ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

দেরাদুনে সিল করা হল নির্বাসিত আফগান রাজার বাড়ি, গৃহহীন ১৬ পরিবার

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৪ পিএম | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৪ পিএম

ভারতের দেরাদুনের ইসি রোডে অবস্থিত ‘কাবুল হাউস’। ১৯ শতকের শেষদিকে, দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর ভারতে নির্বাসন দেয়া হয়েছিল তখনকার আফগানিস্তানের সুলতান মহম্মদ ইয়াকুব খানকে। তিনিই এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এই বাড়িটি সিল করে দিল দেরাদুন কর্তৃপক্ষ। কারণ এটি শত্রুপক্ষের সম্পত্তি।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার, কাবুল হাউস থেকে সমস্ত দখলদারি অপসারণ করে সিটি ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ। এর ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত ১৬টি পরিবারের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ লোক। তারা সকলেই নিজেদের নির্বাসিত আফগান রাজার বংশধর বলে দাবি করেন।

 

গত ৪০ বছর ধরে দেরাদুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাবুল হাউস নিয়ে মামলা চলছে। ২০১৯-এ জেলা কর্তৃপক্ষ বাড়িটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের দাবি, কাবুল হাউসে যারা থাকতেন, দেশভাগের পর তারা সকলেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। ফলে, এই সম্পত্তিটি পাকিস্তানিদের বলেই ধরতে হবে। তাই এটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে, আদালত বাড়িটি থেকে সবাইকে উঠে যাওয়ার আদেশ দিয়েছিল। বাড়িটি খালি করার জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার, পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দেন জেলাশাসক।

 

তবে, বাড়িটির এতদিনের বাসিন্দারা জানিয়েছে, তারাই ইয়াকুব খানের বংশধর। আর, তারা কখনই কাবুল হাউস ছেড়ে যাননি। তাদের দাবি, ইয়াকুবের ১১ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাদের অধিকাংশই দেরাদুন বা আফগানিস্তানে থেকে গিয়েছিলেন। তারা আরও জানিয়েছেন, একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাড়িতে থাকেন তারা। হঠাৎ করেই তাদের বাড়ি খালি করার আদেশ দেয়া হয়েছিল। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন অকূল পাথারে পড়েছেন তারা। ১৪৪ বছরের পুরোনো এই বাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি রুপি।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা