সাইবর্গ হয়েও স্বাভাবিক জীবনের আকাঙ্ক্ষা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০১ পিএম | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০১ পিএম
শিশু বয়স থেকেই মানেল দে আগুয়াস প্রকৃতি, বিশেষ করে পানি ও বৃষ্টি দেখে মুগ্ধ হতেন। তিনি চিরকাল প্রাকৃতিক জগতের কাছে যেতে চাইতেন। পরস্পরবিরোধী মনে হলেও প্রযুক্তিই তার জন্য সেই পথ খুলে দিয়েছে। সাইবর্গ হিসেবে তার অভিজ্ঞতা তার সংগীতের জন্য প্রেরণা হয়ে উঠেছে।
প্রথম দর্শনে মনে হবে মানেল বার্লিনে মানুষের ভিড়ের সঙ্গে মিশে রয়েছেন। ঠিক যেন সাধারণ এক তরুণ, যে সাদামাটা জীবনযাপন করছে। কিন্তু মাথার দিকে একবার তাকালে অসাধারণ কিছু চোখে পড়বে। মানেল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মাথার উপর দুটি পাখনা রয়েছে, যা আমার শরীরের অংশ। সেগুলি সাইবারনেটিক বডি পার্টস, যা আবহাওয়া, বায়ুমণ্ডলের চাপ, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপ করে। আমার মাথার মধ্যে বসানো এই ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে আমি বায়ুমণ্ডলে সোনিক বা শব্দের অভিজ্ঞতা পাই, কারণ সেগুলির মাধ্যমে আমি আবহাওয়া শুনতে পাই।’
মানেল বর্তমানে নতুন এক অ্যালবাম সৃষ্টির কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘অ্যালবামের নাম হবে ‘ট্রান্সেন্ডিং স্পিশিস'। তাতে আমার সাইবার রূপান্তরের ১১টি অধ্যায় পপ ও ট্রান্সের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলা হবে। আমি নিজের প্রোডাকশনের ভিত্তি হিসেবে সব সময়ে আমার ‘ওয়েদার ফিন সাউন্ড' ব্যবহার করছি। কোনো এক সময়ে আবহাওয়ার শব্দ শোনা যাবে, যা আমি পাখনার মাধ্যমে অনুভব করি।’’
ইমপ্ল্যান্টগুলি মানেলের জীবন পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। তবে সেই প্রক্রিয়া মোটেই ঝুঁকি-হীন ছিল না। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মানেল দে আগুয়াস বলেন, ‘‘আমি বার্সেলোনায় ইমপ্ল্যান্ট বসানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেখানে শরীরে রূপান্তরের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা কম থাকায় এমন ইমপ্ল্যান্টের সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলি সম্পর্কে তাদের মনে কিছুটা ভয় জন্মেছিল। এগুলি ট্রান্সডার্মাল ইমপ্ল্যান্ট, যা সাধারণত ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেগুলির অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে সেগুলির ক্ষেত্রে ভাইব্রেশনের মধ্যে সাইবারনেটিক্স প্রয়োগ করা হয়েছিল, যা সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে আমি শেষ পর্যন্ত জাপানে গিয়ে এমন এক বডি মডিফাইয়ারের দেখা পেলাম, যিনি নব্বইয়ের দশকে অন্যতম পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন।’’
মানুষ ও যন্ত্রের মেলবন্ধন গ্রহণ করে মানেল তাঁর অসাধারণ সাইবর্গ জীবনে স্বাভাবিকতা খুঁজে পান। তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, ‘‘এটা যে খুব স্বাভাবিক বাস্তব নয়, সেটা আমি বুঝি। কিন্তু আমার জন্য সেটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে। আমি এক সাধারণ মানুষ। আমার বন্ধুবান্ধব আছে, আমি পার্টিতে যাই, নিজের সংগীত সৃষ্টি করি, আমার একটা কাজ আছে। আমার খুবই স্বাভাবিক জীবন রয়েছে।’’
মানেল ও অন্যান্য সাইবর্গরা ‘ট্রান্সস্পিশিজ সোসাইটি' নামের এক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। কেউ সাইবর্গ হয়ে উঠতে চাইলে সেখানে সহায়তা পাওয়া যায়। সূত্র: ডি-ডব্লিউ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র
সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ বার্সা
ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের
সিটির অমরত্বের রাত...
বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক
স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী
খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা
সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট
বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন
শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল
কোরবানির গোস্ত দিয়ে কোন অনুষ্ঠান করে টেবিল বসিয়ে টাকা বা উপহার নেওয়া প্রসঙ্গে।
মানিকগঞ্জ-ঢাকা রেললাইন প্রসঙ্গে
কমিউনিটি ক্লিনিক দাঁড়িয়ে আছে দোরগোড়ায়