ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ৮ ভারতীয় সেনার মৃত্যুদণ্ড

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪০ এএম | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪০ এএম

ভারতীয় নৌসেনার আট সাবেক কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিল কাতারের এক আদালত! এই আটজনই আল দাহরা বা দাহরা গ্লোবাল সংস্থায় কাজ করতেন। এই সংস্থাটি কাতারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্থানীয় ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল। বর্তমানে অবশ্য সংস্থাটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।

 

২০২২ সালের আগস্টেই ভারতীয় নৌসেনার এই প্রাক্তন কর্মীদের হেফাজতে নিয়েছিল কাতারি কর্তৃপক্ষ। তবে, তাদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে, তা এখনও জানান হয়নি। এদিনের রায়ের প্রেক্ষিতে, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা জানিয়েছে, এই খবরে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে, এই রায়ের বিষয়ে একেবারে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে। বিস্তারিত রায় প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত নৌসেনার প্রাক্তন কর্মীদের সব রকম কনস্যুলার এবং আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে।

 

এদিন কাতারের আদালতের রায় ঘোষণার পরই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তারা বলেছে, ‘আমাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে, আজ কাতারের ফার্স্ট ইনস্ট্যান্ট আদালত এক মামলায় রায় দিয়েছে, যার সঙ্গে আল দাহরা সংস্থার ৮ ভারতীয় কর্মচারী জড়িত ছিলেন। তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই রায়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বিস্তারিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং আইনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমরা সমস্ত আইনি বিকল্পগুলি বিবেচনা করছি। আমরা তাদের সমস্ত কনস্যুলার এবং আইনি সহায়তা দিয়ে যাব। আমরা কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এই রায়ের বিষয়ে কথা বলব। মামলার কার্যক্রমের গোপনীয়তার কারণে, এই আমাদের পক্ষে আর কিছু জানানো সম্ভব নয়।’

 

আল দাহরা মামলা কী?

 

আল দাহরা মামলায় এই ভারতীয় নৌসেনা কর্তাদের এবং সংযুক্ত আরব আমিররাতের এক সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে প্রথম এই মামলাটি প্রকাশ্যে এসেছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, ভারত থেকে কাতারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির বিষয়ে ইসরাইলকে গোপন তথ্য সরবরাহ করেছিলেন অভিযুক্ত আট ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা। ওই আটকর্ম কর্তাকে গুপ্তচরবৃত্তি এবং দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

 

যে আট ভারতীয় সেনা কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারা হলেন – ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ। কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি আল দাহরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতেন। কাতার কর্তৃপক্ষ তাদের কনস্যুলার অ্যাক্সেস মঞ্জুর করার পর, চলতি বছরের ১ অক্টোবর কারাগারে তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কাতারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। সূত্র: টিভি৯।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক

শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়

ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়

ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী

এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী

কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?

কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?

গুজবে কান দেবেন না : জনপ্রশাসন সচিব

গুজবে কান দেবেন না : জনপ্রশাসন সচিব

কোয়াড সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

কোয়াড সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

এনজিও,নাস্তিকদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সংগ্রাম চলবে- চরমোনাই

এনজিও,নাস্তিকদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সংগ্রাম চলবে- চরমোনাই

লৌহজংয়ে দিনমজুর যুবকের আত্মহত্যা

লৌহজংয়ে দিনমজুর যুবকের আত্মহত্যা

তিন সপ্তাহেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি যে ৭ ব্যাংকে

তিন সপ্তাহেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি যে ৭ ব্যাংকে

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ

রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম গ্রেপ্তার

সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম গ্রেপ্তার

পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

শ্রীলঙ্কার সামনে রাচিন বাধা

শ্রীলঙ্কার সামনে রাচিন বাধা

বৃহৎ স্বার্থে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমোদন: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বৃহৎ স্বার্থে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমোদন: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পুলিশিং কার্যক্রমে গতি আনতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম শুরু

ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পুলিশিং কার্যক্রমে গতি আনতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম শুরু

ফারাক্কা বাঁধের কারনে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে

ফারাক্কা বাঁধের কারনে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে