নেপাল সরকার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ করার পর পরই সেখানে ইন্টারনেট ট্র্যাফিক (গতি) দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্টারনেট সেবাদাতা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের প্রায় ৪০ শতাংশই টিকটকের জন্য ব্যবহৃত হতো। যখন এটি নিষিদ্ধ করা হয়, তখন ইন্টারনেটের ব্যবহার কমে যাওয়া উচিত ছিল।

কিন্তু ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার পর ইন্টারনেট ট্র্যাফিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। গত সোমবার সরকারের আকস্মিক নিষেধাজ্ঞার পর বেশিরভাগ টিকটক ব্যবহারকারী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করেছেন যা তাদের স্থানীয় সেন্সরশিপকে বাইপাস করে ঐ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

ভিপিএন টিকটক ব্যবহারকারীর অবস্থান ও অঞ্চল পরিবর্তন করে সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে দেয়। সাথে একটি নতুন আইপি ঠিকানা সরবরাহ করে যাতে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করা যায়। টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা দাবি করেছে, শনিবার পর্যন্ত টিকটকের ৯৫ শতাংশ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে ব্যবহারকারীরাও নিয়ন্ত্রকের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছেন বলে মনে হচ্ছে। নেপালের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুধীর পারাজুলি বলেন, টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর ইন্টারনেট ট্র্যাফিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, নেপালে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ।

গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয় এর বিষয়বস্তু দেশের সামাজিক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করছে। তবে এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। যা সোমবার থেকে শুনানি শুরু করবে।

ভায়ানেট, সুবিসু, ক্লাসিক টেক এবং টেকমাইন্ডসের মতো ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি যাদের বিপুল সংখ্যক গ্রাহক রয়েছে তারাও সরকারের নির্দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিকটক ব্লক করেছে। গত সোমবার, নেপাল সরকার চীনা অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে টিকটক টেলিকম নিয়ন্ত্রক নেপাল টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষকে একটি ইমেল লিখে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।