চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ভূখণ্ড বারবার লঙ্ঘন, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বহিরাগত শক্তির সাথে যোগসাজশ করার অভিযোগ করেছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি সোমবার এক মন্তব্যে লিখেছে, ফিলিপাইন চীনকে ক্রমাগত উসকানি দেওয়ার জন্য মার্কিন সমর্থনের উপর নির্ভর করছে। এ ধরনের 'অত্যন্ত বিপজ্জনক' আচরণ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার মারাত্মক ক্ষতি করছে।
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ চীন সাগর পরিচালনাকারী একটি জাতীয় টাস্কফোর্স এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং ও ম্যানিলার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ উভয় পক্ষই দক্ষিণ চীন সাগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের অভিযোগ তুলেছে। যার মধ্যে চলতি মাসে ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফকে বহনকারী একটি জাহাজে চীনের ধাক্কার অভিযোগও রয়েছে।
চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশ দাবি করে, যার কিছু অংশ ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়াও দাবি করে। ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ফিলিপাইনের দায়ের করা একটি মামলায় চীনের দাবিকে বৈধতা দেয়, যা বেইজিং প্রত্যাখ্যান করে।
গত সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ফিলিপাইনের সঙ্গে বিরোধে যে কোনো ভুল ধারণা চীনের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া বয়ে আনবে। 'গুরুতর সমস্যা' মোকাবেলায় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ম্যানিলার সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ও সাত দশকের প্রতিরক্ষা মিত্র জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্যোগের পর ম্যানিলা বেইজিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তিক্ততা দেখা দিয়েছে।
চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে বেশ কয়েকটি সামুদ্রিক সংঘাতের কারণে বিতর্কিত অঞ্চলের নিকটবর্তী জলসীমায় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ পাঠানোর জন্য চীন এই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, ওয়াশিংটন প্রায়শই ম্যানিলার সাথে তার প্রতিরক্ষা চুক্তি চীনকে "হুমকি" দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে। ফিলিপাইনের চীনা সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করে এবং "নিরাপত্তা উদ্বেগ ছড়িয়ে দেয়"।