দীর্ঘ সময় পর যুক্তরাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তার এই ফেরা নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারে যখন বিতর্ক চলছে, তখন ‘চীনঘেঁষা’ তার প্রাক্তন এক সহকর্মী তার প্রশংসাই করছেন।
যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন সম্পর্কে সাবেক টোরি এমইপি (মেম্বার অব ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট) নিরজ দেবা লিখেছেন, “ক্যামেরন সঠিক সময়ে সঠিক জায়গাতেই আছেন। জ্ঞান, গভীর সম্পর্ক আর নিখুঁত মনোযোগ দিয়ে ফ্রন্টলাইনে নেতৃত্ব দিতে পারে এমন আন্তর্জাতিক নেতা তার মত কমই আছে।”
সানডে টাইমস লিখেছে, দেবার এই মূল্যায়ন খুব আশ্চর্যজনকও নয়। কারণ তাদের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন ইভেন্টে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে।
কিন্তু ক্যামেরনকে ঘিরে তার প্রশংসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায়। আর সেটি হল দেবার চীন ঘেঁষা অতীত। আগে চীনের বিনিয়োগ প্রকল্পে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সেই প্রশ্ন উঠছে। আর এটিই ব্রিটেনের কৌশলগত মূল আগ্রহের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক হতে পারে।
ব্রাসেলসে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে নিরজ দেবা চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য বেশ পরিচিত ছিল। এমনকি তিনি ইইউ-চীন ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। পরে বেইজিং ঘেঁষার কারণে সেই গ্রুপের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।
দেবা এখন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের একজন বিশ্বস্ত উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। এ বছর শ্রীলঙ্কায় চীন নির্মিত একটি বিতর্কিত বন্দরের জন্য নগদ সংগ্রহে ক্যামেরনকে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
পলিটিকো গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, পোর্ট সিটি কলম্বোতে বিনিয়োগ বাড়াতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়ে গিয়েছিলেন ক্যামেরন। এই প্রকল্প চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ। আরব আমিরাতে দেবার সঙ্গে মঞ্চে হাজির হন ক্যামেরন। এই প্রকল্পে অর্থ ঢালতে মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগকারীদের প্রতিও আহ্বান জানান।
চীনঘেঁষা টোরিরা এখন ক্যামেরনকে ওই প্রকল্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্পষ্ট করার পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টিও প্রকাশ করার অনুরোধ জানাচ্ছে।
প্রাক্তন টোরি নেতা আয়ান ডানকান স্মিথ বলেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দেবেন বলে আশা করি।