ঢাকা   শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১০ কার্তিক ১৪৩১

মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নে কঠোর বিজেপি

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম

‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করা হবে না। আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য এটি আমাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। এর সাথে কখনোই আপস করব না’, এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে জানিয়েছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ ‘মুসলমান বিরোধী নয়'।

 

সংসদে পাশ হওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছর পর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) সোমবার কার্যকরী হয়েছে। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে।

এই আইন কার্যকর হওয়ার বিরুদ্ধে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।

 

সিএএ-কে কেন্দ্র করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বাম, আম আদমি পার্টিসহ বিরোধীরা তোপ দেগেছে বিজেপি সরকারকে। নিজ নিজ রাজ্যে যে তারা এই আইন কার্যকর হতে দেবেন না, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন এই বিরোধীরা ।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘একটা মানুষেরও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। আপনাদের বাংলা থেকে বিতাড়িত হতে দেব না।’

তিনি অভিযোগ করেছন ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চাইছে বিজেপি।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকারের সময় অমিত শাহ সরাসরি তার উত্তরে পাল্টা তোপ দেগেছেন।

 

তিনি বলেন,‘আমি মমতাজিকে অনুরোধ করছি, রাজনীতি করার জন্য বেশ কয়েকটি অন্য প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তবে দয়া করে বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালি হিন্দুদের ক্ষতি করবেন না।’

অমিত শাহ তোপ দেগেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধেও।

বিরোধীদের নিশানায় রেখে বলেছেন, তারা ‘মিথ্যার রাজনীতি’ করে।

তবে নিশানায় বিরোধীরা হলেও সিএএ কার্যকর হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে যে বিতর্ক আর বিভ্রান্তি চলছে ভোটের আগে সেটা প্রশমিত করতে অমিত শাহের এটা আসলে‘সাফাই’ এমনটাও মনে করেন অনেকে।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস নিশ্চিন্ত করতে পারেনি কবিয়াল মনোরঞ্জন সরকারকে, যিনি মতুয়াদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছেন।

কবিয়াল মনোরঞ্জন বলেন,‘যত সহজে নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে তত সহজে কেউ নাগরিকত্ব পাবেন না। যারা এই আইন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন তারা জানেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রভাব মানুষের জীবনে পড়তে বাধ্য। এবং সে কথা জানে বলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এতবার এত বিবৃতি দিতে হচ্ছে।’

একইসাথে, এই আইন কার্যকর করার ‘টাইমিং’ নিয়ে অমিত শাহের দেয়া যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আসন্ন নির্বাচনের কথা ভেবে, নির্বাচনী অঙ্ক মাথায় রেখেই এই ঘোষণা।

বিরোধীদের তোপ
তীব্র সমালোচনা বা বিক্ষোভের মুখোমুখি হলেও এই আইন যেকোনো মতেই প্রত্যাহার করা হবে না, সে কথা জানিয়েছেন অমিত শাহ।

তার স্পষ্ট জবাব,‘সিএএ কখনই প্রত্যাহার করা হবে না।’

এই আইনকে কেন্দ্র করে বিজেপি সরকারকে প্রথম থেকেই তোপ দেগে এসেছে বিরোধীরা।

এ বিষয়ে অমিত শাহ বলেন,‘সিএএ বিজেপি এনেছে, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার এনেছে। এটি বাতিল করা অসম্ভব। আমরা দেশজুড়ে সবাইকে সচেতন করব যাতে যারা এটি বাতিল করতে চায় তারা সুযোগ না পায়।’

 

অন্যদিকে, সিএএ ‘অসাংবিধানিক' বলে বিরোধীরা তীব্র আক্রমণ করে এসেছে।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আইনজীবীদের মতামত নিয়েছি। তারাও আমায় বলেছে এটা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করার জন্য হয়েছে।’

‘সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটা অসাংবিধানিক এবং বৈষম্যমূলক। দু-তিনটে সিটে জেতার জন্য আপনাদের ভাঁওতা দিচ্ছে।’

এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই আইন ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে না। এখানে একটি স্পষ্ট এবং যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে।’

তিনি বলেন,‘দেশভাগের কারণে যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে থেকে গিয়েছিলেন এবং ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদের জন্য এই আইন।’

‘মুসলমান বিরোধী আইন নয়’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলেও অভিযোগ ছিল বিরোধীদের।

জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বা অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসির কটাক্ষের জবাবে অমিত শাহ বলেন,‘কোনো যুক্তিতে এটা মুসলমান বিরোধী? সিএএ-এর মূল শর্ত হল ধর্মীয় নিপীড়ন। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র। সেখানে মুসলমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।’

তিনি বলেন, এই দেশগুলিতে যারা সংখ্যালঘু তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তাহলে কীভাবে মুসলমান বিরোধী আইন বলা যেতে পারে? এর সাথে এনআরসির কোনো যোগ নেই। এটা নাগরিকত্ব দেয়ার আইন, ছিনিয়ে নেয়ার নয়।’

অমিত শাহের যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।

তার কথায়, ‘এটা ভোটের কথা ভেবে ধর্মীয় মেরুকরণ। বিজেপি বরাবরই মুসলমানদের বিরুদ্ধে। সিএএ-এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’

অন্য দিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটের আগে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে, তাই এইসব বলছে বিজেপি। ওরা ধর্মের নামে বিভাজন ছাড়া কিছু বোঝে না।’

 

‘বিজেপি শুধু মুসলমান বিরোধী নয়, মানুষ-বিরোধী। যদি নাগরিকত্ব দেয়াই লক্ষ্য হয় তাহলে এমনিই দিয়ে দিতে পারে, তার জন্য আবেদন করতে হবে কেন?’

সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘যেমন মতুয়াদের কথাই ভেবে দেখুন। তারা তো এখানেই আছেন বহু বছর ধরে। তারা তো এখানেই বাস করে এসেছেন। আধারকার্ড আছে, ভোট দিচ্ছেন।’

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিতর্কিত মন্তব্য
বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সিএএ-র বিরোধিতা করে বলেন, এই আইন উল্লিখিত তিনটি দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের ভারতে আসার ঘটনাকে উৎসাহ দেবে। চাকরি, বাসস্থান ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে সমস্যা হবে।

কেজরিওয়াল বলেন, এই আইনের মারফত বিজেপি বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে সংখ্যালঘুদের আসার রাস্তা খুলে দিল। এভাবে অনুপ্রবেশ চলতে থাকলে অপরাধ বাড়বে। চুরি, ডাকাতি ধর্ষণের মতো ঘটনাও বাড়বে।’

তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার তার বাড়ির কাছে উদ্বাস্তুদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।

তারা ওই মন্তব্যের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেন।

তার সাক্ষাৎকারে কেজরিওয়ালের অভিযোগের জবাব দিয়েছিলেন অমিত শাহ। একই সাথে পাল্টা অভিযোগও করেছিলেন।

অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, উনি জানেন না, যে অভিবাসীদের কথা উনি বলছেন, তারা ইতোমধ্যে এই দেশে বসবাস করছেন। আমরা শুধুমাত্র তাদের আইনি নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলছি। উনি কেন বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কথা বলছেন না। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না?।’

তিনি বলেন,‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ভোটের রাজনীতি করছেন। দেশভাগের কথা ভুলে গেছেন। শরণার্থী পরিবারগুলোর সাথে ওর কথা বলা উচিত।’

এর জবাব অবশ্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। তার পাল্টা যুক্তি, ২০১৪-এর পরে বিজেপি শাসনকালে রোহিঙ্গারা ভারতে এসেছে।

কেজরিওয়াল বলেন,‘রোহিঙ্গারা ২০১৪-এর পরে আপনাদের সময়ে এসেছে। এটা আপনাদের বিফলতা নাকি যোগসাজশ? সিএএ চালু হলে সংখ্যালঘুরা দলে দলে ভারতে আসবে।’

 

‘টাইমিং’
ভোটের আগেই যে সিএএ চালু করতে চায় বিজেপি এই বিষয়টা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল। একাধিক সভা থেকে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন স্বয়ং অমিত শাহ।

‘টাইমিং এর কোনো গুরুত্ব নেই এখানে। বিজেপির ২০১৯ সালের ইস্তেহারে স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা সিএএ আনবে এবং শরণার্থীদের (পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে) ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবে,’ সাম্প্রতিক ওই সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি।

অমিত শাহ বলেন,‘বিজেপির একটি স্পষ্ট এজেন্ডা রয়েছে এবং সেই প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২০১৯ সালে সংসদের উভয় কক্ষে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাস হয়েছিল। কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। ভোটে জনাদেশ পাওয়ার আগেই বিজেপি তাদের এজেন্ডা পরিষ্কার করে ফেলেছিল।’

তার যুক্তি, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, তিন তালাকসহ যে যে বিষয়ে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূর্ণ করেছে।

অন্যদিকে, কোভিডের কারণে এই আইন কার্যকর করতে পারেনি এই যুক্তি মানতে চাননি অনেকেই।

তৃণমূল নেতা সামিরুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘ভারত কোভিড মুক্ত হয়েছে কবে? তা হলে এতদিন কেন লাগল এই আইন কার্যকর করতে? আর সময়টা ভোটের আগেই বা কেন বেছে নেয়া হল?’

সময়ের ভূমিকা কি সত্যিই নেই?
এখন প্রশ্ন উঠছে তবে সত্যিই কী সময়ের (টাইমিং) কোনো ভূমিকাই কি নেই এই ঘোষণার পেছনে?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেন,‘বিজেপি সিএএ সংক্রান্ত ইস্যু শেষ পর্যায়ের জন্য রেখে দিয়েছিল। কারণ এর যে প্রভাব পড়তে পারে সেটা মানুষ ভোটের আগে বুঝতে পারুক বিজেপি তা চায়নি।’

এই আইনের আওতায় নাগরিকত্বের আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো কিছু অস্পষ্টতা রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

বিশ্লেষকদের মতে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হবে না। আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হলে এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি একে একে প্রকাশ পাবে। এদিকে ভারতে লোকসভা ভোট আসন্ন।

কবিয়াল মনোরঞ্জন সরকার বলেন,‘এই আইন যারা বিশ্লেষণ করেছেন তারা জানেন এখানে একাধিক অস্পষ্টতা রয়েছে। যারা ২০১৪ সালের আগে এসেছেন তাদের সকলের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে।’

‘আর আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড সংযোগ করার কারণে ব্যাঙ্কের তথ্য, স্কুল-কলেজের শংসাপত্র, চাকরির বিষয়ে সব তথ্যই সরকারের কাছে আছে।’

কবিয়াল মনোরঞ্জন বলেন, তাহলে আবার কেন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে? আর আবেদনের প্রক্রিয়াটা যেমন বলা হচ্ছে তেমন সহজ নয়। এটা তারা (বিজেপি) জানে। তাই বারে বারে বিবৃতি দিতে হয় তাদের।’

তার আশঙ্কা শুধুমাত্র মতুয়া সম্প্রদায় নয়, সিএএ-র প্রভাব পড়বে অনেকের ওপরে।

‘অনেকে বলছেন এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মতুয়ারা। কিন্তু শুধু তারাই নয়। বাংলা ভাগের বলি যত মানুষ তারা সবাই এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

মনোরঞ্জন সরকার বলেন,‘স্বরাষ্ট্র দফতরের নিয়ম মেনে যারা আবেদন করবেন তারা সবাই প্রভাবিত হবেন।’

মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেছেন স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘এই আইনের কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট নয়। যদি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার পর তা প্রত্যাখ্যান করা হয়, তা হলে তার বর্তমান অবস্থা ঠিক কী দাঁড়াল? কারণ তিনি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ভারতীয় নন।’

অন্য একটি বিষয়ের কথাও বলেন স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য।

‘ধরে নেয়া যাক আমি ইতোমধ্যে আমার সমস্ত কিছু কাগজ-পত্র জমা দিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত আমার কাছে যে কাগজপত্র ছিল সেগুলো কিন্তু বেআইনি। অথচ আমি সেই কাগজ দেখিয়েই এতদিন সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। সরকারি চাকরিও পেয়েছি। সেটার কী হবে? এ বিষয়ে আইনে স্পষ্টতা নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘কেউ যদি আদালতে মামলা করেন যে একজন যোগ্য আবেদনকারীর বদলে ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে আমি চাকরি পেয়েছি, তাহলে কী হবে? সরকার আমাকে পাসপোর্ট অ্যাক্টের হাত থেকে বাঁচাতে পারে, কিন্তু আদালতে কী হবে? ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে চাকরি পাওয়া আইনত অপরাধ।’

এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কিন্তু একে একে প্রশ্ন উঠছে।

স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, যত সময় যাবে এই আইনের কী কী প্রভাব, তা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসবে। সেটা বিজেপি চায়নি। বিজেপি জানে যতদিনে এই বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে ততদিনে ভোট পেরিয়ে যাবে।’

সূত্র : বিবিসি


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পর্যটকদের জন্য খরচ বাড়ছে ভেনিসে

পর্যটকদের জন্য খরচ বাড়ছে ভেনিসে

শ্যামনগরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত

শ্যামনগরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত

চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জবি ছাত্রলীগের গ্রুপ গ্যাং

চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জবি ছাত্রলীগের গ্রুপ গ্যাং

বিজিবি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে বেনাপোলে ৬২ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

বিজিবি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে বেনাপোলে ৬২ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

পাবনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জনতার হাতে আটক ৪ ডাকাত

পাবনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জনতার হাতে আটক ৪ ডাকাত

জুলাই-আগস্টে নিহত পুলিশের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

জুলাই-আগস্টে নিহত পুলিশের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

জমির বিরোধে মাদারীপুরে মা ও ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

জমির বিরোধে মাদারীপুরে মা ও ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

কোন সমন্বয়ক ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বহিস্কার করে ব্যবস্থা: সারজিস

কোন সমন্বয়ক ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বহিস্কার করে ব্যবস্থা: সারজিস

সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শিক্ষার্থীদের

সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শিক্ষার্থীদের

ইন্ডিয়া গেটের কাছেই হাসিনার বাংলো : হিন্দুস্তান টাইমস

ইন্ডিয়া গেটের কাছেই হাসিনার বাংলো : হিন্দুস্তান টাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ছয় মাস পরে ঢাকায় ফিটনেসবিহীন পুরাতন মোটরযান নিষিদ্ধ : পরিবেশ উপদেষ্টা

ছয় মাস পরে ঢাকায় ফিটনেসবিহীন পুরাতন মোটরযান নিষিদ্ধ : পরিবেশ উপদেষ্টা

মধুখালীর গড়াই নদী থেকে ১৮ টি ড্রেজারে ফের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে

মধুখালীর গড়াই নদী থেকে ১৮ টি ড্রেজারে ফের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির ৩ দিনের রিমান্ডে

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির ৩ দিনের রিমান্ডে

চালককে হত্যা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ছিনতাই

চালককে হত্যা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ছিনতাই

১ রানে ৮ উইকেটের পতন!

১ রানে ৮ উইকেটের পতন!

বিক্রি হয়ে গেছে করন জোহরের প্রযোজনা সংস্থা 'ধর্মা প্রোডাকশন'

বিক্রি হয়ে গেছে করন জোহরের প্রযোজনা সংস্থা 'ধর্মা প্রোডাকশন'

সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ অনুযায়ী, ‘ছাত্রলীগ’কে সমর্থন করলে ৭ বছরের জেল

সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ অনুযায়ী, ‘ছাত্রলীগ’কে সমর্থন করলে ৭ বছরের জেল

হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী, জুমার বয়ানে বায়তুল মোকাররমে খতিব মুফতি আব্দুল মালেক

হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী, জুমার বয়ানে বায়তুল মোকাররমে খতিব মুফতি আব্দুল মালেক