দক্ষিণ চীন সাগরে আচরণবিধি প্রণয়নে প্রতিবেশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ফিলিপাইন
২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
ফিলিপাইন দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়ে পৃথক আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা করার জন্য মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো প্রতিবেশী দেশের সাথে যোগাযোগ করেছে। চীনের সাথে একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক চুক্তির দিকে সীমিত অগ্রগতির বিষয় উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রপতি একথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে চীনের সাথে সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মার্কোস ফিলিপাইনের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করার সময় চীনের আগ্রাসী আচরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
হাওয়াইয়ে এক লাইভ স্ট্রিমিং অনুষ্ঠানে মার্কোস বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে ফিলিপাইনের জলসীমায় শান্তি বজায় রাখতে মিত্র ও প্রতিবেশীদের সাথে অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে।
মার্কোস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা এখনও চীন ও আসিয়ানের আচরণবিধির জন্য অপেক্ষা করছি এবং দুর্ভাগ্যবশত অগ্রগতি কিছুটা ধীর।
তিনি বলেন, আসিয়ানের আশেপাশে দেশ ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া সঙ্গে আমাদের আঞ্চলিক সংঘাত বিদ্যমান। তাদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নিজস্ব আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
ম্যানিলায় চীন, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভাব্য আচরণবিধি সম্পর্কে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
বেইজিং বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করা তাদের এবং আসিয়ান দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, চেতনার পরিপন্থী যে কোনো আচরণবিধি বা পদক্ষেপ বাতিল ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে।
আচরণবিধি (কোড অফ কনটাক্ট) নিয়ে আলোচনা এখনও শুরু হয়নি। তবে দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশের মালিকানা দাবি কারী চীন বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন একটি বাধ্যতামূলক আচরণবিধির প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ম্যানিলা এবং বেইজিং বছরের পর বছর ধরে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে কারণ চীন তার সামুদ্রিক দাবির উপর আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। এতে প্রতিবেশী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো মূল বাণিজ্য রুটে কাজ করা অন্যান্য দেশগুলিকেও উদ্বিগ্ন করছে।
চীন দক্ষিণ চীন সাগরে ডুবে যাওয়া দ্বীপগুলিতে রাডার, রানওয়ে এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিয়ে সামরিক স্থাপনায় পরিণত করেছে।
মার্কোস বলেছেন, ঘাঁটি নির্মাণের জন্য ফিলিপাইনের উপকূলরেখার আরও কাছাকাছি চলে এসেছে চীন। পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, চীনের নিজস্ব ভূখণ্ডে নির্মাণ কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে চীনের সার্বভৌমত্বের মধ্যে পড়ে। এতে অন্যান্য দেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই।
মার্কোস আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় আমাদের পাশে ছিল। শুধু কথা দিয়েই নয়, কংক্রিট সমর্থনের ক্ষেত্রেও।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান