ক্রমশই অন্ধকার ঘনাচ্ছে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে! ক্ষীণ হচ্ছে ৪১ শ্রমিকের ঘরে ফেরার আশা! যদিও প্রশাসন বলছে, সকলেই সুস্থ আছেন। তবে তাদের উদ্ধার করতে আরও ৪-৫দিন সময় লাগবে। আর এই তথ্যই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ধস নামার পর ইতিমধ্যে আটদিন অর্থাৎ প্রায় ১৭০ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এবার তাদের উদ্ধার করতে বিকল্প পরিকল্পনার দ্বারস্থ হচ্ছে উদ্ধারকারী দল। এতদিন শ্রমিকদের উদ্ধার করতে সুড়ঙ্গে সামনে থেকে ধ্বংসস্তূপ কেটে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু গত শুক্রবার আচমকাই তীব্র শব্দ শুনতে পান তারা। বোঝা যায়, সুড়ঙ্গের ভিতরে ফের ধস নেমেছে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয় বলে খবর।

তাই এবার ভিতরে ঢুকতে উপর থেকে লম্বালম্বিভাবে সুড়ঙ্গ কাটার পরিকল্পনা করছেন উদ্ধারকারীরা। অথবা নিচ থেকে একটি বিশেষ কোণ করে খোঁড়া হতে পারে রাস্তা। আবার ভিতরে পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদেক উদ্ধার করা যায় কি না তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে আরও অন্তত ৪-৫দিন লাগতে পারে বলেই মত তাদের। ইতিমধ্যে সিল্কইয়ার পর্যন্ত বিকল্প একটি রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। আজ অর্থাৎ রোববার থেকে সেই রাস্তা খুলে দেয়া হবে।

৪১ শ্রমিককে কীভাবে উদ্ধার করা যায়, তা ঠিক করতে ঘটনাস্থলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একটি বিশেষ দল। তারাই উদ্ধারের বিকল্প পথ নিয়ে আলোচনা করছেন। এ প্রসঙ্গে দলের অন্যতম সদস্য তথা প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে জানান, ‘একটা নয়, আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে একাধিক নক্সা তৈরি হয়েছে। অন্তত পাঁচটি বিকল্প পথে দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। ঈশ্বর যদি সহায় হন তবে আগেই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’

প্রসঙ্গত, সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গটি। গত রোববার ভোরে সেখানে ধস নামে। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। সেখানেই আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক।