ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ফ্রান্সে বিতর্কিত অভিবাসন বিল পাস, আইনে ছাড় দেওয়া হয়নি শিশুদেরও

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম

ফ্রান্সে বিতর্কিত অভিবাসন বিল পাস হয়েছে। অতি দক্ষিণপন্থিদের ভোট ছাড়াই ফরাসি পার্লামেন্টে এই বিল পাস হয়। এর ফলে ফ্রান্সের অভিবাসন আইন আগের চেয়ে কয়েক গুণ কঠিন হলো। মূলত মঙ্গলবার যে শরণার্থী বিল পার্লামেন্টে পাস হয়েছে, সেখানে অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়ম অনেক বেশি কড়া হয়েছে। এমনকী ছাড় দেওয়া হয়নি শিশুদেরও। -ডয়েচে ভেলে

এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নিজের দলের ভেতরেই সমালোচিত হয়েছিলেন। বরং তিনি সাহায্য পেয়েছিলেন অতি দক্ষিণপন্থিদের কাছ থেকে। যা নিয়ে ম্যাক্রোঁ খুব খুশি ছিলেন না। কিন্তু শেষপর্যন্ত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটি পাস করানোর সময় অতি দক্ষিণপন্থিদের সমর্থন প্রয়োজন হয়নি ম্যাক্রোঁর। তার নিজের দলই পাশে দাঁড়িয়েছে।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মঙ্গলবার আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আইনটি নিয়ে পার্লামেন্টে তীব্র বিতর্কের আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। এবং শেষ পর্যন্ত অতি দক্ষিণপন্থিদের সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেছিলেন তিনিও। মঙ্গলবার দৃশ্যত খুশি দেখিয়েছে তাকে।

কী আছে আইনে : আইনটির খসড়া পার্লামেন্টে একাধিকবার বদলেছে। বামপন্থিদের বক্তব্য, অতি দক্ষিণপন্থিদের চাপে বিলটি বার বার বদলানো হয়েছে। শরণার্থীরা রেসিডেন্সি পারমিট আগে যত সহজে এবং দ্রুত পেতেন, নতুন আইনে তা আর পাওয়া যাবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশ থেকে আসা শরণার্থীর জন্য বহু নিয়ম এখনও আগের মতোই থাকবে। কিন্তু শরণার্থী ইইউয়ের না হলে ফ্রান্সে হাউসিং বেনেফিট বা বাড়ি পাওয়ার অধিকার পেতে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে।

 

মাইগ্রেশন কোটাও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে শরণার্থী শিশুদের ফরাসি নাগরিকত্ব পেতে অসুবিধা হবে। শুধু তা-ই নয়, অবৈধ শরণার্থীদের সহজেই এই আইনের ফলে দেশ থেকে বের করে দেওয়া যাবে। ছাড় দেওয়া হবে না ১৪ বছরের নিচের ব্যক্তিদেরও। বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় থেকেই এ নিয়ে তীব্র আন্দোলন হচ্ছে ফ্রান্সে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিলটি পাস হলেও তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান