জাতিসত্ত্বা ও বেইজিংয়ের একীভূতকরণের চাপের বাইরেও চীনের মূল ভূখণ্ডে তাইওয়ানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো জটিল ও অস্থির পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে বলে তাইওয়ানের মনে হতে পারে।
চাপের মধ্যে থাকা এরকম অনেক কোম্পানি বলছে, তারা ব্যবসার ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌরাত্ম ও অতিরিক্ত বাছবিচারের সম্মুখীন হচ্ছে। যখন নির্বাচনে ঘনিয়ে আসে কিংবা তাইওয়ান উপকূলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিশেষ করে এই সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।
তবুও মূল ভূখণ্ডের বাজারের আকার এবং ভৌগলিক নৈকট্যের কারণে অনেকে বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ জানালেও খুব কমই বাজার ত্যাগ করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে।
তাইওয়ানের কিনমেন কাউন্টিতে অবস্থিত কিনমেন কাওলিয়াং লিকারের এক কর্মী সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, আমরা এখনও ব্যবসা পরিচালনার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মূল ভূখণ্ডে ওয়াইন চালান পুনরায় শুরুর পরও আমাদের নতুন নিবন্ধন নম্বর নিতে হবে। নতুন করে প্যাকেজিং ও লেবেলিং করার নিয়ম মানতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিও জটিল…। আমরা শুনেছি, এর জন্য কেউ কেউ দালালদের শরণাপন্নও হয়। তবে এজন্য তারা অতিরিক্ত ফি নেয়।
গত জানুয়ারিতে বেইজিং কিনমেন কাওলিয়াং এবং তাইওয়ানের অন্যান্য ৬২টি কোম্পানির ওপর থেকে আমদানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। গত বছর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল। নিষেধাজ্ঞার পর আতা ফল আমদানিও শুরু হয় গত জুনে।
২০২২ সালে অগাস্টে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে চীন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
চীনে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাইওয়ানের কর্মীরা বলছেন, তাইওয়ানের কুয়েময় উপকূল থেকে চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের জিয়ামেনের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার হওয়া সত্ত্বেও পণ্য পাঠানোর ‘দীর্ঘপথ’ অনেক কঠিন। এছাড়া সব পণ্য রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।