দেরাদুনে সিল করা হল নির্বাসিত আফগান রাজার বাড়ি, গৃহহীন ১৬ পরিবার

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৪ পিএম | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৪ পিএম

ভারতের দেরাদুনের ইসি রোডে অবস্থিত ‘কাবুল হাউস’। ১৯ শতকের শেষদিকে, দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর ভারতে নির্বাসন দেয়া হয়েছিল তখনকার আফগানিস্তানের সুলতান মহম্মদ ইয়াকুব খানকে। তিনিই এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এই বাড়িটি সিল করে দিল দেরাদুন কর্তৃপক্ষ। কারণ এটি শত্রুপক্ষের সম্পত্তি।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার, কাবুল হাউস থেকে সমস্ত দখলদারি অপসারণ করে সিটি ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ। এর ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত ১৬টি পরিবারের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ লোক। তারা সকলেই নিজেদের নির্বাসিত আফগান রাজার বংশধর বলে দাবি করেন।

 

গত ৪০ বছর ধরে দেরাদুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাবুল হাউস নিয়ে মামলা চলছে। ২০১৯-এ জেলা কর্তৃপক্ষ বাড়িটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের দাবি, কাবুল হাউসে যারা থাকতেন, দেশভাগের পর তারা সকলেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। ফলে, এই সম্পত্তিটি পাকিস্তানিদের বলেই ধরতে হবে। তাই এটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে, আদালত বাড়িটি থেকে সবাইকে উঠে যাওয়ার আদেশ দিয়েছিল। বাড়িটি খালি করার জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার, পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দেন জেলাশাসক।

 

তবে, বাড়িটির এতদিনের বাসিন্দারা জানিয়েছে, তারাই ইয়াকুব খানের বংশধর। আর, তারা কখনই কাবুল হাউস ছেড়ে যাননি। তাদের দাবি, ইয়াকুবের ১১ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাদের অধিকাংশই দেরাদুন বা আফগানিস্তানে থেকে গিয়েছিলেন। তারা আরও জানিয়েছেন, একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাড়িতে থাকেন তারা। হঠাৎ করেই তাদের বাড়ি খালি করার আদেশ দেয়া হয়েছিল। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন অকূল পাথারে পড়েছেন তারা। ১৪৪ বছরের পুরোনো এই বাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি রুপি।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ : বিদায় অনুষ্ঠানে বাইডেন
চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক
ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু
আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আরও

আরও পড়ুন

ফুলপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ফুলপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ : বিদায় অনুষ্ঠানে বাইডেন

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ : বিদায় অনুষ্ঠানে বাইডেন

শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন যারা

শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন যারা

চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক

চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক

চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেঃ তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেঃ তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

তনির বিয়ে নিয়ে যা বললেন নেটিজেনরা

তনির বিয়ে নিয়ে যা বললেন নেটিজেনরা

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় নকলায় দুই সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় নকলায় দুই সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া জরুরি: আমান

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া জরুরি: আমান

আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিলুপ্তির পথে দেশের সিনেমা হল

বিলুপ্তির পথে দেশের সিনেমা হল

যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং ,সতর্কবার্তা  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং ,সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

পঞ্চগড় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী

পঞ্চগড় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী

মেডিকেলের ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

মেডিকেলের ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

প্রথম দিনেই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প

প্রথম দিনেই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

প্যারিসে জুলাই জার্নাল অব ডিক্টেটরশিপ প্রদর্শনী, যা সবার আয়োজন করা উচিত

প্যারিসে জুলাই জার্নাল অব ডিক্টেটরশিপ প্রদর্শনী, যা সবার আয়োজন করা উচিত

বিরতির প্রথম দিন :  গাজায় ঢুকলো সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী  ট্রাক

বিরতির প্রথম দিন : গাজায় ঢুকলো সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক

ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু

ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু