পেঁয়াজের উৎপাদনের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে তার বিক্রয়ের ভারসাম্য রাখার জেরে ভারতের মোদি সরকার আপাতত পেঁয়াজের দামের উর্ধ্বগতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এরফলে পেঁয়াজের খুচরো মূল্য কমেছে ৩০ শতাংশ আর পাইকারী মূল্য কমেছে ৩৫ শতাংশ। ফলে পেঁয়াজের দাম এবার ধীরে ধীরে নিম্নমুখী।

জানা যাচ্ছে, পেঁয়াজের দাম কমতে আরম্ভ করায় এবার সরকার ভাবছে পেঁয়াজের রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে। মুম্বই এপিএমসির ডিরেক্টর জয়দ্যোৎ হলোকার বলছেন, ‘সরকারের কোটা সিস্টেম তোলা উচিত। পেঁয়াজ রপ্তানিতে খোলা নীতি থাকা উচিত।’ পেয়াঁজের দামে কমতি ও পেঁয়াজের পচনশীলতার দিকটি মাথায় রেখে এবার পেঁয়াজের রপ্তানির দিকে সরকার ভাবনা চিন্তা করছে বলে দাবি করেছে এক রিপোর্ট। বেশ কিছু সূত্রের দাবি, খুব শিগগিরই পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে মোদী সরকার।

এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ২৫০০০ টন খরিফ ফসলের পেঁয়াজ কৃষকদের থেকে কিনে নিয়েছে কেন্দ্র। আর তা সমান তালে বিক্রিও করা হচ্ছে। কারণ এই ফসলজাত পেঁয়াজ বেশিদিন মজুত করে রাখা যাবে না। বাজারে এই প্রক্রিয়া চালু করা ও সরকারি পদক্ষেপের জেরে পেঁয়াজের দরকে বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে বলেও দাবি করছেন বহু বিশেষজ্ঞ।

কিছু মাস আগে পর্যন্তও ভারতে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৫৯ রুপি। যা বর্তমানে কেজি প্রতি ৩৯ রুপি হয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম কুইন্টাল প্রতি ৪৮৮৫ রুপি গত এক মাসে ছিল। যা বর্তমানে হয়েছে ৩১৩৭ রুপি কুইন্টালে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের থেকে প্রতিদিন ১৫ হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ বেশি আসছে বাজারে। ফলে দামে আসছে ভারসাম্য। এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ রপ্তানি ফের চালু হয় কি না, তার দিকে তাকিয়ে সকলে।