মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার সূত্রপাত হতে পারে কারণ, মানবিক সংকট ইতিমধ্যেই অনিশ্চিত বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিটের দু’জন বিশেষজ্ঞ এ সপ্তাহান্তে সতর্ক করে বলেছেন।

বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদ ব্যবস্থাপক ব্ল্যাকরক-এর প্রধান নির্বাহী ল্যারি ফিঙ্ক বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা, গাজায় ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণ এবং গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান বিশ্বকে ‘প্রায় সম্পূর্ণ নতুন ভবিষ্যতের’ দিকে ঠেলে দিয়েছে।

সানডে টাইমসের সাথে একটি সাক্ষাতকারে, তিনি বলেছিলেন: ‘যখন ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণ হয়েছিল, আমরা বলেছিলাম যে, শান্তি শেষ হয়ে গেছে। ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি আমাদের সমস্ত জীবন গঠনের একটি প্রধান উপাদান। সারা বিশ্বে আমাদের ভয় বাড়ছে, আশাও কম। ক্রমবর্ধমান ভয় ভোগ বা বেশি খরচ থেকে প্রত্যাহার করে। তাই ভয় দীর্ঘমেয়াদে মন্দার সৃষ্টি করে এবং আমরা যদি ক্রমবর্ধমান ভয় অব্যাহত রাখি, তাহলে মার্কিন এবং ইউরোপীয় মন্দার আশঙ্কা বাড়বে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জেপি মরগানের চেয়ারম্যান জেমি ডিমন একই সংবাদপত্রকে বলেছেন যে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সংমিশ্রণ – ‘বেশ ভয়ঙ্কর এবং অপ্রত্যাশিত’।

‘এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি অব্যাহত রেখেছি। আমাদের সিস্টেমে এখনও অনেক আর্থিক উদ্দীপনা রয়েছে। কিন্তু এই ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলো খুবই গুরুতর - তর্কযোগ্যভাবে ১৯৩৮ সালের পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর,’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক ফ্রন্টে যা ঘটছে তা বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, খাদ্য, শক্তি, অভিবাসন।’

এই মন্তব্যগুলি ডিমনের অনুরূপ এপোক্যালিপটিক মন্তব্যের তিন সপ্তাহ পরে আসে, যিনি বিশ্বের অন্যতম পরিচিত অর্থদাতা। তিন সপ্তাহ আগে, তিনি একটি সতর্কতা জারি করে বলেছিলেন যে, বিশ্ব সম্ভবত ‘কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ের মধ্যে’ বসবাস করছে, ক্রমবর্ধমান সংঘাতের সম্ভাব্য ‘সুদূরপ্রসারী প্রভাব’ পড়বে জ্বালানির দাম, খাদ্য খরচ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্কে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।