বলতে তিনি ১৯৪৮ সালে ইসরাইল যখন গঠিত হয়েছিল, তখন ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির প্রতি ইঙ্গিত করেন তিনি।
বাসেম নাইম বলেন, শনিবার হামাস যে হামলা চালিয়েছে, সেটি ১৭ বছর ধরে সহ্য করা গাজার শ্বাসরুদ্ধকর অবরোধের ফল।
তিনি বলেন, আমরা নীরবে মারা যাচ্ছিলাম। আমরা এই উন্মুক্ত কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্তরে আমাদের আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছি। আমরা যা করছি, তা প্রতিরক্ষামূলক কাজ, আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করছি।
বাসেম নাঈম বলেন, আমরা স্বাধীনতা ও মর্যাদায় বাঁচতে চাই, আমাদের এই দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি দিতে হবে। ইসরাইলি দখলদারিত্বই হলো এই অঞ্চলের সব অনিষ্টের মূল।
তবে গাজার ওই অঞ্চল ছেড়ে না যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ফিলিস্তিনিরা। তাদের ভাষ্য- তারা মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যাবেন না।
এ ছাড়া ইসরাইলের হুমকি প্রত্যাখ্যান করে গাজার বাসিন্দা ফিলিস্তিনি শিক্ষাবিদ এবং লেখক রেফাত আলিরের বলেছেন, তিনি এবং তার পরিবার বাড়িতেই থাকবেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, আমরা এখানেই থাকছি। যদিও ইসরাইলের বোমা হামলার ভয়ে কিছু পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন, যদি আমাদের ওপর বোমা ফেলা হয়, তা হলে যেখানেই যাই না কেন, সেখানে একই পরিণতি হবে। ফিলিস্তিনিদের আরেকটি নাকবা/বাস্তুচ্যুতি রোধ করতে হবে।
এদিকে বিগত ছয় দিন ধরে ইসরাইলের চরম নৃশংসতার শিকার গাজার বাসিন্দারা। দখলদার বাহিনীর হাত থেকে ছাড় পাচ্ছেন না শিশু ও নারীরাও। গত ছয় দিনের অব্যাহত হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এক হাজার ৫৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০০ শিশু রয়েছে। আর নারী রয়েছে ২৭৬ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছে ছয় হাজার ৬১২ জন।
দখলদার বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হচ্ছে। সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ছাত্রজনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত পুলিশ সদস্যরা এখনো লাপাত্তা
রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ‘রোবটের মতো’ কাজ করেছে লেবাননের যে চিকিৎসক
মোদীর সফরের আগে ভারত সরকারের নামে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা পান্নুনের
মিয়ানমার থেকে মণিপুরে অনুপ্রবেশ ৯০০ জঙ্গির, দাবি ভারতের
৪৩ দিন পর কাজে ফিরলেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা
গিল-পান্তের ব্যাটে পিষ্ট বাংলাদেশ
ফের মৃত্যুর খেলা! ‘স্কুইড গেম সিজন ২’র টিজারে বিপদের বার্তা
অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কচুয়ায় যুবলীগ নেতার ৪টি দোকান পুড়েছে দুর্বৃত্তরা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
লেবাননের বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
রাঙামাটিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল, পরিস্থিতি শান্ত
পরমাণু দূষিত পানি নিয়ে চীন ও জাপানের কিছু ঐকমত্য
ঝিকরগাছায় বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান মিনুসহ ২১ নেতাকর্মী বহিষ্কার
হিজবুল্লাহর ভয়ে ইসরাইলিদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকার নির্দেশ
ভারতের ঘুম হারাম করে পাকিস্তানকে ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার দিচ্ছে চীন
পাকিস্তানে সেনানিবাসে আত্মঘাতি হামলা, সেনাসহ নিহত ১৮
জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩, আহত ২২ হাজার
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল গ্রেফতার
বিচারবিভাগ নিয়ে আজ রোডম্যাপ দেবেন প্রধান বিচারপতি
নেছারাবাদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহতদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল