আমাদের বাঁচান! হিব্রুতে আর্তির পরেও পণবন্দিদের ‘খুন’ ইসরাইলি সেনার
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
পণবন্দি অবস্থায় নিজের দেশের সেনাকে দেখে মনে বল পেয়েছিলেন। তাই মাতৃভাষা হিব্রুতে চিৎকার করে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটাকে হামাসের ফাঁদ বলে মনে করে পণবন্দিদের সটান হত্যা করে ফেলে ইসরাইলি সেনা। একসঙ্গে তিন পণবন্দিকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয়া হয়। সদ্যপ্রকাশিত এক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে। ইসরাইলের সেনাপ্রধান হেরজি হালেভির বিবৃতির ভিত্তিতেই তদন্ত চালিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে এই রিপোর্ট।
জানা গিয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর গাজার একটি বাড়িতে ঢোকে ইসরাইলি সেনা। সেই সময়ে বাড়ির ভিতর থেকে তারা হিব্রু ভাষায় আর্তনাদ শুনতে পান। সাহায্য চেয়ে বেশ কয়েকজন চিৎকার করছিলেন। কিন্তু সেটাকে হামাসের ফাঁদ বলে মনে করেন সেনারা। তাদের মনে হয়েছিল, হিব্রু ভাষায় কথা বলে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বাড়ির মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের খুন করবে হামাস যোদ্ধারা, সেটা মনে করেই পিছিয়ে আসে ইসরাইলি সেনা। তবে বেরনোর আগে বাড়িতে থাকা পাঁচ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করে তারা।
হামাস যোদ্ধাদের মৃত্যুর পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে পণবন্দিরা। প্রায় পাঁচদিন পরে ফের ইসরাইলি সেনার সঙ্গে দেখা হয় তাদের। সেই সময়েও ফের পণবন্দিদের হামাস যোদ্ধা ভেবে ভুল করে বসেন ইসরাইলি সেনারা। তিন পণবন্দিকে লক্ষ্য করে লাগাতার গুলিবৃষ্টি শুরু করে তারা। সঙ্গে সঙ্গেই দুজনের মৃত্যু হয়। তবে শেষ মুহূর্তে তৃতীয়জনকে চিনতে পারেন সেনা কমান্ডার। সেই সময়ে গুলিবৃষ্টি থামাতে নির্দেশ দিলেও শুনতে পাননি অনেকে। গুলি করে খুন করা হয় তৃতীয় পণবন্দিকেও।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইসরাইলের সাধারণ মানুষ। অন্য কোনও উপায়ে হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের উদ্ধার করা হোক, এই দাবিতে সুর চড়িয়েছেন তারা। যদিও তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই খবরে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন সেনাপ্রধান। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই তিনজনের মৃত্যু অবশ্যই আটকানো যেত। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে এখনও ১২৯ জন ইসরাইলি পণবন্দি আটকে রয়েছেন হামাসের হাতে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নামাজ না পড়িয়েই পালিয়ে গেলেন খতিব
ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ
শিক্ষক ভিন্ন ধর্মালম্বি হলেও তার সাথে ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ ও সম্মান করতে হবে -ছারছীনার পীর ছাহেব
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদরদপ্তর
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ গ্রেপ্তার ৩
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা
সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মণিপুর সংঘাত ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার
বাংলাদেশ বেতারে উর্দু সার্ভিস চালু করতে পর্যালোচনা সভা
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা