ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে তীব্র সংঘাত শুরু হয়েছে। উত্তর ইসরায়েলের শ্তুলা এলাকায় লেবানন থেকে রকেট ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলের বিমানবাহিনী এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘যারা লেবানন থেকে রকেট ছুঁড়েছিল তাদের ওপর যুদ্ধবিমান থেকে হামলা হয়েছে। একইসাথে একটি পৃথক গ্রুপ লেবানন থেকে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। তাদেরকেও আক্রমণ করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী।

এছাড়া ইসরায়েলের শোমেরা অঞ্চলের দিকে মর্টার হামলা করেছে লেবাননে অবস্থান করা যোদ্ধারা। এর ফলে সীমান্তে ইসরায়েল- হিজবুল্লাহর তীব্র লড়াইয়ের শঙ্কা বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন যে হিজবুল্লাহ গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে।

মূলত, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন শুরুর পর লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহও এই সংঘর্ষে জড়িয়ে গেছে। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হাতে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কী ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে গতকাল (মঙ্গলবার

হিজবুল্লাহর প্রকাশ করা তথ্যচিত্র অনুসারে, প্রতিরোধ যোদ্ধারা দু’টি ট্রুপ ক্যারিয়ার, দু’টি হামার এবং ৯টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। এছাড়া, ১২০ জন ইসরায়েলি সেনাকে লক্ষ্য করে নিখুঁত হামলা চালিয়েছে যাতে এসব সেনা নিহত ও আহত হয়েছে।

এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের ২০৫টি সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং ৬৯টি যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সেইসঙ্গে এ পর্যন্ত ১৪০টি নজরদারি ক্যামেরা এবং ১৭টি জ্যামিং সিস্টেম ধ্বংস করতে সফল হয়েছে।

হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গত ২৩ দিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে এবং ৩৩টি রাডার এবং ২৭টি গোয়েন্দা ডিভাইস ধ্বংস করার পাশাপাশি একটি ড্রোনও গুলি করে ধ্বংস করে। হিজবুল্লাহর হামলার মুখে ইসরায়েল সরকার লেবানন সীমান্তবর্তী অবৈধ বসতি থেকে ২৮টি কমিউনিটিকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে এবং ৬৫ হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনাকারীকে ইসরায়েলের গভীর অভ্যন্তরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

সূত্র : আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি