ঢাকা   শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১০ কার্তিক ১৪৩১

‘শালীনতা’ নষ্ট হচ্ছে ডেভিডের! বিশ্বখ্যাত ভাস্কর্যের মানহানি করে ব্যবসার অভিযোগ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৬ এএম | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৬ এএম

সময়ের হিসেবে কেটে গিয়েছে ৫২০ বছর। ১৫০৪ সালে নির্মিত ইতালীয় শিল্পকর্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘ডেভিড’ আজও সারা বিশ্বের শিল্পপিপাসুদের কাছে এক পরম বিস্ময়। মিকেলেঞ্জোলোর তৈরি করা ১৭ ফুটের মর্মরমূর্তিটি অবশ্য শিল্পপ্রেমীরা ছাড়াও সকলে চেনেন। কিন্তু এবার আলোচনায় ডেভিডের ‘শালীনতা’। যা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেই অভিযোগ।

 

ফ্লোরেন্সের ‘দ্য গালেরিয়া দেল আকাদেমিয়া’য় রয়েছে ডেভিড। বর্তমানে সেই মিউজিয়ামের কর্তা হোলবার্গ তৎপর হয়েছেন কয়েক শতাব্দীপ্রাচীন মূর্তির শালীনতা রক্ষায়। ডেভিডের ছবি ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করছে, তেমনই ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন ২০১৫ সাল থেকে এই সংগ্রহশালার দায়িত্বপ্রাপ্ত হোলবার্গ।

 

আসলে ১৫৬৪ সালে মৃত মিকেলেঞ্জেলোর শিল্পকর্মের কোনও স্বত্ব বহুদিনই নেই। কিন্তু ইটালির শিল্প-স্বত্ব আইন অনুসারে, স্বত্ব থাক বা না থাক, যে কোনও শিল্পকর্মের প্রতিরূপ তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে সেই শিল্পকর্মের মর্যাদাকে যেন কোনও ভাবে ক্ষুণ্ণ করা না হয়। ডেভিডের ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। যেমন, এক সংস্থা নাকি টি-শার্ট, চাবির রিং, ম্যাগনেট প্রভৃতিতে ডেভিডের ছবি ব্যবহার করার সময় কেবল তার যৌনাঙ্গের অংশটুকুকেই ব্যবহার করেছে! সেই সংস্থাই আবার ওই সংগ্রহশালায় প্রবেশের টিকিট বিক্রেতা!

 

আবার কোনও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, এক মডেলের মাথায় বসিয়ে দেয়া হচ্ছে ডেভিডের মাথা। এই ধরনের ঘটনায় মামলা করছেন হোলবার্গ। বহু ক্ষেত্রে জয়ও এসেছে। তার অভিযোগ, কেবল ডেভিড নয়, এমন বিকৃতির শিকার সেযুগের বহু শিল্পকর্মই। তাই তারা এই লড়াই চালিয়ে যেতে চাইছেন বলে দাবি হোলবার্গের। যদিও এরই সমান্তরালে উঠে পড়ছে একটা অন্য প্রশ্নও। শিল্প সমালোচকদের একটি অংশের দাবি, কোথায় কীভাবে শিল্পকর্মের মর্যাদা বা শালীনতা নষ্ট হচ্ছে, এটা কে ঠিক করবেন? শিল্পের বিষয়ে শেষ কথা কি বলা যায়?

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তুরাগ থানা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার গ্রেফতার

তুরাগ থানা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার গ্রেফতার

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান