বাজেট সংকট: জার্মান সরকারের জন্য নতুন হুমকি
২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম
বাজেট নিয়ে বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছে জার্মানির সরকার৷ সোমবার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২৩ সালের বাজেটের উপর স্থগিতাদেশ আরোপ করেছেন৷ ফেডারেল বাজেটের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি৷ প্রকৃতপক্ষে জার্মানির সর্বোচ্চ আদালতের নাটকীয় এক রায়ের বড় প্রভাব পড়েছে সরকারের উপরে৷
জার্মানির জোট সরকার কোভিড মোকাবিলায় বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছিল৷ সেখান থেকে খরচ না হওয়া ৬০ বিলিয়ন ইউরো সরকার জলবায়ু খাতে ব্যয় করতে চেয়েছিল৷ বিশেষ করে বিদ্যুৎচালিত পরিবহণ ও ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী করতে এই অর্থ ব্যয়ের কথা ছিল৷ কিন্তু আদালত এই সিদ্ধান্তকে আটকে দিয়েছে৷ তাই এই ধরনের তহবিলের ক্ষেত্রে ঋণের সাধারণ নিয়মই কার্যকর হবে৷ ১৫ নভেম্বরের দেয়া রায়ে আদালত বলেছে, কোনো একটি বছরের জন্য বরাদ্দ করে পরবর্তী বছরে তা অন্য খাতে সেই অর্থ সরকার ব্যয় করতে পারে না৷ আদালাতের রায় চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও তার সরকারের জন্য বড় আঘাত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে৷
২০০৮-০৯ সালে ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার পর জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর সতর্কতা হিসেবে ঋণ সীমার নিয়ম চালু করেন৷ সে অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ঘাটতি বা নতুন ঋণের পরিমাণ জিডিপির দশমিক তিন-পাঁচ শতাংশের বেশি হতে পারবে না৷ কিন্তু কোভিড মহামারির সময় সংকটকালীন পরিস্থিতি দেখিয়ে এই নিয়মের ব্যতিক্রম করা হয়েছিল৷ জলবায়ু পরিবর্তনকে অনেকে সংকট হিসেবে বিবেচনা করলেও সরকারিভাবে তা ঘোষিত নয়৷
এ রায়ের ফলে রাজনৈতিকভাবেও সংকটে পড়েছে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এসপিডির নেতৃত্বাধীন জোট৷ তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সিডিইউ এর আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এই রায় দিয়েছে৷ নির্বাচনের দুই বছর আগে জোট সরকারের জন্য এটি বড় রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ কীভাবে সরকার তার ব্যয় সামাল দিবে তা নিয়ে জোটের সদস্যদের মধ্যেও রয়েছে মতবিরোধ৷ এসডপিডি চায় কর বাড়াতে৷ পাশাপাশি ২০২৪ সালকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ঋণসীমা বাড়াতেও মত দিচ্ছেন দলটির কোনো কোনো নেতা৷
অন্যদিকে শরিক দল এফডিপি কর বৃদ্ধির বিপক্ষে৷ তারা বরং সরকারের বিভিন্ন খাতে বাজেট কমানোর পক্ষে৷ আর জোটের তৃতীয় সঙ্গী গ্রিন পার্টি সামাজিক ও জলবায়ু খাতের ব্যয় কমানোর ঘোরতর বিরোধী৷ তবে শেষ পর্যন্ত এফডিপি ও বিরোধী দল সিডিইউ-এর চাপে কর না বাড়িয়ে ব্যয় কমানোর দিকেই সরকারকে হাঁটতে হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷ গ্রিন পার্টির মন্ত্রীদেরকে সেক্ষেত্রে দলটির নেতা-কর্মীদের জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হবে, যা সরকারের জোটেও চিড় ধরাতে পারে৷
সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে জোটের সদস্যদের এই স্পষ্ট মতবিরোধ সত্ত্বেও তা থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে বলে পার্লামেন্টে আশা প্রকাশ করেছেন চ্যান্সেলর শলৎস৷ এমন বাস্তবতায় জনগণের কাছে সরকারের অনুমোদনের রেটিং তলানীতে এসে ঠেকেছে - নতুন নির্বাচনের ক্ষেত্রে যা জোটের তিন সদস্যের জন্য চিন্তার বিষয়৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।