মাদ্রাসায় অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে রাজ্যসরকার উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষকরা
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
ভৌগলিক ও জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসরকার মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্থ বরাদ্দ থামিয়ে দেওয়ায় বেতন বন্ধ হয়ে এসব ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাজার হাজার শিক্ষকের। রাজ্যটির বিভিন্ন মাদ্রাসার ২১ হাজারেরও বেশি শিক্ষক চাকরি ছাড়ার পথে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ। -রয়টার্স
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জাভেদ বলেন, ‘শিগগিরই রাজ্যের বিভিন্ন মাদ্রাসার ২১ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে চাকরি ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিতে হবে। রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় এটা একটি বড় আঘাত।’ প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ সালে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসরকারে আসীন তৎকালীন কংগ্রেস সরকার রাজ্যটিতে ‘স্কিম ফর প্রোভাইডিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইন মাদ্রাসাস’ নামের একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছিল। পরে ২০১৬ সালে সেই প্রকল্পের তহবিলে আরও ৩০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৯৬ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৭২ টাকা) যোগ করেছিল তৎকালীন বিজেপি সরকার। প্রকল্পটি চালু করার পর থেকে এ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৭০ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে থাকা একটি সরকারি নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ এবং ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর প্রকল্পটিতে অর্থবরাদ্দ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু তা অনুমোদন করেনি কেন্দ্রীয় সরকর। পরে ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে থেকে প্রকল্পটির তহবিলে অর্থবরাদ্দ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে বিপদে পড়েছে অনেক মাঝারি ও ছোটো মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকদের বেতন-ভাতার একটি বড় অংশ আসত ‘স্কিম ফর প্রোভাইডিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইন মাদ্রাসাস’ প্রকল্পটি থেকে।
জাভেদ জানান, কয়েক মাস আগে তিনি উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরেই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসরকার তার শিক্ষাবাজেট থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ করায় এখনও মাদ্রাসাগুলো কোনো রকমে টিকে রয়েছে— তবে শিক্ষকদের বেতন কমে গেছে কোথাও এক তৃতীয়াংশ, কোথাও বা এক চতুর্থাংশ।
উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, আগে যেখানে মাদ্রাসার একজন জুনিয়র শিক্ষক মূল বেতন পেতেন ১২ হা্জার রুপি, বর্তমানে তার বেতন নেমেছে ৩ হাজার রুপিতে। রাজ্যের বাহরিচ জেলার মাদ্রাসা শিক্ষক সামিউল্লাহ খান রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা খুব বিপদে আছি। অন্য কোনো কাজ পাওয়াও আমাদের জন্য কঠিন। কারণ আমাদের বেশিরভাগই মাদ্রাসা শিক্ষকতা ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানি না।’
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ক প্যানেলের অন্যতম সদস্য শহীদ আখতার অবশ্য বলেছেন ‘স্কিম ফর প্রোভাইডিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইন মাদ্রাসাস’ প্রকল্পটি ফের চালু করা উচিত। ‘এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন শিশুদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাও দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পটি মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী ছিল এবং এটি ফের চালু করা উচিত। এ ব্যাপারে আমি শিগগিরই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব,’ রয়টার্সকে বলেন তিনি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নিউইয়র্কে বৈঠকে বসছেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর
ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার
জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান
ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা