ক্যানসার নিরাময়ে সিমেন্ট-লেবুর মিশ্রণ লাগানোর পরামর্শ, ভয়ঙ্কর পরিণতি হল মহিলার
০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম
মা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। শেষ স্টেজ। বাঁচার আর কোনও আশা নেই বলেই ধরে নিয়েছিলেন যুবতী। এমন সময়ই খোঁজ পেয়েছিলেন একটি টিউমার রিসার্চ ইন্সটিটিউটের, যেখানের চিকিৎসক নাকি সমস্ত ক্যানসার নিরাময় করতে পারেন। সেই ভরসাতেই গিয়েছিলেন ওই চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা হল, তা ভোলার নয়। চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন, ক্যানসার আক্রান্ত ওই মহিলাকে সিমেন্ট লাগাতে!
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে চীনে। এক মহিলা ভুয়া চিকিৎসকের খপ্পরে পড়ে মাকে তো হারালেনই, সেই সঙ্গে খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা। অভিযোগ, ৩০ লাখ টাকাও বেশি খুইয়েছেন ওই মহিলা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের শেষভাগে ওই যুবতী জানতে পারেন, তার মা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত, শেষ স্টেজ। কী চিকিৎসা করাবেন, হন্যে হয়ে যখন খুঁজছিলেন তারা, সেই সময়ই উহানের একটি মেডিসিন চিকিৎসকের খোঁজ পান। উনি নাকি ক্যানসার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। সেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনিও দাবি করেন যে এমন এক চিকিৎসা আবিষ্কার করেছেন যাতে ক্যানসার সেল মরে যায়। ফলে ক্যানসার সম্পূর্ণ নিরাময় হয়।
ওই চিকিৎসকের কথাতেই ভরসা করে উহানের দংগুসানবাও টিউমার রিসার্চ ইন্সটিটিউটে যান ওই যুবতী ও তাঁর মা। ওই চিকিৎসক তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে নানা নথি ও অ্যাওয়ার্ডও দেখান। এরপরই ওই চিকিৎসকের উপরে বিশ্বাস করেন, ২০ হাজার ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) দিয়ে প্রথম ব্যাচের ওষুধ কেনেন। এক বছরে তারা মোট ৬ বার উহানে যান, লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় তাতেও। সব মিলিয়ে এক বছরেই প্রায় ২ লাখ ইউয়ান খরচ করেন যুবতী।
ওষুধের পাশাপাশি ওই চিকিৎসক ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলার স্তন থেকে রক্ত বের করে নেয়া এবং সিমেন্ট ও লেবুর মিশ্রণ বগলের নীচে লাগাতে বলেন। চিকিৎসক দাবি করেন, এতে নাকি ক্যানসার লাম্পের আকার কমে যাবে। চিকিৎসকের কথায় ভরসা করে ওই পন্থা অনুসরণ করে সিমেন্টও লাগান তিনি। কিন্তু দুই মাস পরই হাতের নীচে পুঁজ জমতে শুরু করে, পচন ধরে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখালে, তিনি জানান সারা শরীরেই ক্যানসার সেল ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সেই সময়ও ওই চিকিৎসক আশ্বস্ত করে বলেন যে এটা খুব স্বাভাবিক। ওই মহিলা যেন নিয়মিত ওষুধ খান। শেষ অবধি চলতি বছরের জুন মাসে ওই মহিলার মৃত্যু হয়।
পরে ওই চিকিৎসকও স্বীকার করে নেন যে তিনি নিজে যেমন চিকিৎসক নন, তেমনই তার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানেরও কোনও সরকারি স্বীকৃতি নেই। যে সার্টিফিকেট ও অ্যাওয়ার্ডগুলি দেখিয়েছিলেন, তাও অনলাইনে কিনেছিলেন। এখনও ঘটনার তদন্ত চলছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এমবাপ্পের জোড়া গোলে জিতে শীর্ষে রিয়াল
ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে