আমরা কোথায় যাব- প্রশ্ন গাজাবাসীর
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৫ পিএম | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
ইসরাইলি হামলার ১০০ দিনের মধ্যে গাজার ৭০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছে যে- যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও তাদের নিজ শহরে ফিরে যাওয়ার মতো আর কিছুই থাকবে না।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের সাথে দক্ষিণ গাজার একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেয়া শাহিনাজ বকর নামে এক নারী প্রতিবেদকের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আমরা যখন গাজা শহরে ফিরে যাব তখন আমরা কোথায় যাব? আমরা কোথায় থাকব?’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শাহিনাজ বকর বলেন, ‘আমাদের বাড়ি, বাজার, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের যা আছে সব এখানে আছে, আমরা যদি গাজা শহরে ফিরে যাই, তাহলে তাঁবু ফেলেই বসবাস করতে হবে।’
তিনি হতাশাচিত্তে বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত হওয়া কি আমাদের নিয়তি? ১৯৪৮ সালে বাস্তুচ্যুত হয়েছি, এখন আবার ২০২৪ সালে?’
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এই ১০০ দিনে প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা।
গাজায় ইসরাইলি হামলার শততম দিবস উপলক্ষে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত এ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৩ হাজার ৯৬৮ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
শত দিন ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২৩ লাখ গাজাবাসীর প্রায় ৮৫ শতাংশই হারিয়েছে তাদের সর্বস্ব। ধ্বংস করা হয়েছে গাজার প্রায় ৩ লাখ ৫৯ হাজার ঘরবাড়ি।
ইসরাইল জানিয়েছে, তারা গাজার প্রায় ৩০ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তারা ২ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে অধিকৃত পশ্চিমতীরেও।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটির তথ্যমতে, গত ১০০ দিনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিমতীর থেকে ৫ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৩৫৫টি শিশু ও ২০০ নারী রয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শপথ নিলেন অতিশী, মমতার পর দ্বিতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেল ভারত
মালয়েশিয়ায় নাইট ক্লাবে স্ফূর্তি করতে গিয়ে আটক ৫ বাংলাদেশি
নতুন রেকর্ড সোনার দামে, ভরি ১৩৩০৫১ টাকা
সিলেটে একদিনে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল হক
শেখ হাসিনা সকল দপ্তরের টাকা লুট করে আমানত খেয়ানত করেছে : নোয়াখালীতে শিবির সভাপতি
ইসলামী ছাত্র মজলিসের নির্বাচন সম্পন্ন--রায়হান সভাপতি ও ইমরান সেক্রেটারি নির্বাচিত
হাজীগঞ্জে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন কিশোরের মৃত্যু
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই-ধর্ম উপদেষ্টা
নয়ন মিয়ার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না : যুবদল সভাপতি মুন্না
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে আওয়ামীলীগের পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার
একই কর্মস্থলে অর্ধ যুগ কাটিয়েছেন পিআইও রেজা, করেছেন প্রকল্পের টাকা হরিলুট
আওয়ামীলীগ শাসনামলে যশোরে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রদর্শিত অস্ত্রের কোনো হদিস নেই
যে আইন বাংলাদেশে চলে, সেই আইনে পার্বত্য অঞ্চলেও চলবে -কুমিল্লার সমাবেশে ফয়জুল করিম চরমোনাই
সীতাকু-ের বিতর্কিত সাবেক সহকারী কমিশনার চট্টগামের এডিসি হলেন
ফরাজীকান্দি নেদায়ে ইসলাম ওয়েসীয়ান ছাত্রদের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা.) উপলক্ষে আনন্দ র্যালি
ব্রুনাইয়ে ভবন থেকে পড়ে গফরগাঁওয়ের প্রবাসী নিহত
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে